দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলার পর স্থল অভিযান শুরু হলেও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে গাজায় স্থল হামলা ব্যাপক ভিত্তিক করছে না ইসরাইল। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা স্থল হামলাতেও ব্যাপক ভিত্তিক বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছে আর এই বাঁধা প্রদান করছে হামাস, গাজার অভ্যন্তরে দীর্ঘ সুরঙ্গ পথ দিয়ে হামাস যোদ্ধারা উন্মুক্ত হয়ে ইসরাইলের ট্রাংক বহরে হামলা পরিচালনা করছে। হামাসের পাশাপাশি ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর পক্ষ হতে ও গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা চলছে, আজ ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধের এগারতম দিন, এই এগারদিনে উভয় পক্ষের অন্তত চার সহস্রাধীক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমা গন মাধ্যম গুলো জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সহসা ইসরাইল সফর করবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যুদ্ধের মধ্যে ইসরাইল সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পশ্চিমা মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের উদ্দেশ্যে বলেছে ইসরাইল যদি গাজা উপত্যকা দখল করতে চায় তবে তা হবে বড় ধরনের ভুল। গাজা স্থল অভিযানে এবং নির্বিচারে ফিলিস্তীনিদের হত্যা ও বসতি নিশ্চিহৃ করার ক্ষেত্রে ইসরাইল শক্তিশালী ও আরব দেশগুলোর সমর্থন পাচ্ছেনা। ইতিমধ্যে রাশিয়া ও চীন গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযানের বিপক্ষে মতামত প্রকাশ করেছে। ফিলিস্তীনিদের সকল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে না হামাস বিধায় হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় বসবাসরত চৌদ্দ লক্ষ ফিলিস্তীনির জীবন নিরাপত্তাহীন করার সুযোগ নেই। ইসরাইল এবং ফিলিস্তীন বিরোধ নতুন নয়, ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল বরাবরই দখল দারিত্ব এবং নির্মমতা চালিয়ে আসছে। গত দশ দিনে বিমান হামলা ও স্থল অভিযানের গাজার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কেবল বিপন্ন হইনি, প্রতিটি হাসপাতালে আহতদের আত্মচিৎকার আর নিহত ফিলিস্তীনিদের লাশের স্তুপ বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিচ্ছে। এক দিকে গাজা জ্বলছে অন্যদিকে কাঁদছে গাজা, সর্ব শেষ খবরে জানাগেছে ইসরাইলের পক্ষ হতে বলা হয়েছে তিন ঘন্টার মধ্যে সাধারন ফিলিস্তীনিদেরকে গাজা হতে চলে যেতে। কোথায় যাবে? জীবনের ভয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছে অসহায়, আশ্রয়হীন ফিলিস্তীনিরা পালানোতেও শান্তি নেই নিরাপত্তা নেই ইসরাইলের বিমান হামলা চলছে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়া ফিলিস্তীনিদের ইসরাইলের গাজায় স্থল অভিযানের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করেছে ইরান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তীনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে। গাজায় ইসরাইলে স্থল অভিযান চলমান বা জোরদার করা হলে মধ্যপ্রাচ্যের অপরাপর এলাকাগুলোতেও সংঘাত ছড়িয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ইসরাইলের স্থল অভিযানে ও বিমান হামলায় ফিলিস্তীনি মহিলা ও শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। ইসরাইলী সরকার স্বীকার করেছে সে গত সাত অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার চারশত নিহত হয়েছে এর মধ্যে দুই শত উননব্বুই জন সেনা ও কয়েকজন বিদেশী। গাজায় ইসরাইলের হামলা বন্ধ না হলে গাজায় দিনে দিনে লাশের সারি দীর্ঘ গতে দীর্ঘতর হবে এবং মানবিক বিপর্যয় ঘটবে ঐতিহাসিক গাজা উপত্যকার।