বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত কিন্তু সাম্প্রতিক বছর গুলোতে আমাদের দেশ শিল্পে বিশেষ উন্নতি সাধন করেছে। বাংলাদেশ প্রতি বছর শিল্প সামগ্রী রপ্তানীর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকে। দেশের রপ্তানী বানিজ্যে সাতক্ষীরা জেলা বিশেষ ভাবে এগিয়ে আছে আর এ কারনে সাতক্ষীরার সুনাম ও সুখ্যাতির সীমা নেই। আমাদের দেশের অন্যতম বানিজ্য শিল্প চিংড়ী। প্রতি বছর বাংলাদেশ চিংড়ী রপ্তানীর মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকে। আর দেশ চিংড়ী শিল্প রপ্তানীর মধ্য দিয়ে যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকে তার সিংহ ভাগ সাতক্ষীরার চিংড়ী। এই শিল্প কেবল বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে বা জাতীয় অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে তা নয় আমাদের এই চিংড়ী শিল্পের কল্যানে সাতক্ষীরার অর্থনীতিতে সুবাতাস বইছে বিশেষ করে এক যুগের অধিক সময় যাবৎ সাতক্ষীরার অর্থনীতি দৃশ্যতঃ চিংড়ী নির্ভর অর্থনীতি হিসেবে বিবেচিত। সাতক্ষীরা কেবল চিংড়ী শিল্প রপ্তানীর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকে তা নয় পাট বাংলাদেশের সোনালী আশ হিসেবে নিজেকে বিশেষ ভাবে পরিচিত করেছে। এই পাটের সুনাম ও সুখ্যাতি অর্থাৎ কদর মাঝপথে থমকে থাকলেও বর্তমান সময় গুলোতে পাটের অর্থনীতি মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সাতক্ষীরা কৃষকরা পাট কাটতে শুরু করেছে কিন্তু সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে বৃষ্টির পানির অভাব হেতু পাট পচানো সম্ভব হচ্ছে না। সাতক্ষীরা অভ্যন্তরীন রাজস্ব উপার্জনের ক্ষেত্রে তার অবস্থান দিনে দিনে ব্যাপক ভিত্তিক সুসংহত করে চলেছে। ভোমরা স্থল বন্দর দেশের রাজস্ব উপার্জনের মোখ্যম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে ততোই সাতক্ষীরা অর্থনীতিতে তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিজেকে ক্রমবর্ধমান গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে।