শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন

ইসরাইল গোয়েন্দা প্রধান কাতারে উদ্দেশ্য হামাসের সাথে যুদ্ধ বিরতি নিয়ে আলোচনা, উত্তরগাজা ও খান ইউনুসে হামাসের মুহুর

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

মুহুর প্রতিরোধ হামলা ঃ আতঙ্কে ইসরাইলি সেনারা ঃ লেবাননের নিয়মিত সেনাদের ইসরাইলের অভ্যন্তর হামলা ঃ লোহিত সাগরে হুতিরা আবার ইসরাইলের জাহাজ আটকে দিয়েছে ঃ গাজায় হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের উপক্রম ঃ তিন সেনা হত্যায় ইসরাইল উত্তাল ঃ প্রবল প্রতিরোধে নেতানিয়াহু সরকার, ইসরাইলের পর্যটন শহরে হামলা পর তেল আবিবে হামলা ইয়েমেনের ঃ ইরান, চিন সৌদি আরবের পর এবার তুরস্কের হুশিয়ারী ঃ ক্ষুধায় রাস্তায় রাস্তায় পড়ে আছে ফিলিস্তীনিরা
দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দফায় দফায় বিমান হামলা পরিচালনা করে বর্বর ইসরাইলি বাহিনী হাজার হাজার ফিলিস্তীনিকে হত্যা করলেও তারাও প্রতিমুহুর্তে হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা প্রতিরোদ হামলার মুখে পড়ে একের পর এক সৈন্যকে হারাচ্ছে। হামাসের হাতে বন্দী তিন সৈন্যকে হত্যা করার পর নিজ দেশে ইসরাইলি সেনারা নিজ দেশে কেবল সমালোচনার মুখে নয়, দৃশ্যতঃ ইসরাইলের অভ্যন্তরে সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। হামাসের বন্দী দশা থেকে তিন ইসরাইলি বেরিয়ে আসতে পারলেও নিজ দেশের সেনাবাহিনীর গুলিতে তারা হত্যাকান্ডের শিকার হয়। পশ্চিমা মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে তিন ইসরাইলি গাজার উত্তরাঞ্চলের একটি ভবন থেকে বেরিয়া এসে সাদা পতাকা উত্তোলন করলে ইসরাইলি বাহিনী মনে করে যে তারা হামাস সদস্য সেনাদেরকে ধোকা দিতে বা ফাঁদে ফেলতে সাদা পতাকা উত্তোলন করছে, মুহুর্তে ইসরাইলি সেনারা গুলি বর্ষন করলে ঘটনাস্থলেই দুই ইসরাইলের মৃত্যু ঘটে। এখানেই শেষ নয় ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে আরও এক ইসরাইলি নিহত হয়। নিহত ইসরাইলের মৃত্যুতে প্রথমে ইসরাইল হামাস কে দায়ী করলেও দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের ঘোষনায় বলা হয়েছে ইসরাইলি সেনারা ভুল করে উক্ত ইসরাইলিকে হত্যা করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের খবরে আরও বলা হয়েছে ইতিমধ্যে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ চার ইসরাইলের নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র অপ্রতিরোধ্য হামলায় প্রতিনিয়ত ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে এবং সৈন্য হারাচ্ছে ইসরাইল সে কারনে ইসরাইল আবারও গাজায় যুদ্ধ বিরতির আলোচনা শুরু করেছে ইসরাইল। ইতিমধ্যে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান কাতারে পৌছেছে। গতকাল পশ্চিমা মিডিয়া গুলোর খবরে বলা হয়েছে কাতারের রাজধানী দোহায় দেশটির আমীরের নেতৃত্বে ইসরাইল, হামাস এর মধ্যে যুদ্ধ বিরতির আলোচনা শুরু হয়েছে উক্ত আলোচনায় মার্কিন সিআইএর প্রধান ও মিশরের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলোচনায় অংশ নিয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে গাজায় হয়ত আবারও যুদ্ধ বিরতির ঘটনা ঘটতে পারে। ইসরাইল গাজায় হামলা ও ফিলিস্তীনিদের নির্বিচারে গণহত্যা পরিচালনা করায় তারা কেবল গাজাতেই হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা