দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ বিশ্ব ব্যবস্থায় ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ঘনঘটা যেমন বর্তমান সময় গুলোতে বিষয় অনুরুপ ভাবে আন্তর্জাতিক বিশ্বে ব্যাপক ভাবে আলোচিত ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান। দেশটির নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সেনারা গৃহবন্দী করে ক্ষমতা দখল করেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ নাইজারের সরকার ও সেনা বাহিনীর মধ্যে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল তারই ধারাবাহিকতায় দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু সর্বশেষ বৈঠক ফলপ্রসু না হওয়ায় প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের সেনারা প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করে। গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে প্রকাশিত খবরা খবরে বলা হয়েছে নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষ ভূমিকা থাকতে পারে। দেশটির ক্ষমতাচ্যুত ও বন্দী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজেম এর প্রতি পরিপূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক মিডিয়া গুলোতে প্রকাশিত খবরা খবরে বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাইজারের সেনা বাহিনীকে ক্ষমতা নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। নাইজারের সেনা বাহিনীর পক্ষে অভ্যুত্থান ঘটানোর প্রধান হোতা প্রেসিডেন্ট গার্ডরেজিমেন্ট প্রধান আব্দুর রহমান চিয়ানি নিজেকে অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দাবী করেছেন। এদিকে নাইজারের অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে সর্বাপেক্ষা সহায়তা কারী সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাইজারকে সব ধরনের সহযোগিতা স্থগিত করার ঘোষনা দিয়ে বলেছে দেশটিতে গণতন্ত্র না ফিরলে ও গণতান্ত্রীক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাইজারকে সাহায্য বন্ধ রাখতে বাধ্য হবে। নাইজারের অভ্যন্তরীন পরিস্থিতির উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর ভাবে নজর রাখছে। দেশটির ক্ষমতা দখলকারী সেনা বাহিনীর অংশ এবং প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজেমএর অনুগত সেনা বাহিনীর সদস্যদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মিডিয়া প্রকাশিত খবরা খবরে বলা হয়েছে দুই দল সেনা সদস্যরা দৃশ্যতঃ মুখোমুখি অবস্থান করছে যে কোন সময়ে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতায় নামতে পারে।