বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন জরুরী, জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে এক শ্রেনির ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির অসম প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যে ভাবে তেলে মুল্য বৃদ্ধি পেয়েচে পণ্য সামগ্রীর মুল্য সে অপেক্ষা অধিকতর বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশের বাস্তবতায় বরাবরই এক শ্রেনির অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্য সামগ্রীর নিয়ন্ত্রহীন মূল্য বৃদ্ধির ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। আর অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধির সাথে জড়িতদের অবিলম্বে বিহিৃত পরবর্তি আইনের আওতায় আনতে হবে আর এ জন্য বাজার মনিটরিং অপরিহার্য। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় চাল, সবজি মাংস হতে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য বেড়েই চলেছে। কেবল মূল্য বৃদ্ধিই শেষ কথা নয়, একই পণ্য একই বাজারের একে বিক্রেতা একে মুল্য চাইছে। গত কয়েকদিন যাবৎ ডিমের মূল্য আকাশ ছোয়া। কোন কোন ব্যবসায়ী প্রতি জোড়া ডিম ২৪/২৫ টাকায় বিক্রি করছে। তবে অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা (ডিম বিক্রেতারা) প্রতি জোড়া ডিম ২২/২৩ টাকায় বিক্রি করছে। কিন্তু এটাতো হওয়ার কথা নয়। ইতিপূর্বে ডিম প্রতি জোড়া ১৫ থেকে ১৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সবজির বাজারে যেন আগুন ধরার উপক্রম, কাচা ঝালের কথাই বলতে পারি কাঁচা ঝাল আর কেজিতে দাম চাইছে না বিক্রেতা ২৫ থেকে ৩০ টাকা প্রতি একশত। এখানেই স্পষ্ট যে কাঁচা ঝালের বাজার মূল্য কোথায় যেয়ে পৌছাইছে। খেরাই সারা বছর বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ কোন কোন সময় ২৫/৩০ কেজি প্রতি কিন্তু বর্তমান সময়ে সাতক্ষীরার বাজার গুলোতে প্রতি কেজি খিরাই বিক্রি হচ্ছে ৪৫/৫০ টাকায়। অতি ছোট সাইজের লাউ চল্লিশ হতে ৪৫ টাকা, অন্যান্য সবজিও মুল্য আকাশ ছোয়া। সাতক্ষীরা বাজার গুলোর মাংসের মুল্য মাংস ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত বৃদ্ধি করছে। গরুর মাংস যেন সোনার হরিনে পরিনত হয়েছে। এখানেই শেষ নয় খাসির মাংসের মুল্য ও অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক শ্রেনির ব্যবসায়ীরা মাংসের ওজন বৃদ্ধিতে মাংস পানিতে ভিজিয়ে অনৈতিকতার আশ্রয় নিচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন কর্তৃপক্ষ সহ সরকারের অপরাপর সংস্থা গুলো বাজার মনিটরিং করতে পারেন।