বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতিনিয়ত ভাংগনে ইছামতি ও কালিন্দী নদী \ ছোট হয়ে আসছে সাতক্ষীরা \ বাংলাদেশ হারাচ্ছে ভূ—খন্ড \ স্থায়ী সমাধান জরুরী প্রয়োজন মেগা প্রকল্প গ্রহণ \ এখনই সময় দেবহাটা সর: পাইলট হাইস্কুলের শহীদ মিনার উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ দেবহাটা রিপোটার্স ক্লাবের শীতবস্ত্র বিতরণ দেবহাটায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শ্যামনগরে গর্ভবতী গরু জবাই \গ্রাম্যমান আদালতে ব্যবসায়ীকে জরিমানা সাতক্ষীরায় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন সাতক্ষীরায় প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম রসুলপুর জান্নাতুল ফিরদাউস কুরআনিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাদ ঢালাই উদ্বোধন ডুমুরিয়ার বিল ডাকাতিয়ায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর আবাদী জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত খুলনায় যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

সাতক্ষীরায় বানিজ্যিক ভাবে সুপারির চাষ হচ্ছে বেড়েছে অর্থনৈতিক মুল্য : জেলা হতে সুপারি যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ পান সুপারির সাথে পরিচিত নন এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না। বছরের পর বছর বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের পান সুপারির ব্যবহার হয়ে আসছে। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক বাস্তবতায় সুপারির অর্থনৈতিক মুল্য ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। সুপারির ব্যবহার প্রায় হাজার বছরের পূর্বের, কোন কোন ঐতিহাসিক বলে থাকনে তারও পূর্বে সুপারির ব্যবহার হয়ে আসছে। পান এর ক্ষেত্রে অতি অপরিহার্য সুপারি। সাম্প্রতিক বছর গুলোতে দেশর অন্যান্য এলাকার ন্যায় সাতক্ষীরাতেও বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে সুপারির। এক সময়ে বসতবাড়ীতে সুপারির গাছ রোপন করা হতো নিতান্তই পান খাওয়ার জন্য অর্থাৎ পারিবারীক প্রয়োজনে কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বাস্তবতার নিরিখে সুপারি চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কম খরচ এই গাছ পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছে শত সহস্র সুপারির ফলন হয়। পূর্বের অপেক্ষায় বর্তমান সময় গুলোতে সুপারি গাছের ভিন্নতা এসেছে। হাইব্রীড সুপারি গাছ কৃষকরা রোপন করছেন। যা উন্নত জাতের এবং অধিক ফলনশীল। সাতক্ষীরার তালা, কলারোয়া, পাটকেলঘাটা, খুলনা চুকনগর, ডুমুরীয়া বিশেষ করে কপোতাক্ষ অববাহিকায় ব্যাপক ভিত্তিক সুপরির চাষ হচ্ছে। জেলার দেবহাটা কালিগঞ্জ সহ অন্যান্য উপজেলা গুলোতে সেই ভাবে অর্থাৎ বানিঝ্যিক ভাবে চাষ না হলেও এই এলাকাগুলো ব্যাপক সুপারির উৎপাদন হচ্ছে। সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাটাবাজারে বর্তমান সময়ে সুপারির ব্যাপক উপস্থিতি পাইকারি ভাবে বিক্রির পাশাপাশি খুচরা মূল্যে ও বিক্রি হচ্ছে সুপারি। জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে প্রতিশতক সুপারি বিক্রি হচ্ছে একশত বিশটাকা হতে একশত টাকায় অর্থাৎ প্রতিটি সুপারির মূল্য একটাকা হতে একটাকা বিশ পয়সা। সুপারি গাছের চারার মুল্য প্রতিটি বিশ পঁচিশ টাকা, রোপনে ও ফলন উৎপাদনে খাটাখাটোনি যৎ সামান্য। রোপনের চার/পাঁচ বছরের মধ্যে ফলন আসে। যে জমিতে সুপারি গাছ রোপন করা হয় সেই জমিতে কাটাখন্দক, রবিশষ্য সহ সবজি উৎপাদনে ও চাষাবাদ কোন সমস্যা হয় না। সুপারি গাছ দেখতে দেখতে লম্বা হতে থাকে। ঘর গৃহস্থালীর কাজেও সুপারির গাছ ব্যবহৃত হয় বিশেষ করে ঘরের ছাউনি তৈরীতে সেই গাছের অপরিহার্যতা বিশেষ ভাবে স্বীকৃত। সুপারির ব্যবসার সাথে বর্তমান সময় গুলোতে সাতক্ষীরার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক নিজদেরকে নিয়োজিত রেখেছে। একাধিক সুপারী ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানাগেছে সাতক্ষীরার সুপারি বর্তমান সময় রপ্তানীর পাশাপাশি রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন বাজারে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক মূল্যের পাশাপাশি সুপারি মানব দেহের জন্য বিশেষ উপযোগী বটে বিশেষ করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান দাওয়াতী আপ্যায়নে পান সুপারির ব্যবহার হয়ে থাকে। সুপারির অর্থনৈতিক মূল্য এবং সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের বিশেষ মাধ্যম হলো গবেষণায় দেখা গেছে সুপারির মানব দেহের জন্য ক্ষতিকরও বটে বিশেষ করে লিভার, কিডনি, ফুসফুস, দাতের মাড়ি ক্ষয়ে যাওয়া দাঁদ পড়ে যাওয়া সহ রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা হ্রাস করে। চিকিৎসা বিজ্ঞান সুপারির ব্যবহার খুব বেশী সমর্থন না করলৈও সুপারির ব্যবহার থেমে নেই। অবশ্য বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থা সুপারির গুনাগুন বর্ণনা করে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলেছেন। সাতক্ষীরার অর্থনীতিতে বিশেষ করে গ্রামীন অর্থনীতিতে সুপারি বিশেষ উজ্জ্বল ভূমিকা দৃশ্যমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com