বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতিনিয়ত ভাংগনে ইছামতি ও কালিন্দী নদী \ ছোট হয়ে আসছে সাতক্ষীরা \ বাংলাদেশ হারাচ্ছে ভূ—খন্ড \ স্থায়ী সমাধান জরুরী প্রয়োজন মেগা প্রকল্প গ্রহণ \ এখনই সময় দেবহাটা সর: পাইলট হাইস্কুলের শহীদ মিনার উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ দেবহাটা রিপোটার্স ক্লাবের শীতবস্ত্র বিতরণ দেবহাটায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শ্যামনগরে গর্ভবতী গরু জবাই \গ্রাম্যমান আদালতে ব্যবসায়ীকে জরিমানা সাতক্ষীরায় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন সাতক্ষীরায় প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম রসুলপুর জান্নাতুল ফিরদাউস কুরআনিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাদ ঢালাই উদ্বোধন ডুমুরিয়ার বিল ডাকাতিয়ায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর আবাদী জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত খুলনায় যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

গণমানুষের প্রতিমুখ: ‘দৈনিক দৃষ্টিপাত’

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩

প্রফেসর মো. আবু নসর
দৈনিক দৃষ্টিপাতের আজ ২৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আর ২২তম বর্ষপূর্তি। ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর সাতক্ষীরার মাটিতে সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলার দৃঢ় শপথ নিয়ে জন্ম নিয়েছিলো দৈনিক দৃষ্টিপাত। গণমানুষের প্রতিমুখ, পাঠকপ্রিয়, পাঠকনন্দিত দৈনিক দৃষ্টিপাত আজ ২৩ বছরে পদার্পন করলো। ২০০১ সালের শিশু দৃষ্টিপাত আজ সমহিমায় উদ্ভাসিত ২৩ বছরের টগবগে পূর্ণ যুবক। তার সাফল্যের পালকে দিনদিন যুক্ত হচ্ছে আরো নতুন নতুন পালক। সাতক্ষীরার সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক দৃষ্টিপাত পাঠকের দৃষ্টিপাত; সত্য, সৎ ও বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার প্রতিমূখ; অন্যায় ও অসত্যের প্রতিপক্ষ। দৃষ্টিপাত গণমানুষের, কুসংষ্কার ও সাম্প্রদায়িকতার বিপক্ষে; দৃষ্টিপাত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঝান্ডাবাহী; অসহায় নির্যাতিত মানবতার পক্ষে আর উন্নয়ন অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে দৃষ্টিপাত সবর্দা সক্রিয়। পাঠকই দৃষ্টিপাতের স্পন্দন। পাঠকই দৃষ্টিপাতের প্রাণ। আর সেই প্রাণের সমারোহ হাজারো দৃষ্টিপাত প্রতিদিন পাঠকের সঙ্গী। দৃষ্টিপাত পাঠকের ইচ্ছাশক্তি, সর্বোপরি পাঠকের মুখপাত্র। নিরপেক্ষতাকে সঙ্গী করে চলা দৃষ্টিপাত কোন দলের নয়; সব দলের, সব মতের, সব মানুষের। দৈনিক দৃষ্টিপাত সাতক্ষীরার সীমানা পেরিয়ে ভৌগলিকতাকে ছিন্ন করে যশোর-খুলনা তথা দেশের নানান অঞ্চলের পাঠকদের মন জয় করেছে। দৃশ্যত, দৃষ্টিপাত পাঠকের অন্তরাত্মাকে স্পর্শ করেছে। সংবাদপত্রের এ স্বর্ণযুগের সময় দক্ষিন বাংলার বহুল ও সর্বাধিক প্রচারিত সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৃষ্টিপাত। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনার কেন্দ্রবিন্দু জনপ্রিয় ও পাঠকনন্দিত দৈনিক দৃষ্টিপাতের আজকের বর্ষপূর্তির সঠিকতা, সফলতা, সার্থকতা, যথার্থতা ও বাস্তবতা একান্ত কাম্য ও অপরিহার্য। যখন দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকাটি এর ২২তম বর্ষপূর্তি পালন করতে যাচ্ছে তখন এ পত্রিকাটি সম্পর্কে আমার হৃদয়পটে যে বিষ্ময়কর অনুভূতি জ্বলজ্বল করছে তার সামান্য কিছুটা হলেও প্রকাশ করা দরকার। অফিসের নিচতলায় ছাপাখানায় ছাপার (মুদ্রন) বিশাল অফসেট অত্যাধুনিক যন্ত্র, হিসাব রক্ষকের ও ম্যানেজারের কক্ষ, দৃষ্টিপাত প্রকাশনী লিঃ এর অন্যান্য কক্ষ, জাতীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন সমূহের সরবরাহ ও পরিবেশক কাউন্টার (মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স), দ্বিতীয় তলায় সম্পাদকীয় কর্মকান্ডের নিমিত্তে সাজানো গোছানো বিভিন্ন সম্পাদনা কক্ষ সমূহ, কম্পিউটার বিভাগ, সংবাদকর্মীদের আসন বিন্যাস, সু-সজ্জিত সম্পাদকের কক্ষ প্রভৃতির মহাসমোরহে পত্রিকা অফিস সর্বক্ষন কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর থাকে। রুচিশীল ও প্রগতিশীল পত্রিকা এই দৃষ্টিপাত। তাই দৃষ্টিপাত এখন পাঠকেরই পত্রিকা। পাঠকরাই দৈনিক দৃষ্টিপাতের মালিক। সর্বোপরি পত্রিকাটির সুযোগ্য সম্পাদক ও প্রকাশক ক্রমাগত সাফল্যের বরপুত্র, সুদীপ্ত প্রতিভাবান, প্রেরণার বাতিঘর জনাব জি এম নূর ইসলামের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও ঐকান্তিকতা সর্বক্ষেত্রে সর্বপ্রনিধানযোগ্য। সাংবাদিক জগতের উজ্জল নক্ষত্র, প্রবাদ পুরুষ ও জীবন্ত কিংবদন্তী জনাব নূর ইসলামের স্বপ্নসারথী “দৈনিক দৃষ্টিপাত’’। