বাংলাদেশের জনসাধারনের কাছে অতি পরিচিত একটি নাম আখ। দেশের অর্থকারী ফসল গুলোর মধ্যে ইহা অন্যতম। অর্থনৈতিক উন্নয়নে আখের অবস্থান দীর্ঘ দিনের। আখ কেবল মাত্র অর্থকরী ফসল নয় বা অর্থনৈতিক মূল্যই শেষ কথা নয়, আখ দৃশ্যত ঔষধী ফসল হিসেবেও নিজেকে বিশেষ ভাবে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের দেশে আখের চাষ সাম্প্রতিক বছর গুলোতে নয়, দীর্ঘ দিন যাবৎ যুগ হতে যুগান্তর এই ভূমিতে আখের চাষ হয়ে আসছে। দেশের চিনিকলগুলোর কাচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আর এ কারনে দেশের চিনিকল অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক ভাবে আখের চাখের ক্ষেত্র বিস্তৃত হয়। যশোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, পাবনা ছিল আখ চাষের উর্বর ক্ষেত্র। সাতক্ষীরাতেও ব্যাপক ভিত্তিক আখ চাষের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। দেশর পনেরটি সরকারি চিনিকলের কয়েকটি অব্যাহত লোকসানের মুখে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আখের চাহিদা হ্রাস পায়। আখের সাহায্যে চিনিকল গুলোতে চিনি উৎপাদন হয় এবং আখের গুড় ও তৈরী হয়। সাতক্ষীরা তালা, পাটকেলঘাটা সহ কপোতাক্ষ জেলায় আখের ব্যাপক চাষ ছিল। চোখে পড়ার মতো কিন্তু সময়ের ব্যবধানে পাটকেলঘাটা, তালা এলাকায় আখের চাঁষ হ্রাস পায়। এই এলাকার আখের মাধ্যমে আখ চাষিরা গুড় তৈরী করতেন যা বর্তমান সময় গুলোতেও অব্যাহত আছে। সাম্প্রতিক বছর গুলোতে সাতক্ষীরার উল্লেখিত এলাকাগুলোর পাশাপাশি দেবহাটার সখিপুর, কোড়া, কামটা, মাটি কোমরা, হাদিপুর এবং কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা, ভাড়াসিমলা অন্যান্য এলাকাতে উচ্চ ফলনশীল (সামসাড়া( আখ চাষ হচ্ছে এবং উক্ত চাষে কৃষকরা সাফল্য পাচ্ছে ও দারিদ্র বিমোচনে ভূমিকা রাখছে। উচ্চ ফলনশীল আখ চাষে লাভ এবং ব্যাপক উৎপাদন হওয়ায় দৃশ্যতঃ আখ চাষে ঝুকছে সাতক্ষীরার আখ চাষীরা এখানেই শেষ কথা নয় দারিদ্র বিমোচনে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও আখ চাষ কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করে চলেছে সাতক্ষীরা এলাকায় চিনি কল গুলোর কয়েকটি বন্ধ হওয়ায় আখ চাষে চাষিরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে কিন্তু ক্রমান্বয়ে সেই হারানো ইচ্ছাকে আগ্রহী হওয়ায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে আখ চাষ। এক শ্রেনির অসাধু ব্যবসায়ীরা আখের গুড় তৈরীতে নানান ধরনের অপদ্রব্য পুশ করছে এমন অভিযোগ অনেকের। আমাদের সম্ভাবনাময় আখ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে রক্ষা করতে আখ চাষে বিশেষ আগ্রহী হতে হবে এবং কোন ধরনের অসাধুতাকে স্পর্শ করলে হবে না।