দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ দূর্গোৎসবের মহানবমীতে সাতক্ষীরার পুজা মন্ডব গুলো ছিল উৎসব আর উচ্ছ্বাসে ভরা। মন্ডবে মন্ডবে আনন্দ আয়োজন এবং শত সহস্র ভক্ত, দর্শনার্থীদের এক মন্ডব হতে অন্য মন্ডবের প্রতিমা দর্শন ছিল বিশেষ সুখ, সুধা আর আনন্দেভরা, জেলা শহরের মায়ের বাড়ী হতে শ্যামনগর, তালা, কলারোয়া, দেবহাটা, আশাশুনি, কালিগঞ্জ, উপজেলার পূজা মন্ডব গুলোতে আলো ঝলকানি, উৎসবের বরতার উপস্থিতি মহানবমীকে করে তোলে অনন্য সুধার স্পর্শে। সাইকেল, ভ্যান, মাইক্রো, ইজিবাইক, মহেন্দ্র, মিনিট্রাক এর বহর সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়ককে কেবল ব্যস্ত আর কোলাহলে পূর্ণতা করেনি, গ্রামের মেঠো পথ, ও ছিল ভক্ত, দর্শনার্থীদের মহা নবমীতে প্রতিমা দর্শনের মহা আয়োজনের ক্ষন, মন্ডব গুলোতে আলোক সজ্জার ঘাটতি ছিল না, মন্ডব সংলগ্ন এলাকাতে ব্যবসায়ীরা নানান ধরনের পরসা সাজিয়ে ক্রয় বিক্রয় করেছে। সাতক্ষীরার বিভিন্ন পূজা মন্ডব পরিদর্শনে দেবহাটার গাজিরহাট পুজা মন্ডবের প্রতিমা সাজ সজ্জা, বিস্তৃত ডেকোরেশন, লাইটিং বিশেষ মনোযোগ আর আকর্ষনীয় দেখা গেছে। সাতক্ষীরা শহরের মায়ের বাড়ী, শ্যামনগরের ও কলারোয়ার কয়েকটি পূজা মন্ডবের আয়োজন ছিল অসাধারন। জেলার ৬০৫টি পূজা মন্ডবের প্রতিটি মন্ডবের প্রতিমা তৈরী পূজা আয়োজনে মন্দির কমিটির কার্যক্রম প্রশংসার দাবী রাখে। সকল মন্ডবই আকর্ষনীয়। মন্ডবে মন্ডবে আলোকসজ্জার পাশাপাশি, ঢাক, ঢোল, বাশি সহ নানান ধরনের পূজার উপকরনে গতকালের মহানবমীতে উৎসবের আর আনন্দ আয়োজনের পরিপূর্ণতা থাকলে রাতে বিদায়ের সুর বাঁজতে থাকে। নবমীর শেষ রাতের উৎসবের শেষে দৃশ্যতঃ মন্ডবে মন্ডবে বিদায়ের ঘন্টা বয়ে যায়। বিজয়া দশমীতে দেবী দূর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে, আজ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দূর্গোৎসব। বাঙ্গালী উৎসব খ্যাত সম্প্রীতি আর সৌহাদ্দের সম্মিলন দূর্গোৎসব। দেবীদূর্গা এবছর এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে আজ বিদায় নেবেন (দশমীতে) একই বাহনে।