আরব নেতারা ফিলিস্তীনিদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ঃ অবিলম্বে হামলা বন্ধের আহবান
দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ সারা বিশ্ব দৃশ্যতঃ দখলদার এবং মানবতা হত্যাকারী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। দেশে দেশে ইসরাইল বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে তো চলছেই। ইসরাইলের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র আর প্রযুক্তি নির্ভর অস্ত্র নিরীহ, নিরস্ত্র ফিলিস্তীনিদের উপর প্রয়োগ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্ব ইসরাইলকে পুরোপুরি সমর্থন সহযোগিতা সেই সাথে সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করছে। জাতিসংঘ বিশ্ব মানবতার সর্বেসর্বা আর জাতিসংঘ নিরীহ ফিলিস্তীনিদের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। অতি সম্প্রতি জাতিসংঘ এক বিশেষ অধিবেশনের মাধ্যমে ফিলিস্তীনিদের জন্য আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ ঘোষনা করেছে। ইসরাইল হামাস যুদ্ধ কেবলমাত্র হামাসের জন্য কঠিন এবং কঠোর হচ্ছে তা নয়, এই যুদ্ধ ইসরাইলে জন্য অতি চ্যালেঞ্চ এবং আতঙ্কের। ইহুদী সেনারা প্রতিনিয়ত হামাস যোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ছে। অসাধারন সাহস আর বীরত্বের সাথে হামাস যোদ্ধারা প্রাণপনে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনা করে চলেছে। ইসরাইলের অভ্যন্তরে ইহুদীরা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিহানু সহ তার সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক বিক্ষোভ করেই চলেছে। ইসরাইল সেনারা গাজায় হামাসদের হামলায় কেবল বিপর্যস্থ হচ্ছে না প্রতিদিনই ইহুদী সেনাদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। হামাস গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সাফল্য পেয়েছে। ইসরাইলের সামরিক বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ গাজার যে স্থানে অ’বস্থান করে যুদ্ধ পরিচালনা অর্থাৎ ফিলিস্তীনিদের উপর হামলা পরিচালনা করে আসছিলেন হামাস যোদ্ধারা সেই ভবনে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করে উক্ত ভবন উড়িয়ে দিয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে হামলায় ইহুদী সামরিক বিদরা হত্যার শিকার হয়েছে তবে ইসরাইলের পক্ষ হতে বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকার করেনি। বিশ্বের একের পর এক দেশ ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ইতিমধ্যে একটি দেশ ইসরাইলের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এবং দুই দফায় দশ দেশ ইসরাইলি হতে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে। গাজায় হামাস যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনা করছে অন্যদিকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরাইলের অভ্যন্তরে বিক্ষিপ্ত হামলার পর এবার নিয়মিত হামলা শুরু করেছে। এর পূর্বে ইসরাইলী বাহিনী লেবাননে হামলা পরিচালনা করে। মিশরের অবস্থান অতি সুদৃঢ় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইতিমধ্যে আরব নেতাদের সাথে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বৈঠকে তিনি স্পষ্ট ভাবে পশ্চিমা নেতাদের ভন্ডামী ও দ্বিমুখি ভাবের পরিবর্তন এর আহবান জানান একই সাথে ইসরাইলের হামলা বন্ধের দাবী জানান। আরব বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ সৌদি আরব অতীতের যে কান সময় অপেক্ষা বর্তমান সময়ে সৌদি আরব ফিলিস্তীনিদের প্রতি যত্নশীল যে কারনে ফিলিস্তীনিদের উপর হামলার কারনে সৌদি আরব ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন স্থগিত করেছে। ইসরাইলী বাহিনী গাজার হামাস নির্মুলের নামে ফিলিস্তীনিদের দৃশ্যতঃ নির্মূল মিশনে নিমেছে। ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের ভাবনার বাইরে ছিল যে হামাসের পক্ষ হতে গত সাত অক্টোবর দুর্ধষ হামলার বিষয়ে বিশ্ব সেরা গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদক অন্ধকারে রেখে ইসরাইলী জনগনের ও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর উপর সফল হামলা হামাসের জন্য কেবল বীরত্বপূর্ণ তা নয় বিস্ময়কর বিষয় বটে। গত একমাস দুই দিন যাবৎ হামাসের সাথে ইসরাইলী বাহিনীর যুদ্ধ চলছে তো চলছেই। প্রতিদিনই ইসরাইলী সেনারা মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। ইসরাইলী সেনা বহর, সামরিক যান সহ অত্যাধুনিক ট্যাংক হামাস যোদ্ধাদের হামলার শিকার হচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী প্রতিদিনই গাজায় একশত চল্লিশজন শিশু মৃত্যুবরন করছে এবং মৃত্যুর জন্য কেবলমাত্র দায়ী এবং কারন ইসরাইলের বিমান হামলা, জাতিসংঘের পক্ষ হতে আবারও ইসরাইলকে হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলা হয়েছে অবিলম্বে ইসরাইলকে গাজায় হামলা পরিচালনা বন্ধ করতে হবে। জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন হামাস কর্তৃক ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলার ক্ষেত্র একদিনে তৈরী হইনি। জাতিসংঘের বক্তব্যে ইসরাইল সরকার যুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছে জাতিসংঘের কোন কর্মকর্তাকে ইসরাইলের ভিসা প্রদান করা হবে না।