কেবল হামলার শিকার হচ্ছে তা নয়, সারা বিশ্বে আফ্রিকা, ইউরোপ হতে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের সর্বত্র হামলার শিকার হচ্ছে। এমনকি দখলদার ইসরাইলি বাহিনী সাগরেও হামলার শিকার হচ্ছে। লোহিত সাগর, ভূ-মধ্য সাগরে এমনকি আফ্রিকার পানি পথ গুলোতেও নিরাপদ নয় দখলদার মানবতা হত্যাকারী ইসরাইলি বাহিনী। গতকাল পশ্চিমা মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে হুতি যোদ্ধারা আবারও লোহিত সাগরে ইসরাইল মুখি দুইট জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতি যোদ্ধারা, খবরে জানাগেছে গত দুই দিনে হুতি যোদ্ধারা দুইটি ইসরাইল গামী জাহাজ আটক করেছে। আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগরে চলাচল করা জাহাজগুলো পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লোহিত, ভূমধ্য সাগরে সহ অন্যান্য সাগরে চলাচল করা জাহাজ গুলোকে যাত্রা বিরতির কথা বলা হয়েছে। এদিকে ইয়েমেনের পক্ষ হতে ইসরাইলের ভূ-খন্ডে গত দুই দিন যাবৎ কয়েক দফায় ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করেছে উক্ত হামলায় ইসরাইলের পর্যটন শহর নামে খ্যাত শহরটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লোহিত সাগর ঘেসা পর্যটন শহরটিতে মুহুর মুহুর হামলা চালিয়ে আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি করে। একদিকে হামাস অন্যদিকে হুতি সেই সাথে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা সকলেই এক সাথে ইসরাইলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রতিমুহুর্তে হামলা পরিচালনা করছে। ইসরাইল লেবাননের জন্য আরও একটি যুদ্ধ ফ্রন্ট খুলেছে। গত সপ্তাহ ব্যাপী লেবানন ইসরাইলের অভ্যন্তরে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করছে। বর্তমান সময় গুলোতে বেনজামিন নেতানিয়াহুর সরকার ইসরাইলের অভ্যন্তরে চরম অস্বস্থিকর পরিস্থিতিতে আছে আর এ কারনে প্রতিদিনই সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে ইসরাইলে। গতকাল পশ্চিমা মিডিয়াগুলোতে প্রকাশিত খবরা খবরে বলা হয়েছে ইসরাইল হামাসের সাথে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবকে বর্তমান সময়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে অনেকটা উপজাতকে হয়ে ইসরাইল গোয়েন্দা প্রধান কাতারে পৌছেছেন যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব আলোচনা সারতে। এদিকে গতকাল ও ইসরাইলের সেনারা গাজার বিভিন্ন অংশে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করেছে। দখলদার বাহিনীর হামলায় এবারও নিহতদের খাতায় নারী ও শিশুদের সংখ্যা সর্বাধিক। এক দিকে ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত হচ্ছে ফিলিস্তীনিরা অন্যদিকে বিনা চিকিৎসায় আহত ফিলিস্তীনিরা মৃত্যু পতিত হচ্ছে। জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাশ হলেও দখলদার ইসরাইল তা মানতে নারাজ। লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের পাশাপাশি দেশটির নিয়মিত সেনারাও ইসরাইলের অভ্যন্তরে ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পাশাপাশি গোলাবর্ষন করছে। বিন, ইরান এবং সৌদি আবের কড়া হুশিয়ারীর পর এবার তুরস্ক ইসরাইলের আগ্রাসন ও হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা র্পুর্ণব্যক্ত করলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com