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দৈনিক দৃষ্টিপাত সবার জীবনবোধ, মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধের কথা বলে। সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন প্রকাশিত দৈনিক দৃষ্টিপাত কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর। দৃষ্টিপাত সব শ্রেনির মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন ও জনতার শক্তি। জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং দৃষ্টিপাত সম্পাদক জনাব নূর ইসলাম গল্পে কথায় ভীষন আন্তরিক। অতি অল্প সময়ে তিনি মানুষকে আপন করে নেন। অসাধারণ প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষন সম্পাদক বুদ্ধিতে, কৌশলে জন কল্যানে তার মতো ব্যক্তিত্ব বিরল। বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের এক অনন্য প্রতিভা। বুদ্ধিমত্তা, সাহস ও ইচ্ছাশক্তিই তার মূলধন। মেধায় মননে সেবায় গবেষণায় সংবাদ সৃষ্টির ইতিহাসের দিকপাল তিনি। দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকাটির যথার্থ প্রচার প্রসারের ক্ষেত্রে তার রয়েছে ক্ষুরধার বুদ্ধিমত্তা ও তীক্ষ্ম পর্যবেক্ষন। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অজ্ঞাত, প্রচারবিমুখ অথচ জনকল্যনে নিয়োজিত মানুষদের খুঁজে এনে তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরা হয় এই পত্রিকায়। মানুষ যদি প্রকাশমান হন তবেই তিনি প্রকাশিত। জনাব ইসলাম প্রকাশমান বলেই আজ তিনি প্রকাশিত। সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দৃষ্টিপাত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সমাজসেবক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কামেল, সুফি, সাধকসহ বিভিন্ন শ্রেনির গুনিজন, কীর্তিমান ব্যক্তিদের সম্মাননা ও সংবর্ধনার আয়োজন ও পদক প্রদান প্রভৃতি প্রশংসনীয়। ব্যতিক্রমধর্মী ও অনন্য সাধারণ কর্মকান্ডের জন্য দৈনিক দৃষ্টিপাতের ভূমিকা ও অবদান অনস্বীকার্য। সম্পাদক সাহেব বেঁচে থাকবেন তার মহৎ কর্মের মাধ্যমে। তিনি আপন কর্মগুনে মহান। উপসংহারে বলা যায় দৈনিক দৃষ্টিপাতের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা ও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা শুধুমাত্র প্রয়োজনই নয় বরং একান্ত অপরিহার্য। আজ যেখানে সমগ্র বিশ্ব নৈতিক অবক্ষয়ে পরিপূর্ণ, মানুষের নৈতিকতার নিঃশব্দ পতন, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি ক্ষত বিক্ষত, হলুদ সাংবাদিকতার জয় জয়াকার, সেখানে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা এখন হুমকির মুখে। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা এখন কোনঠাসা। তবুও সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার বিকল্প নেই। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ ও পরিবেশনের জন্য বহু সাংবাদিককে এ পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিতে হয়েছে। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে কোন সাংবাদিক বা সংবাদপত্র চিরকাল কারো বন্ধু বলে কোনকালে স্বীকৃতি পায়নি। