ধান, পাট বা অন্যান্য কৃষি পণ্য চাষাবাদ দীর্ঘদিনের আর উল্লেখিত কৃষি উৎপাদন কৃষি পণ্য হিসেবে আমরা জানি। সাম্প্রতিক সময় গুলোতে দেশে ঘাস চাষ হচ্ছে। গো খাদ্য হিসেবে ঘাসের বিকল্প নেই। যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশের গো চারনের জন্য বিরানভূমিতে গরু, মহিষ, ছাগল ঘাস খেয়ে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছর গুলোতে গোচারন তথা বিরান ভূমির অভাব হেতু গো খাদ্যের অভাব পুরনে দেশে ঘাস চাষ হচ্ছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় সাম্প্রতিক বছর গুলোতে ঘাস চাষের বিশেষ ক্ষেত্র বিস্তৃত হয়েছে। ঘাস চাষ অধিকতর লাভবান হওয়ায় এবং পরিশ্রম ও ব্যাপক করতে হয় না যে কারনে দেশের অপরাপর এলাকার ন্যায় সাতক্ষীরাতেও ঘাস চাষ হচ্ছে। ঘাস চাষীদের সাথে কথা বলে জানাযায় ইতিপূর্বে বর্তমানের ঘাস চাষীরা ধান সহ অন্যান্য কৃষি চাষাবাদ বাদ দিয়ে ঘাস চাষে ঝুকি নেওয়া মনে করতেন এবং ঘাস চাষ কতটুকু লাভজনক সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করলেও সময়ের ব্যবধানে আর বাস্তবতার নিরিখে জেলার বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঘাসচাষী ঘাস চাষে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছে। বর্তমান সময়ে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খামারের সৃষ্টি হয়েছে উক্ত খামার গুলোতে শত শত গরুর চাষ হচ্ছে সাতক্ষীরার ঘাস চাষ তথা ঘাস উৎপাদন খামারের গরু খাদ্যের চাহিদা পুরন করে চলেছে। খামারের পাশাপাশি জেলার বাসাবাড়ীতেও গরু পালনের বিষয়টি বিশেষ ভাবে আলেখ্য। বর্তমান সময় গুলোতে চাল, আটা, ময়দা, ভূসি, খইল সহ অপরাপর গো খাদ্যের যে ভাবে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পাচ্ছে সে ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে ঘাসের চাহিদা বেড়েই চলেছে। ঘাস চাষ অনেক কৃষকের ভাগ্য ফিরিয়েছে বহু সংখ্যক বেকারের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে এবং অর্থনীতিতে সুবাতাস বইছে। যতই দিন যাচ্ছে ততোই সাতক্ষীরায় ঘাস চাষের কদর বাড়ছে। এবং জনপ্রিয় হয়ে পড়েছে এই চাষ। গরু মহিষের খাদ্য ঘাটতি পুরনে এবং অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বির্নিমানে ঘাস চাষের বিকল্প নেই।