দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ মহানবমীর রাতেই পুজা মন্ডব গুলোতে বিদায়ের সুর বেজে উঠেছিল, গতকাল সন্ধ্যায় সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যেতেনা যেতেই দেবী দুর্গাকে অশ্র“সিক্ত নয়নে শত সহস্র ভক্ত বিদায় জানাতে থাকে। সাতক্ষীরার পাঁচশতাধিক পূজা মন্ডবের মধ্যে বিসর্জনের সময় বিশেষ আকর্ষনীয় এবং লোকজনের সর্বাধিক উপস্থিতি ঘটে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত বিভক্ত করন ইছামতির তীরে। গতকাল ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। দুই দেশের দুই সীমান্ত পারে ব্যাপক লোক সমাগম। যুগ যুগ ধরে বিজয়া দশমীতে ইছামতি নদীতে দুই দেশের প্রতিমা বিসর্জনের পাশাপাশি নদীর আর সীমান্ত রেখার ভেদাভেদ ভুলে একাকার হতো। দৃশ্যতঃ মিলন মেলায় পরিনত হতো। এবারও মিলন মেলার ঘাটতি ছিল না। কিন্তু ইছামিত সীমান্ত রেখা অতিক্রম করতে পারেনি দুই দেশের কেউ। নদীতে বাংলাদেশের জলসীমায় বিজিবি এবং ভারতের জলসীমানায় বিএসএফের ছিল সতর্ক প্রহরা। দেবহাটার সুশিলগাতী, চরশ্রীপুর, কালিগঞ্জের বসন্তপুর পারে বাংলাদেশীরা আর ভারত সীমান্ত পারের টাকীর রাজবাড়ী ঘাট, ঘোষবাবুর ঘাট, মুক্ত বাবুর ঘাট হিঙ্গলগঞ্জ পারে ভারতীয়রা অবস্থান নিয়ে প্রতিমা বিসর্জন প্রত্যক্ষ করেন। এর পূর্বে দুপুর হতে না হতেই সাতক্ষীরা জেলা শহর সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন ইছামতি পাড়ে উপস্থিত হতে থাকে। দেবহাটা থানা পুলিশের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা রোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক ছিল। গত কয়েক বছর যাবৎ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাধারনের নদীতে নামার সুযোগ না থাকলেও বিসর্জনের দিনে ইছামতি পাড়ে শত সহস্র মানুষের উপস্থিতির ঘাটতি ছিল না। সন্ধ্যার পর বিসর্জন শেষে যে যার গন্তব্যে ফেরে। উল্লেখ্য গতকাল রাতে সাতক্ষীরা কাটিয়া সর্বজনীন পূজা মন্ডপে প্রতিমা বিসর্জন সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি গৌরচন্দ্র দত্ত, সহসভাপতি শংকর রায়, পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক সাবেক প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাস, সদস্য সচিব মনোরঞ্জন গাইন সহ কমিটির সদস্য ও ভক্তবৃন্দ।