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন প্রকৃতপক্ষে কলমযুদ্ধ। প্রকৃত সাংবাদিক হতে হলে প্রতিটি বিষয় বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। সাংবাদিকরা জাতির বিবেকের ব্যারোমিটার। তথ্য প্রমান সাপেক্ষে সংবাদপত্রের সব প্রতিবেদন সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ হতে হবে। একজন সাংবাদিক হচ্ছে ‘‘দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের মত’’। সাংবাদিকরা সমাজের প্রতিচ্ছবি। সংবাদপত্র মানুষের বডি ও সমাজের দর্পন। সাংবাদিকদের তাই গনমানুষের স্বার্থে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। তবেই সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা সার্থক হবে। সাংবাদিকতা চলমান জীবনের শব্দময় প্রতিচ্ছবি। সাংবাদিকতা শুধু ইতিহাস সৃষ্টি করে না, ইতিহাস নির্মাণেও সাহায্য করে। দৈনিক দৃষ্টিপাত সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদেরই ধারক ও বাহক। গণমানুষের দৃষ্টিপাত পত্রিকাটি সত্য, ন্যায় আর আদর্শিক যাত্রায় সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা, সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার দুর্দান্ত সাহস ও শক্তির অধিকারী। পাঠক প্রিয়তা ও প্রচারের শীর্ষে সাতক্ষীরার প্রথম অত্যাধুনিক অফসেটে মুদ্রিত পত্রিকা ‘‘সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন’’ দৈনিক দৃষ্টিপাত পরিবারে মধ্যে সম্পাদক ও প্রকাশক জিএম নূর ইসলাম, নির্বাহী সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আবু তালেব মোল্ল্যা, বার্তা সম্পাদক জিএম আদম শফিউল্লাহ, মফস্বল বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, সহ-সম্পাদক জিএম ওমর ফারুক, চিফ রিপোর্টার মামুনুর রহমান সুমন, স্টাফ রিপোর্টার মীর আবু বক্কর, ম্যানেজার বুলবুল আহমেদ, হিসাবরক্ষক মো. আনছার আলী, প্রেস চিফ অপারেটর আমিরুল ইসলাম রয়েল, প্রেসম্যান আমিনুর রহমান, অফিস সহকারী আল আমীন, আবুল খায়ের, পিকু মন্ডল প্রমুখ পত্রিকার মান উন্নয়নসহ পাঠকদের চাহিদা পূরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। দৈনিক দৃষ্টিপাতে আন্তর্জাতিক, দেশের ও আঞ্চলিক নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ছাড়াও অন্যান্য বৈশিষ্টের মধ্যে সম্পাদকীয়, হাদীস, বানী, দিনপঞ্জি, আজকের নামাজের ওয়াক্তের সময়সূচী, জ্ঞানের দৃষ্টি, সুস্থদেহ সুন্দর মন-বৃদ্ধ নয় যুবক হন, শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা মাতৃমঙ্গল, শিশুকল্যান ও পরিবার পরিকল্পনা, বিশ্বনবী (সাঃ), উম্মে মোমেনীন হযরত খাদিজা (রা:), উম্মুল মো’মেনীন, হযরত আয়েশা (রা:), হযরত ফাতেমা (রা:) এর জীবনী, জান্নাতী দশ মহিলার জীবনী, নারীভূবন, ইতিহাসের এই দিনে, জ্যোতি বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান, দুনিয়া কাপানো মুসলিম আবিষ্কারক, ইসলামে চার খলিফার জীবনী, ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নেওয়া শত বিশ্ব তারকা, চলমান বিশ্ব পরিক্রমা, খেলার খবর, শনিবারের সাহিত্যদৃষ্টি, নবী রাসুলদের ইতিহাস, নবীজি (সাঃ) যখন আল্লাহর রাসূল, নবীজি যখন জিহাদের ময়দানে, রাসুল (সা:) এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী, শিশু কিশোর সিরাতুন্নবী (সঃ) সিরিজ, আজকের রাশিফল, বর্ষপূর্তি বা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব বা বিশেষ দিন/পর্ব উদ্যাপন উপলক্ষে ক্রোড়পত্র, বিশেষ নিবন্ধ/প্রবন্ধ প্রকাশ, চাকুরী সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং প্রচার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। পর্দার অন্তরালে থেকে যিনি দৈনিক দৃষ্টিপাত পরিবারের অন্যতম অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন সেই মহিয়সী নারী দৃষ্টিপাত সম্পাদকের প্রয়াত স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। তার মৃত্যুর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে দৃষ্টিপাত এগিয়ে যাবে আরো দৃঢ়চিত্তে, সাদাকে সাদা বলার প্রত্যয়ে- বর্ষপূর্তির এদিনে এই প্রত্যাশা। আমি এই পত্রিকার কলেবর বৃদ্ধি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি। পাঠক সমাজে দৈনিক দৃষ্টিপাত বেঁচে থাকুক।

লেখক:অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, কলারোয়া সরকারি কলেজ, সাতক্ষীরা।
সাবেক কলেজ পরিদর্শক, যশোর শিক্ষা বোর্ড।
সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, ঢাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com