দেবহাটা অফিস ॥ তহুরা বিবি উত্তর সখিপুরের সত্তর উর্ধ বৃদ্ধা, নিজস্ব কোন বসতবাড়ী নেই। মানবিক এক মানুষের বাড়ীতে মাথা গোজার ঠাই পেয়েছে। জীবন সাহাহেৃ পৌছেও প্রতিনিয়ত জীবন সংগ্রামের মুখোমুখি এই বৃদ্ধা নারী কেবল জীবন সংগ্রাম নই নিজে উপার্জন করে চলেছেন। কেবল তিনি স্বামী হারা তা নয়, নিঃসন্তান তহুরা বিবি প্রতিদিনই কোন নো কোন সবজি নিয়ে পারুলিয়া, সখিপুর বাজারে বিক্রি করে, অতি সম্প্রতি এই প্রতিবেদক সখিপুর বাজারের সবজি সড়কে সবজি বিক্রি করা অবস্থায় মুখোমুখি হন, সেদিন তিনি হেলেঞ্চা শাক নিয়ে বসে ছিলেন। প্রতিটি তাড়ি পাঁচটাকা, বর্ষা মৌসুমে গ্রামের খানা খন্দক, পুকুর, জলাশয়ে প্রকৃতিগত ভাবে অযত্নে, অবহেলায় জন্ম নেওয়া হেলেঞ্চা শাক বিভিন্ন পুকুর, জলাশয় হতে নিজ হাতে বিনা অর্থে (ক্রয় নয়) সংগ্রহ করেন। লোকের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা নেওয়া অসম্মানের, নিজেকে ছোট মনে হয় আর তাই তিনি ভিক্ষা না করে, অন্য কারোর কাছে হাত না পেতে সাধ্যনুযায়ী নিজে পরিশ্রম করে সৌভাগ্যের প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করে চলেছেন। দিন শেষে সবজি বিক্রির অর্থে বাজার সওদা করে জীবন ধারন করেন। বৃদ্ধা তহুরা বিবির কোন ক্ষোভ বা দুঃখ কষ্ট নেই তিনি অবলিলায় জানালেন যে কাজ করলে অভাব থাকে না, আমার এখনও পর্যন্ত পরিশ্রম করার সক্ষমতা আছে। নিজের কোন বসতবাড়ী নেই এটাই তার বেদনা। বয়স তাকে কাবু করতে পারেনি, জীবনের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় দুর্দান্ত পরিশ্রমী তহুরা বিবিদের প্রতি ক্রেতা সাধারন সহনশীল হবেন এটাই প্রত্যাশা।