দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ বিরল প্রজাতীর কালোমুখো হুনুমান কি হারিয়ে যাচ্ছে? দেশের যশোর জেলার কেশবপুর এলাকায় যুগ যুগ তাদের আবাস্থল। একদা ঘনজঙ্গল আর অপেক্ষাকৃত নিরিবিলি পরিবেশ সমৃদ্ধ কেশবপুর এলাকাতে ছিল হারিয়ে যেতে বসা এই প্রাণির। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আর বাস্তবতার নিরিখে কেশবপুরের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাথে একাকার থাকা এই কালোমুখো হুনুমান দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ছে। বিচ্ছিন্ন আর সঙ্গীহীনতায় সেই সাথে খাদ্যভাব ও নিরাপত্তাহীনতা তাদেরকে হারিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্র তৈরী করছে। গতকাল দলছুট বিচ্ছিন্ন থাকা বা পৃথক হয়ে পড়া এক হুনুমানের অবস্থান ছিল দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া, ব্যস্ততম সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কের পারুলিয়া ভূমি অফিস সংলগ্ন এক প্রাচীরের এক মাথা হতে অন্য মাথায় লেজ উঠিয়ে চলছে। কোন কোন সময় টিনের চালায় আবার কখনও বসে নিরবে উদাস ভঙ্গীতে তাকিয়ে থাকছে। যে কেউ খাবার দিলে অতি মমতায় এবং আগ্রহ ভরে ভক্ষন করে চলেছে। গ্রামের মাঝে বন্য প্রানি তাও আবার বিশেষ আকর্ষনের কালোমুখো হুনুমানের উপস্থিতি প্রত্যক্ষ করে ভিড় করছে পথচারীরা, দেখতে আসছে গ্রামের ছোট বড় আর মহিলারা। উৎসুক দর্শনার্থীরা হুনুমান কে সামান্যতম বিরক্ত না করে খেতে দিচ্ছে অন্যদিকে প্রানিটি দর্শনার্থীদের জন্য বিরক্তের বা আতঙ্কের কারন হচ্ছে না, সত্যিকার অর্থে প্রানির প্রতি প্রানির মমত্ববোধ আর আন্তরিকতা ছিল অভাবনীয় পর্যবেক্ষকদের অভিমত বিচ্ছিন্ন হয়ে চলা, লোকালয়ে অবস্থান করা এই প্রাণির জন্য কোন সুখবর নয়, বরঞ্চ হারিয়ে যাওয়ার লক্ষন, জানাগেছে কেশবপুর এলাকায় কলা, আম, কাঠাল বা অন্য কোন ফলগাড়ী বা অন্যান্য খাবার বহনকারী থামলে হুনুমান তাতে উঠে পড়ে এবং গাড়ী চলতে থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের ঠিকানা হয়। বিরল প্রজাতির এবং হারিয়ে যেতে থাকা কালোমুখো হুনুমানের বংশ রক্ষা করতে হবে, আর এ জন্য তাদের জন্য অভয়রান্য ও নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্যভাব দুর করতে হবে। এমনটি খবর ক্ষেত্রে ব্যাপক ভিত্তিক সরকারি উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।