মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন

কৈখালীতে দ্রুততম সময়ে ভেড়ি বাঁধ ভাঙ্গন পয়েন্টে কার্যক্রম শুরু অন্য একটি পয়েন্ট জনগনের জন্য হুমকি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩

আবু ইদ্রিস শ্যামনগর থেকে ॥ শ্যামনগর উপজেলার কৈখালীতে দ্রুততম সময়ে ভেড়ি বাঁধ ভাঙ্গন পয়েন্টে কার্যক্রম শুরু। আশার আলো দেখছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ। বেড়িবাধ ভাঙন পয়েন্টে কার্যক্রম শুরু হওয়াই জনমনে স্বস্তির বাতাস বইছে। মাত্র কয়েকদিন আগে নদীর পানির জোয়ারের আঘাতে ভেড়ি বাঁধ ছিদ্র হয়ে লবণ পানি অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এ সময় স্থানীয় জনগণ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ভেড়ি বাধ রক্ষা করার প্রাণপণ চেষ্টা করে। ফলে কিছুটা রক্ষা পেলেও ভেড়িবাধ সম্পূর্ণ আশঙ্কমুক্ত ছিল না। কয়েকদিন যাবত এ ভাঙ্গন পয়েন্ট ছিল মানুষের জানমালের জন্য হুমকি স্বরূপ। এ ভাঙ্গন পয়েন্টে ভেড়ি বাধ ছিদ্র হয়ে লবণ পানি অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিকভাবে জন প্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। আর দ্রুততম সময় কার্যক্রম শুরু নিঃসন্দেহে জনগণের জন্য মঙ্গলজনক। গতকাল শনিবার এ ভাঙ্গন পয়েন্টে কার্যক্রম শুরু হলেও অন্য একটি ভাঙ্গন পয়েন্ট সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে আছে। আতঙ্ক, ত্রাসে রাত যাপন করছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার জনগণ। সারাক্ষণ রাস্তার পাশে লোকজন জড়ো হয়ে ভাঙ্গন নিয়ে দুশ্চিন্তা, আলোচনা পরামর্শ চলছে। এমন এক মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কে যেন এসে বললেন এ স্থানে কাজ হবে। নিজে নেমে গেলেন কাদায় তারপর কিছুক্ষণ ভিডিও করে চলে গেলেন। আবেগ জড়িত কন্ঠে এমন কথাগুলো বলছিলেন কাঠামারী গ্রামের মৃত এরফান গাজীর পুত্র মোঃ সাত্তার গাজী (৫৮)। আজব যেন এ ভাঙ্গন পয়েন্ট। দিনে রাতে একা ধারে ভাঙছে নদীর চর। ভেড়িবাদের খুব সান্নিকটে পৌঁছে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে ভেড়ি বাঁধ ভেঙে কালিন্দী নদীর লবণ পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। সোনা নামে খ্যাত এ গ্রাম নিমিষে লবণ পানিতে মিশে যাবে। সুপেয় মিষ্টি পানি ও মাটির উর্বর শক্তির কারণে এ ছোট্ট গ্রামটিতে বারোমাসি জমিতে কোন না কোন ফসল থাকে। বিশেষ করে ধানের কোন জুড়ি নেই। ধানের তিনটা ফসলে জমিগুলো কখনো সবুজে ভরপুর কখনো বা সোনালী রঙে রঙিন। তার উপরে মিশে আছে এখানকার জন্মগত স্মৃতি, মা-বাবার জন্ম ভিটা। আবেগ ভালোবাসায় জড়িত জন্মভূমি গ্রামটি নিমিষে নদীর লবণ পানিতে একাকার হয়ে যাবে এমনটা মেনে নিতে পারছেনা সব বয়সী লোকজন। তাই তারা কখনো ছুটে যাচ্ছে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কাছে। কখনো চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে। জন্মভিটা, ফসলের জমি, মৎস্য সম্পদ সহ পশু প্রাণীর জন্য হুমকি স্বরূপ কাঁঠামারী গ্রামের গফুর মোল্লার বাড়ি সংলগ্ন এ ভাঙ্গন পয়েন্টটিতে যাতে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার সুধীজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com