দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু করেছে। ইসরাইলের পক্ষ হতে গাজা বাসিকে আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে নিজ নিজ বাড়ী ঘর ত্যাগ করতে বলার সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পর পরই ইসরাইলের সেনা বাহিনী অভিযানে নেমেছে। এর পূর্বে বসত বাড়ী ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোজে চলা ফিলিস্তীনিদের উপর হামলা পরিচালনা করলে অন্ততঃ সত্তর জন ফিলিস্তীনি নারী ও শিশু নিহত হয়েছে। গাজায় নির্বিচারে ধ্বংস পরিচালনা ও ফিলিস্তীনিদের উপর নির্যাতন, নিপিড়ন হত্যাকান্ড পরিচালনার বিপক্ষে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমীর পুতিন। আন্তর্জাতিক গণ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরা খবরে বলা হয়েছে ইসরাইলের উদ্দেশ্যে পুতিন সতর্কতা করে বলেছে যে গাজায় নির্বাহী ফিলিস্তীনিদের হত্যাকান্ড করার ঘটনায় ইসরাইলকে চরম মুল্য দিতে হবে। গাজায় ইসরাইল বাহিনীর স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পুর্বে এবং বর্তমান সময় গুলোতে সাধারণ ফিলিস্তীনিরা পালিয়ে গেলেও হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সাজোয়া ট্রাঙ্কের সামনে দাড়িয়ে আবার লুকিয়ে যুদ্ধ করে চলেছে। বর্তমান সময় গুলোতে আন্তর্জাতিক বিশ্ব তথা পশ্চিমা বিশ্বের বিশ্লেষন এবং জিজ্ঞাসা হামাস কি ভাবে এবং কোন কৌশলে ইসরাইলের ভূ-খন্ডে প্রবেশ করে এমন দুর্ধষ হামলা পরিচালনা করলো। ইসরাইলের বাঘা বাঘা গোয়েন্দা এবং শক্তিশালী গোয়েন্দা গুলো জানতেই পারলো না এই ভয়াবহ হামলা সম্পর্কে। গত কয়েকদিন যাবৎ ইসরাইল সরকারই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে। দৃশ্যতঃ তাদের জন্য এই হামলা কেবল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বা প্রাণহানীর নয়, বিশ্বের অন্যতম পারমানবিক শক্তির অধিকারী এবং শক্তিশালী সামরিক শক্তি সম্পন্ন দেশ হিসেবে হামাসের হামলা ইসরাইলের জন্য অবমাননাকর। গাজায় বন্দী ইসরাইলের সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর লোকজনকে উদ্ধারের ক্ষেত্রে ইসরাইলকে অতি সতর্কতার সাথে অভিযান পরিচালনা করছে। পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইসরাইলের গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা সব ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটিয়েও খুজে পাচ্ছে না যুদ্ধ বন্দীদের কোথায় রাখা হয়েছে। গাজার প্রতিটি হাসপাতাল মৃত্যুকুপে পরিনত হয়েছে ইসরাইলের হামলায় আহত এবং নিহতদেরকে একই স্থানে রাখা হচ্ছে। প্রতিটি হাসপাতালে আহত ফিলিস্তীনিদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। পশ্চিমা মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে গাজায় তাদের নাগরিকদের জিম্মি করে রাখার পাশাপাশি হামাসের পাল্টা হামলা, হিজবুল্লাহর প্রতিরোধ হামলা, সিরিয়া ও ইরানের পক্ষ হতে হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি এমন ইসরাইলকে যুদ্ধের জন্য কয়েকটি ফ্রন্ট খুলতে হচ্ছে। ইরানের শক্তি সম্পর্কে ইসরাইল অবগত, ইরানের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ রাশিয়ার অবস্থান ফিলিস্তীনিদের পক্ষে একটিও ইসরাইলকে আমলে নিতে হচ্ছে। সর্বাপেক্ষা গাজায় হামলা এবং ফিলিস্তীনিদের আবাসভূমিতে অভিযানের বিপক্ষে সমগ্র মুসলিম বিশ্ব যা ইসরাইলকে বিশেষ ভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ইসরাইলকে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে অর্থাৎ সব ধরনের হামলাকে প্রতিরোধ করে হামলা পরিচালনা করতে হচ্ছে। অন্তত পাঁচ দিনের অধিক সময় যাবৎ পর্যন্ত গাজায় বিদ্যুৎ, পানি এবং খাদ্য সংকট চরমে। পশ্বিমা বিশ্ব ইসরাইলের পক্ষে এমন ভাবে অ’বস্থান নিয়েছে যে, ইসরাইলের সেনা বাহিনী যদি গাজা হতে সকল ফিলিস্তীনিকে বিতাড়িত করে এই ভূ-খন্ড দখল করে তাহলে সেটাই বৈধ। সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে হামাসের পক্ষ হতে প্রিয় মাতৃভূমি হতে চলে না যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে তাদের ভাষ্য মরব নতুবা মারব, তবুও নিজ ভূমির মায়া ত্যাগ করবো না।