নিহত প্রকৌশলী খুলনা মোংলা রেলপথ উন্নয়নে কাজ করছিলেন ঃ স্বস্ত্রীক ফিরছিলেন ভারতে। শোকাহত সাতক্ষীরাবাসি।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মোংলা রেলপথ সম্প্রসারন ও উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ভারতীয় নাগরিক পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ী এলাকার প্রকৌশলী অসীম কুমার বিশ্বাস (৬০) ও তার স্ত্রী ছবি বিশ্বাস (৪৮) গতকাল সকাল সাতটার দিকে সাতক্ষীরা শহরস্থ বিজিবি হেড কোয়াটার সংলগ্ন সড়কে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরন করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে রেলপথ উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাজ করা প্রকৌশলী গতকাল প্রাইভেটকার যোগে স্বস্ত্রীক খুলনা হতে রওয়ানা হয়ে সাতক্ষীরা হয়ে ভোমরা ইমিগ্রেশনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে খুলনা সাতক্ষীরা সড়কের বিজিবি গেট সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে বিপরীতমুখ দিয়ে আসা ট্রাক এবং প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হন প্রকৌশলী দম্পতি। দ্রুতগতিতে চলা ঘাতক ট্রাকটির ধাক্কায় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রাইভেকারটি চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে যায়। ঘটনার পর পরই স্থানীয় জনসাধারন দূর্ঘটনা কবলিত দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কার হতে প্রকৌশলী দম্পত্তিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে দূর্ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দূর্ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে এবং ঘাতকট্রাকটি হেফাজতে নেয়। দূর্ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাক চালক পালিয়ে যায়। প্রাইভেটকার চালক রফিকুল ইসলাম সজিব কে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অবস্থার অবনতি ঘটলে খুলনায় নেওয়া হয়। সর্বশেষ খবরে জানাগেছে খুলনা আড়াইশত বেড হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন তার অবস্থান আশঙ্কাজনক। সাতক্ষীরা সদর থানা ওসি মইনুল ইসলাম জানান দূর্ঘটনায় নিহত দুই ভারতীয় নাগরিকের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। দূর্ঘটনা স্থলে পুলিশ যেয়ে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করে। সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আইফুজ্জামন এর নেতৃত্বে সদস্যরা অবস্থান নিয়ে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেন। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে মোংলা কর্মরত ও খুলনায় অবস্থানরত রেলবিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও ভারতীয় প্রকৌশলীরা দূর্ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন। ভারতের দুই নাগরিকের মর্মান্তিক মৃত্যু দূর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত শত শত মানুষ শোকাহত দেখা গেছে। বাংলাদেশের রেলের উন্নয়নে নিহত প্রকৌশলীর অবদান এর কথা আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলছিলেন উপস্থিত জনসাধারন। দীর্ঘ কাজ শেষে নিজ দেশে ফেরার প্রাক্কালে মৃত্যু এটাই হয়ত নিয়তি। গতকালের দূর্ঘটনাটি ছিল যেমন মর্মান্তিক, প্রাইভেটকারটি অস্তিত্বহীন মনে হচ্ছিল অনুরুপ ভাবে দূর্ঘটনাস্থলে অত্যাধুনিক জন মানুষের উপস্থিতি সেই সাথে শোক প্রকাশ সব মিলে সাতক্ষীরার জন সাধারন গতকাল ভয়াবহ দূর্ঘটনা দেখলো এবং বেদনা বিধুর পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হলো।