শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৯ অপরাহ্ন

হাসপাতালের পর এবার এ্যাম্বুলেন্সে ইসরাইলের বোমা হামলা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইলী বাহিনী আবারও হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়েছে। কতটুকু নির্মম এবং বর্বর হলে চিকিৎসা নিতে আসা অসুস্থ ও আহত মানবতাকে হত্যা করতে পারে। এর পূর্বেও ইহুদীবাহিনীর সদস্যরা গাজার আল শিফা হাসপাতালে হামলা পরিচালনা করে। গাজা উপত্যকায় কয়েকটি হাসপাতালের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফা, এই হাসপতালটি এরা তাদের হামলার লক্ষ্য বস্তুতে পরিনত করেছে। হাসপাতালের পাশাপাশি ইসরাইলী বাহিনী রোগী বহনের মাধ্যম এ্যাম্বুলেন্সএ হামলা পরিচালনা করেছে। গতকাল আল শেফা হাসপাতালের সন্নিকটে রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স এ হামলা পরিচালনা করলে অন্তত ৬০/৬৫ জনের প্রাণ হানীর ঘটনা ঘটে। ইসরাইলী বাহিনী এ্যাম্বুলেন্স এ হামলার পক্ষে যুক্তি দিতে যেয়ে বলেছে যে হামাস যোদ্ধাদেরকে বহনের কাজে উক্ত এ্যাম্বুলেন্স টি ব্যবহত হচ্ছিল কিন্তু তার পক্ষে তারা কোন ধরনের প্রমান দাঁড় করাতে ব্যর্থ হয়। গাজার সামগ্রীক পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌচেছে যে ভূখন্ডটির কোন অংশই আর নিরাপদ নেই। খোদ জাতি সংঘ এমন মন্তব্য করেছে, জাতিসংঘের ফিলিস্তীনি শরনার্থী বিষয়ক পরিচালক টমাস হেয়াইট উপরোক্ত মন্তব্য করার পাশাপাশি বলেছেন, বিমান হামলার কল্যানে ফিলিস্তীনিদের বাঁচাতে জাতিসংঘের প্রায় করনীয় নেই বা কিছুই করার নেই। আজ গাজায় ইসরাইলী হামলার উনত্রিশ ুিুদনে তাদের বিমান ও স্থল অভিযানে অন্ততঃ দশ হাজার ফিলিস্তিিনর মৃত্যু ঘটেছে। এবং বিশ্ববাজারে অধিক ফিলিস্তীনি বিমান হামলায় আহত হয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিকেন দ্বিতীয় দফায় ইসরাইল সফর করেছেন এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠক করেছেন। পশ্চিমা মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরা খবরে বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির পক্ষে কথা বলেছেন কিন্তু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আটক ইসরাইলিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে। ইসরাইল ফিলিস্তীনি যুদ্ধ যে অধিকতর এলাকা বিস্তৃত হতে চলেছে এবং হামাসের সাথে হিজহবুল্লাহ, হুযি দের যোগ দেওযায় পাশাপাশি অন্যান্যদেশ ও এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত মিলছে। ইসরাইলের হামলার পর এই প্রথম সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হামান নাসরুল্লাহ বক্তব্য রেখেছেন। আল জাজিরা সহ পশ্চিমা বিশ্বের মিডিয়ার কল্যানে এই নেতার বক্তব্য বিশ্ববাসি শুনেছেন। বক্তব্য তিনি ইসরাইলের উপর হামাসের হামলাকে প্রশংসা করেছেন। ধারনা করা হচ্ছে হিজবুল্লাহ এই যুদ্ধে পুরোপুরি জাড়িয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংগ্রহে অনেকদুর এগিয়ে গেছে। হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা হামাসের সহযোগি হিসেবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা অত্যাধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র ইসরাইলের ভূখন্ডে নিক্ষেপ করছে, ইতিমধ্যে ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ লেবানন সীমান্ত হতে তাদের বসতি সরিয়ে নিয়েছে এবং লেবানন মুখি যুদ্ধের ফ্রন্ট খুলেছে। ইরানের পক্ষ হতে নিরস্ত্র ফিলিস্তীনিদের উপর হামলা বন্ধের আহবান জানানোর পরও হামলা বন্দ না হওয়ায় ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধের ইরান জড়িয়ে পড়লে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। গাজার পথে প্রান্তরে সর্বত্র রক্ত আর লাশ, রয়টার্স এর এক খবরে বলা হয়েছে গাজায় কেবলমাত্র হামলা আর হামলা চলছে, ইসরইলী বাহিনী কোন কিছুই তোয়াক্কা করছে না। এদিকে হামাস যোদ্ধারা গাজা সিটির নিচে সুরক্ষিত সুরঙ্গে অবস্থান করে ইসরাইলের হামলার জবাব দিচ্ছে। হামাসের হামলা ইসরাইলের জন্য বিপদ জনক কারন তাদের প্রযুক্তি সমৃদ্ধ অত্যাধুনিক যুদ্ধ ট্রাংক কে পর্যন্ত হামাসের হামলায় ধ্বংস প্রাপ্ত হয়েছে। ইসরাইলী বাহিনী বর্তমান সময়ে গাজার চারিদিকে ঘিরে অবস্থান করছে যে কোন সময়ে আরও বড় ধরনের হামলা করতে পারে দখলদার বাহিনী। ইসরাইলী বাহিনী বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের মাধ্যমেই ফিলিস্তীনিদের নিশ্চিহৃ করার পরিকল্পনা করছে। যতই দিন যাচ্ছে ততোই ইসরাইলের হামলা জোরদার হচ্ছে অন্যদিকে হামাসের প্রতিরোধ শক্তিশালী হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com