শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ন

হামাসের সাথে সমঝোতায় ইসরাইল : যুদ্ধ বিরতি কার্যকর

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩

বন্দী বিনিময় চুক্তি প্রথম দফায় পঞ্চাশ ইসরাইলী ও একশত ফিলিস্তিনী নারী শিশু মুক্তি পাবে ঃ পরবর্তি প্রতিদিন দশ জনের বিনিময়ে একদিন যুদ্ধ বিরতি ঃ ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কা ইসরাইল চুক্তি ভঙ্গ করে কিনা ঃ হামাসের সুড়ঙ্গ পথ পাইনি ইসরাইল ঃ নির্মূল হইনি হামাস ঃ চৌদ্দ হাজার ফিলিস্তীনি নিহত ঃ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার
দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইল এবার হামাসের সাথে সমঝোতায় আসলো। দীর্ঘ ৪৭ দিন ফিলিস্তীনিদের উপর নির্মম, নিষ্ঠুর ভাবে বোমা হামলা ও গণহত্যা পরিচালনা করে হামাসের সাথে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে দেশটির মন্ত্রিসভা, গতকাল আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে প্রকাশিত খবরা খবরে বলা হয়েছে ইসরাইল হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বিরতির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করেছে কাতার। আর এই যুদ্ধ বিরতির ঘটনাটি তখনই ঘটলো যখন অন্তত চৌদ্দ হাজার নিরীহ ফিলিস্তীনিকে নির্দয় ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হলো। বর্বর ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত এবং প্রতিমুহুর্তে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করেও হামাস এর সন্তান যেমন পাইনি অনুরুপ ভাবে হামাসের সুড়ঙ্গ ও তারা পাইনি। অবশেষে সব ধরনের প্রচেষ্টা স্বত্ত্বেও ইসরাইলী বাহিনী হামাসকে নির্মূল করতে ব্যর্থ হয় বন্দী বিনিময় চুক্তি ও যুদ্ধ বিরতি তে সায় দিয়েছে। ইসরাইলের মন্ত্রীসভা জানিয়েছে পঞ্চাশজন ইসরাইল জিম্মি কে দেওয়া হবে এবং এই চারদিনের মধ্যে কোন ধরনের বিমান হামলা পরিচালনা করা হবে না। গাজায় ইসরাইলের কোন ধরনের সামরিক যানবাহন এর অস্তিত্ব থাকবে না এমনকি চারদিনের মধ্যে কোন দিন গাজায় ইসরাইলের ড্রোন উড়বে না। হামাস প্রাথমিক পর্যায়ে পঞ্চাশ ইসরাইলী সসম্মানে মুক্তি পরবর্তি তাদেরকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে ইসরাইলী ভূ-খন্ড পৌছে দেবে। চারদিন পর হতে প্রতি এক দিন যুদ্ধ বিরতির কল্যানে হামাস দশজন করে ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। উল্লেখ্য গত সাত অক্টোবর ফিলিস্তীনি মুক্তি সংগ্রাম হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের সব ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙ্গে ইসরাইলের সব ধরনের রকেট ও ড্রোন ব্যবস্থাকে অকেজো করে ইসরাইলের অভ্যন্তরে সামরিক হামলা পরিচালনা করে উক্ত হামলায় ইসরাইলের অন্তত চৌদ্দশত সামরিক ও বেসামরিক লোক কে হত্যা করে হামাস একই সাথে হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের দুইশত চল্লিশ জন সামরিক ও বেসামরিক নাগরিককে অপহরন করে নিয়ে আসে যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অপরাপর দেশের নাগরিকরাও ছিল। সেই থেকে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে গাজায় বিমান হামলা সহ সামরিক অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ইসরাইলী বাহিনী হামাস নির্মূল ও বন্দীদের উদ্ধারে তাদের অভিযান উল্লেখ দৃশ্যতঃ তারা হামাস সদস্যদের নির্মূল করতে পারেনি, তাদের সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত বা সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করতে পারেনি, যেটা হয়েছে তা হলো নিরীহ, নিরস্ত্র অন্তত চৌদ্দ হাজার ফিলিস্তীনিকে হত্যা করেছে। ইসরাইল বাহিনী গাজার বিখ্যাত হাসপাতাল সহ অন্তত ডজন খানেক হাসপাতালে বিমান হামলা পরিচালনা করে ধ্বংস স্তুপে নিক্ষিপ্ত করেছে। গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। সর্বশেষ তারা কোন উপায় না পেয়ে হামাসের সাথে চুক্তি করতেবাধ্য হয়েছে। ইসরাইলী বাহিনী হামাস নির্মুলের লক্ষে হামলা পরিচালনা করলে ও গাজায় প্রতিদিনই হামাসের হামলায় ইসরাইলি সেনা বাহিনীর সদস্যরা নিহত ও আহত হয়েছে। বিশ্বের অত্যাধিক সামরিক ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ শক্তিশালী দেশ ইসরাইল কোন ভাবেই হামাসের সাথে লড়াই করে তাদের নির্মূল পরবর্তি ইসরাইলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে চুক্তি অনুযায়ী গাজার অভ্যন্তরে খাদ্য, ঔষধ সহ অপরাপর পণ্যবাহী যানবাহন প্রবেশ ইসরাইল কোন ধরনের বাঁধা দেবে না বলে বলা হয়েছে। গতকাল শতাধিক ত্রান পণ্যবাহী ট্রাক ও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন গাজায় ঢুকেছে। ফিলিস্তীনিরা আশঙ্কা করছেন ইসরাইল যে কোন সময়ে এবং যে কোন ধরনের অজুহাতে যুদ্ধ বিরতির ভঙ্গ করতে পারে এবং নির্মমভাবে হামলায় মেতে উঠতে পারে। দক্ষিন আফ্রিকা ইসরাইল হতে তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে এবং দেশটির পার্লামেন্ট ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিহানুকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন। সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে যুদ্ধ বিরতি ঘোষনা করলেও ইসরাইল হামাস নির্মূল মিশন হতে নিজেদেরকে গুটিয়ে রাখবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com