স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা র্যালী আলোচনা সভা ও জয়িতা সংবর্ধনা সহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যমে বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে। “নারীর জন্য বিনিয়োগ সহিংসতা প্রতিরোধ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলা মহিলা অধিদপ্তরের আয়োজনে গতকাল সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক একেএম শফিউল আযমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, অতি: জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: সরোয়ার হোসেন। তিনি জয়িতাদের মাঝে পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করেন। এসময় বলেন, নারী জাগরনের ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়া শওকাত হোসেনের যে অবদান রেখে গেছেন সেটা ভোলার নয়। তিনি নারীদের শিক্ষা গ্রহণের উৎসাহিত করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। বেগম রোকেয়ার কোন স্কুলে পড়াশুনা করতে দেওয়া হয়নি। ভাইদের কাছে থেকে শিক্ষা গ্রহন করেন। তিনি শিক্ষার আলো না ছড়ালে আজও নারীরা পিছিয়ে থাকতেন। বর্তমান সময়ে নারীরা সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। নারী অগ্রসরের জন্য মহিলা অধিদপ্তরে ভূমিকা প্রশংসনিয়। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরা, জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী জ্যোস্না দত্ত, প্রোগ্রাম অফিসার (ওসিসি) আব্দুল হাই। এসময় বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি ও মহিলা অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এরপূর্বে সকাল সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আলোচনা সভায় মিলিত হন। এবার জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িদা সম্মাননা পেলেন যারা- অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী রাফিজা খাতুন, শিক্ষা ও চাকুরীতে বিপাশা বিশ্বাস, সফল জননী অনুরাধা ঘোষ, নির্যাতনের বিভাষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যামে জীবন শুরু করেছে যে নারী সাম্মী আক্তার রিতা ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন কহিনুর ইসলাম। উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন, অর্থনৈতিক ভাবে জ্যোস্না আরা, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে তাজবীনা ইয়াসমিন, সফল জননী মো: আনোয়ারা হক, নির্যাতনের বিভিষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছে যে নারী আক্তার রিতা ও সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখেছেন যে নারী গ্রাজিয়েল্লা মিলানো ও কোহিনুর ইসলাম। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা মহিলা অধিদপ্তরের সুলতানা রাজিয়া, তাসরিনা ও করবী।