ভিতি ছড়িয়ে পড়েছে সাধারন ইসরাইলিদের মাঝে ও ঃ গোটা ইহুদীদের মাঝে হামাস আতঙ্ক ঃ ইসরাইলের আক্রমনে ফিলিস্তীনিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে ঃ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ঃ হামাসের প্রতি সমর্থন বাড়ছেঃ দক্ষিন গাজায় হামলার তীব্রতায় ঘরবাড়ী সড়ক ফাকা ঃ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাশ দাফন করা হচ্ছে ঃ লোহিত সাগরে হুতিযোদ্ধাদের সতর্ক প্রহরা ঃ ইসরাইল গামী জাহাজ আটক করা হচ্ছে ঃ দক্ষিন লেবাননে ইসরাইলের হামলা ঃ পাল্টা হামলা লেবাননের ঃ যতদিন পর্যন্ত হামাস নির্মূল না হবে ততোদিন পর্যন্ত হামলা বললেন জো বাইডেন
দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর গাজা ভূ-খন্ড হামলা থেমে নেই। দুই মাসের অধিক সময় যাবৎ ইসরাইলি বর্বর সেনারা গাজার উত্তর পশ্চিম, দক্ষিন এমনকি শান্তিপ্রিয় লামাল্লা শহরেও বিমান হামলা পরিচালনা করে আসছে। প্রতিদিনই হামলায় ফিলিস্তীনির সংখ্যা উনিশ হাজার ছুই ছুই করছে। গাজার প্রতিটি এলাকাতে ফিলিস্তীনিদের মরদেহ। গতকাল ও স্বেচ্ছাসেবি ও আন্তর্জাতিক রেডক্রসএর সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিকৃত লাশ গুলো একত্রিত করে গণকবরে সমাধিত করেছে। শরনার্থী শিবির গুলোতেও থাকছে না কোন ধরনের নিরাপত্তা এবং খাদ্য, সর্বত্র হাহাকার এবং ক্ষুধায় বিপর্যস্থ গাজার বিস্তীর্ণ জনপদ। দখলদার ইসরাইল গাজার ফিলিস্তীনিদের হত্যার পাশাপাশি গাজাকে পুরোপুরি নিশ্চিহৃ, অস্তিত্বহীন আর মরুভূমি বানাতে তৎপর। গত দুই দিন যাবৎ সাগরে পাম্প খাটিয়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হামাসের সুড়ঙ্গগুলোতে পানি ঢুকাচ্ছে। সাগরের লবনাক্ত পনি কেবল সুড়ঙ্গগুলোকে ধ্বংস করবে তা নয়, উক্ত পানির প্রভাবে গাজা মরুভুমিতে পরিনত হবে। অবশ্য হামাস সদস্যদের পক্ষ হতে বলা হয়েছে ইসরাইলের লবনাক্ত পানির কল্যানে তাদের সামান্যতম ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। গতকাল ইসরাইলি সেনারা হামাসের হতে চরম হামলা ও প্রতিরোধের মুখে পড়ে এবং হামাসের হামলায় দশ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড জানায় তারা অতি অত্যাধুনিক ও ব্যাপক বিধ্বংসী ডিভাইস দিয়ে ইসরাইলি সেনাদের উপর হামলা চালিয়েছে এবং উক্ত হামলায় দশজন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। গতকাল গাজার সুজাইয়া এলাকায় ইসরাইলি সেনাদের উপর এমন হামলা চালায় হামাস। হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড আরও জানায় তারা গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকার চারটি ইসরাইলি মারকাভা ট্রাংক ধ্বংস করে দিয়েছে। উল্লেখ্য ইসরাইল নামক দেশটির অহংকার মারকাভা ট্রাংক সেই অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী ট্রাংক ধ্বংস করা হামাসের জন্য বিশেষ সক্ষম ও শক্তির মংলা হিসেবেই দেখছে যোদ্ধারা। হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলি বাহিনী ও ট্রাংক ধ্বংস করতে তাদের উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তিতে তৈরী আর ইয়ামিন ১০৫ রকেট ব্যবহার করেছে। অন্যদিকে ইসরাইলের পক্ষ হতে বলা হয়েছে গাজার একটি এলাকায় আমাদের সেনারা বুঝতে পারেন যে হামাস সন্ত্রাসীরা তাদেরকে অনুরসন করছে সে কারনে তারা অভিযান পরিচালনা করে ও গাজার একটি স্কুলে তারা হামাস এর সুজাইয়া ব্যাটালিয়নকে ধ্বংস করে। কাতার ভিত্তিক আল হাজিরা টেলিভিশন অতি গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশ করেছে তারা বলেছে হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের সেনা বাহিনীর ওয়েব সাইট হ্যাক করে। সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে ইসরাইল প্রযুক্তিকে এগিয়ে থাকলেও দীর্ঘসময় পর্যন্ত তারা তাদের ওয়েব সাইট (সেনাবাহিনী) ফিরে পাইনি। হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের উদ্দেশ্য বলেছে দখলদার বর্বর ইসরাইল বাহিনীর সদস্যরা আমাদের ভাই বোন পিতা মাতাকে হত্যা করে চলেছে আমরা ও তাদেরকে কোন ভাবেই শান্তিতে থাকতে দিতে পারি না। এদিকে হামাস সদস্যদের হামলায় নিহত ইসরাইলী সেনাদের বিষয়ে গোটা ইসরাইল ময় শোকাহত পরিবেশ বিরাজ করছে। পরপর হামাসের দুই হামলার প্রথম হামলায় বিশ ও গতকাল দ্বিতীয় হামলায় দশ জন সেনার সর্বমোট ত্রিশ জন সেনার নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসরাইলি সেনাদের মাঝে এক ধরনের মৃত্যু আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাধারন ইসরাইলিদের মাঝে ও হামাস আতঙ্ক ভর করেছে। ইতিমধ্যে বহুসংখ্যক ইহুদী ইসরাইল ত্যাগ করেছে। জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে গাজা যুদ্ধ বন্ধে ও যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাশ হওয়ায় ইসরাইল বিশেষ ধরনের চাপে পড়ছে। ইহুদীদের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন যতদিন পর্যন্ত হামাস নির্মূল না হবে ততোদিন পর্যন্ত ইসরাইলের সেনা বাহিনী গাজায় অভিযান পরিচালনা করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও তার মিত্রদের পরিপূর্ণ সমর্থন ইসরাইলের প্রতি, এদিকে গাজার সর্বত্র বিশেষ করে দক্ষিন গাজায় হামাসের পক্ষে সাধারন ফিলিস্তীনিদের সমর্থন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের মাঝে ভিতিকর পরিস্থিতির অবতরনা ঘটছে। গতকালও লেবানন ও ইসরাইলের সেনাদের মাঝে গোলা বিনিময় হয়েছে। ইসরাইল বাহিনী দক্ষিন লেবাননের কয়েকটি শহরে ব্যাপক ভিত্তিক বোমা হামলা চালিয়েছে অন্যদিকে লেবাননের সেনা বাহিনী ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে হামলা চালিয়েছে। লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের সতর্ক অবস্থান এবং ইসরাইল মুখি জাহাজ আটকের ঘটনা ঘটছে। যতই দিন যাচ্ছে ততোই ইসরাইলের জন্য বিপদজনক পরিস্থিতির অবতরনা ঘটছে।