দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইলের বর্বরতা থেমে নেই, হামলার ধরন আর প্রকৃতি বলে দিচ্ছে যে ইহুদী রাষ্ট্রটি ফিলিস্তীনিদের নির্মুলেই যত সব আয়োজন এবং তা সম্পন্ন করে চলেছে। একদা বিশ্বের সব প্রান্ত হতে এই ইহুদীরা বিতাড়িত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমান ইসরাইল নামক রাষ্ট্রে বসবাস শুরু করে। অথচ সময়ের ব্যবধানে তারাই আজ শক্তিশালী রুপে ফিলিস্তীনিদের নিশ্চিহৃ করনে নেমেছে। গতকালও চলেছে বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল হামলা, ইসরাইলের পক্ষ হতে দৃঢ় ভাবে বলা হয়েছে তারা কোন ভাবেই যুদ্ধ বিরতিতে যাবে না। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতা নিহায়ু কঠোর ভাবে বলেছে যে এখন যুদ্ধ চলছে, যুদ্ধের সময়, যুদ্ধ বিরতির প্রশ্নই আসে না, গাজার ফিলিস্তীনিদের প্রতিদিন সকাল শুরু হচ্ছে মৃত্য দানবকে সঙ্গী করে। পুরো গাজা উপত্যকা মৃত্যু পুরিতে পরিনত হয়েছে। মৃত্যুই যেন সেখানের স্বাভাবিক নিয়মে পরিনত হয়েছে। ইসরাইলের অত্যাধুনিক ট্যাংকের সাথে বীর বিক্রমে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে জবাব যোদ্ধারা। ইসরাইলের পক্ষ হতে স্বীকার করা হয়েছে যে হামাস যোদ্ধারা প্রতিরোধ হামলা পরিচালনা করছে। গতকাল হামাস যোদ্ধাদের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে যে, এক ইসরাইলী সেনাকে হত্যার পাশাপাশি একাধিক সাজোয়া যান ধ্বংস করা হয়েছে। ইসরাইলী বাহিনীর মুখপাত্র কর্ণেল জোনাথান বলেছেন হামাস যোদ্ধারা গাজার উত্তরাঞ্চলে বিচ্ছিন্ন ভাবে অবস্থান নিয়ে তাদের উপর হামলা করছে। তিনি আরও বলেন হামাস সদস্যরা গাজার বিভিন্ন মসজিদেও বেসামরিক স্থাপনায় অবস্থান করে ইসরাইলী বাহিনীর উপর হামলা পরিচালনা করছে। গাজায় গত দুই দিন যাবৎ ত্রান তৎপরতা নিয়মিত না থাকায় গাজা অধিবাসীদের মাঝে তীব্র খাদ্য অভাব দেখা দিয়েছে। ক্ষুধার যন্ত্রণায় ক্ষুধার্থ ফিলিস্তীনিরা ত্রান বহরে হামলা চালিয়ে খাদ্য ছিনিয়ে নিচ্ছে। আজ গাজায় হামলার ছাব্বিশ দিন পূর্ণ হতে চলেছে। ছাব্বিশ দিনে অন্তত আট হাজারের অধিক ফিলিস্তীনিকে হত্যা করেছে। ইহুদী বাহিনী এবং শতশত বসতবাড়ী বোমা হামলার মাধ্যমে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। ইসরাইল তার অত্যাধুনিক যুদ্ধ ট্যাংক তাদের জন্য অহংকার ছিল। কিন্তু হামাস যোদ্ধারা উক্ত অত্যাধুনিক ট্যাংক ধ্বংস করে যেমন নিজেদের শক্তি জানান দিল অন্যদিকে ইসরাইলকে প্রতিমুহুর্তে আতঙ্কিত করে তুলছে। উক্ত অত্যাধুনিক ট্যাংক এর কল্যানে হামাসকে ভয় দেখিয়ে এসেছে সেই ট্যাংক হামাসের কাছে কোন বিষয়ই নয়, ইসরাইলের জন্য বর্তমান সময় হামাসের পাশাপাশি আতঙ্কের নাম হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। ইসরাইলের অভ্যন্তরে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। প্রতিমুহুর্তে হামলা পরিচালনা করছে। ইসরাইলী বাহিনী কোন ভাবেই হিজবুল্লাহর হামলা প্রতিরোধ করতে পারছে না। যে কোন সময় হিজবুল্লাহ ইসরাইলের অভ্যন্তরে বড় ধরনের হামলা পরিচালনা করতে পারে এমন আশঙ্কা ইসরাইলের। ইরান এর পক্ষ হতেও যে কোন সময়ে ইরানে বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। ইরান বারবার বলে আসছে ইসরাইল যদি হামলা বন্ধ না করে তাহলে যুদ্ধের ক্ষেত্র অধিকতর এলাকায় ছড়িয়ে যেতে পারে আর এমনটি হয় তাহলে বিশ্ব আরও একটি বড় ধরনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে কিনা সেটাই বিশ্লেষনের বিষয়। ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ যদি বিশ্ব যুদ্ধের রুপ ধারন করে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। একদিকে পশ্চিমারা অন্যদিকে রাশিয়া, চীন, ইরান সহ মিত্র দেশগুলো। বিশ্ববাসি নিশ্চয়ই আরেকটি বিশ্ব যুদ্ধ দেখতে চাইছে না।