 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    কপিলমুনি প্রতিনিধি ॥ সনাতন সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয় দূর্গাপুজা ঘিরে পাইকগাছা উপজেলা জুড়ে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। প্রাশাসনিক নজরদারীর সাথে দূর্গা মন্দির গুলোতে থাকবে ৩ স্থরের নিরাপত্তা বলয়। ষষ্টী থেকে শুরু করে বিজয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক তৎপরতা থাকবে সর্বত্র। উপজেলা প্রশাসন, পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও দূর্গাপুজা আয়োজক কমিটির সাথে আলাপকালে এমনটি জানাগেছে। ইতোমধ্যে সভা, সুধী সমাবেশ ও পুজা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়সহ সকল প্রস্তুতি সম্পর্ণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। বলাযায়, প্রতিটি দূর্গামন্দিরে স্বেচ্ছাসেবক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো থাকবে শারদীয় দূর্গা মন্দিরগুলো। শারদীয় দূর্গাপুজা উৎসব মূখর করতে নানা আয়োজনের কমতি নেয় যেন কোথাও। সাজ সাজ বরে চোখ ধাঁধানো লাইটিং ও প্যান্ডেলে ইতিমধ্যে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে মন্দিরগুলো। পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির মধ্যে সর্ব আকর্ষণীয় আয়োজন করেছেন কপিলমুনি মিলন মন্দির ও পূর্বপাড়া হরিসভা দূর্গা মন্দির কমিটি। চিরাচরিত আয়োজনের মধ্যে ব্যাতিক্রমী রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর ভাস্কর্য সম্বলিত শিশু কাল থেকে যৌবন পরবর্তী তার নানা কৃতকর্ম ও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে অবস্থিত বেলুর মঠ আদলে গেট ও প্যান্ডেলের নানা কারুকার্য। সকল প্রস্তুতির মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা জুড়ে প্রতিটি পুজা মন্দিরে মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবক টিমের সাথে আনসার, পুলিশ ও সাদা পোশাকে থাকবে প্রশাসনের নিরাপত্তা রক্ষিরা। সকলে একত্রে সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবে। অত্র উপজেলার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ মন্দিরগুলোতে আমাদের সার্বক্ষণিক নজরদারী থাকবে। তবে এবার পুজায় পুলিশ হেডকোয়াটারের ৯৯৯ নাম্বার সেল ফোন কল জোরালো ভূমিকা রাখবে। সেখানে বিশেষ করে কোন দূর্গা মন্দির থেকে অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকায় ফোন যাওয়ার সাথে সাথে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের সকল প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আমাদের স্পেশাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোথাও কোন প্রকার নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির বার্তা পাওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বলাযায় এখনও পর্যন্ত পাইকগাছা উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধু ও সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস জানান, এ বছর উপজেলার ১৫৫ টি পুজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা উৎসব পালিত হবে। প্রতিটি মন্ডপের সকল কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নিরাপত্তার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুজা উদযাপন পরিষদের সকল নেতৃবৃন্দের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে পৃথক পৃথক মতবিনিময় করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে “ধর্ম যার যার উৎসব সবার” এর প্রতিফলন ঘটবে পাইকগাছাসহ কপিলমুনিতে।