দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ সাতক্ষীরার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের “ছন্দে ছড়ায় রাসেল সোনা” কাব্য গ্রন্থটি বিশেষ উজ্জীবিত করেছে। উৎসাহ ভরে, আনন্দের সাথে বইটি পাঠ করছে। শিশু শিক্ষার্থীরা “ছন্দে ছড়ায় রাসেল সোনা” বইটি পাঠে বঙ্গবন্ধু কনিষ্ঠ পুত্র শিশু রাসেলের জন্ম, বেড়ে ওঠা, মানবিকতা, পড়ালেখা বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে থাকা নির্মম নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের সাথে যেমন পরিচিত হচ্ছে অনরুপ ভাবে গ্রন্থটির কবিতার ছন্দ, বাক্যবিন্যাস, শব্দের গাথুনি, ভাষার সরলতা, শ্র“তিমধুরতা, নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হওয়া, শব্দের বাক্যের সামঞ্জস্যতা, উচ্চারন সহ বইটিতে পারিবারীক আবহ অর্থাৎ পিতা পুত্র, মা, ভাই বোন এর গভীর সম্পর্ক সম্পর্কে শিশু মনে উজ্জ্বল প্রভাব পড়ছে এবং সহজেই হৃদঙ্গম হচ্ছে। বাংলা কবিতার পাশাপাশি শিশু রাসেলকে নিয়ে ইংরেজি কবিতা ও দৃশ্যমান। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা শিশুকাল হতেই ইংরেজি কবিতার সাথে পরিচিত হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে এই প্রতিবেদক প্রত্যক্ষ করেছেন শিশু শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু পাঠাগার ও রাসেল কর্ণারে বসে বইটি পাঠ করছেন। একে অপরকে আবৃত্তি করে শোনাচ্ছেন। শিক্ষকরাও কবিতার লাইন এর অর্থ বলছেন, ইংরেজি শব্দের অনুবাদ করে বাংলায় বলছেন। দৃশ্যতঃ ছন্দে ছড়ায় রাসেল সোনা” বইটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আর্শীবাদ তথা জানার অবারিত ক্ষেত্র যেমন বিস্তৃত করেছে অনুরুপ “বঙ্গবন্ধু পাঠাগার ও রাসেল কর্ণার” এই বইয়ের সংগ্রহে ও উপস্থিতিতে পাঠাগার সমৃদ্ধ হয়েছে এবং আলো ছড়াচ্ছে। আবুল বাসার বাচ্চু রচিত বইটি জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে যে সময় আলো ছড়াচ্ছে সেই মুহুর্তে একটি মহল বইটির বিতরন এবং সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অপচেস্টা করছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জানাগেছে বইটি সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের উপর কোন ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হইনি। স্বতস্ফুর্থ ভাবে প্রধান শিক্ষকরা শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রহন করেছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানাগেছে বইটি বিতরন বিষয়ক একটি পত্র প্রাপ্ত পরবর্তি সেটি উপজেলা শিক্ষা দপ্তরে প্রেরন করা হয়। প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক সহ শিক্ষক অভিভাবকরা ইতিমধ্যে বইটি পেয়ে পাঠ করে খুশি বিধায় বিতর্কের কোন সুযোগ নেই এমন মন্তব্য করেছেন শিক্ষকরা। ঝকঝকে বইটির প্রতিটি মূল্য পাঁচশত টাকা। শ্রেনি ভাগ করে বই সংগ্রহ করেছেন প্রথম শ্রেনি হতে পঞ্চম শ্রেনি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেনির জন্য একটি করে পাঁচটি এবং শিক্ষকদের জন্য একটি ছয়টি। কোন কোন বিদ্যালয়ের একাধিক শাখা ও অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকায় তাদের বইটির স্বল্পতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমনটি জানান দেবহাটার পারুলিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জিয়াদ আলী। অনুরুপ কথা বলেন দক্ষিন সখিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল আলম। তিনি আরও বলেন গত ১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু কনিষ্ঠ পুত্র রাসেল দিবসে উক্ত বই হতে শিক্ষার্থীরা কবিতা আবৃত্তি করেন। ছন্দে ছড়ায় রাসেল সোনা বই তারা আগ্রহ সহকারে সংগ্রহ করেছেন। শ্যামনগর শিশু শিক্ষা নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার কর্মকার, দৃষ্টিপাতকে জানান অত্যন্ত ভালমানের বই শিশু শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু কনিষ্ঠ পুত্র রাসেল সম্পর্কে জানতে পারছে। তিনি আরও বলেন আমরা প্রধান শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে বইগুলো সংগ্রহ করেছি। সব কিছু অর্থ দিয়ে মাপা যায় না বলে তিনি মন্তব্য করেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন দৃষ্টিপাতকে বলেন ছন্দে ছড়ায় রাসেল সোনা বইয়ের মান অত্যন্ত ভাল, আমার শিক্ষার্থীরা ছন্দ পড়ছে। আমার তিন শতাধীক শিক্ষার্থীর মাঝে বিশেষ উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যেহেতু আমার শিক্ষার্থী তিনশত পঞ্চাশ জনের বেশি বিধায় প্রতিটি শ্রেনির জন্য অন্তত একটি বই হলে ভাল হয়। সিলভার জুবলি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী জানান বইটির বিশেষ বৈশিষ্ট সুন্দর ছাপা এবং বঙ্গবন্ধু কনিষ্ঠ পুত্র রাসেল ও বঙ্গবন্ধু সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের দুর্লভ ছবি। শিক্ষার্থীরা আগ্রহ সহকারে কবিতা পাঠ করছে বলে তিনি জানান। সাতক্ষীরা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি পঙ্কজ কুমার বর্মন দৃষ্টিপাত কে জানান, সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি পঙ্কজ কুমার বর্মন দৃষ্টিপাতকে জানান বঙ্গবন্ধু কণিষ্ঠ পুত্র রাসেল কে নিয়ে লেখা বইটি আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোকিত প্রভাব ফেলছে। তিনি আরও বলেন একটি মহল বইয়ের সংখ্যা নিয়ে মূল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দৃশ্যত: বইটির মহত্বকে খাটো করছে। ছন্দে ছড়ায় রাসেল সোনা বইটি যখন জেলার প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে সেই সময়ে একটি মহল সদর শিক্ষা অফিসার আব্দুল গনির বিরুদ্ধে বিষাদগার করছে এবং কথিত দুর্নিতী ও অনিয়মের অভিযোগ তোলার অপচেষ্টা করছে। অত্যন্ত সৎ, দক্ষ এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বান্ধব উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল গনি জানান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কণিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল কে নিয়ে রচিত ছন্দ, কবিতা আমাদের শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেরণা। তিনি বলেন আমি শুনেছি কেও কেও শিক্ষক ছন্দে ছড়ায় রাসেল সোনা বইয়ের সরবরাহ বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন সহ অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী এ বিষয়ে জানান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পত্র শেখ রাসেল সম্পর্কে আমাদের শিশুদের জানতে হবে। নিষ্ঠুরতা আর হিংস্রতায় ঘাতকরা ছোট রাসেল কেও বাঁচতে দেই নি। শিশুরা বঙ্গবন্ধু কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলকে জানতে পারছে এটা বড় অর্জন।