কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডবে চলছে সাজ সাজ রব। সনাতন ধর্মর্ বিশ্বাসীদের সবচেয় বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয় দেশের অন্য ধর্মের মানুষও এ উৎসবে অর্šÍভুক্ত হন নানাভাবে। আগামী ২০ অক্টোবর ৬ষ্টী তিথিতে দেবীদূর্গার বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫ দিনব্যাপি দূর্গোৎসব। আর মাত্র কয়টা দিন বাকী তাই সারা দেশের ন্যায় উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ, মন্দির এবং প্রতিমালয় গুলোতে চলছে দেবী প্রতিমা গড়ে তোলার রং তুলির আঁচড়ের ধুম। অনেক আগেই উপজেলার ৪৮ টি স্থানে দেবীর মূল অবয়ব গড়ে তোলা হয়েছে। এখন শেষ পর্যায়ে চলছে রং তুলির কাজ। মাটির প্রলেপ শেষে মাতৃরুপকে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে ফুটিয়ে তুলতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করতে হয় প্রতিমা শিল্পী বা ভাস্করদের। কেননা পরম শ্রদ্ধা, আগ্রহ আর ভক্তিতে হাতের পরম আর তুলির আঁচড়ে মাটির মূর্ত হয়ে উঠেন দেবী। ফলে এখন বলা চলে গুরু দ্বায়িত্বের কারনে দম ফেলার ফুরসুরত নাই প্রতিমা কারিগরদের। উপজেলার দেয়াড়ায় সাতক্ষীরা যাদব ঘোষ ডেয়ারীর মানসী সার্বজনীন পূজা মন্ডপসহ পৌর সভার ৮ টি পূজা মন্ডপে ঘুরে দেখা গেছে প্রতিমা নিমার্ণে ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পরা। সোমবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার দেয়াড়া ঘোষপাড়া যাদব ঘোষ ডেয়ারীর মানসী দূর্গাপুজা মন্ডপে দেখা যায়, প্রতিমা শিল্পী চন্দন কুমার মন্ডল তার নরম হাতের রং তুলির আঁচড়ে মাটির মৃর্ত্যকে পূর্নাঙ্গ দেবীতে রুপান্তর করেছে। এ বছর কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ও পৌরসভায় মোট ৪৮ টি স্থানে দূর্গোৎসব উৎযাপিত হবে। এর মধ্যে ৮টিতে কোন ঝুঁকি নেই। আর ১৫ টি পূজা মন্ডপে গুরুত্ব সহকারে দায়িত্ব পালন করা হবে। ২৫ টি পূজা মন্ডপে অধিক গুরুত্ব সাথে পালন করা হবে জানা যায়। এ বছর পৌরসভাসহ মোট ৪৮ টি পূজামন্ডপের মধ্যে কলারোয়া পৌরসভার পার্লপাড়ায় চিনিগুড়া ধানের তৈরি দূর্গা পূজা জেলার শ্রেষ্ঠত্বের দাবী করেন আয়োজকরা। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহা.মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজাকে ঘিরে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী সার্বক্ষনিক নজর রাখছেন। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেলক্ষ্যে পুলিশ ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।