মীর আবু বকর ॥ বাংলাদেশ জীব ও বৈচিত্র ময় দেশ। সোনার বাংলার আবহাওয়া অনুকূল বিশেষ করে শীতকালের পরিবেশ অনন্য দৃষ্টান্ত। এ জন্য বন্য ও বিচিত্র প্রাণী সংখ্যা অনেক বেশি। বাংলাদেশে যত প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও পাখি রয়েছে ইউরোপ মহাদেশেও নাই। এখানে প্রাকৃতিকভাবে বিপুল পরিমাণ কীটপতঙ্গ ও উদ্ভিদ জন্ম নেয়। বন্য পাখি মানুষের কোন ক্ষতি করে না, তারা কীটপতঙ্গ খেয়ে মানুষের উপকার করে।যশোর সামাজিক বন অঞ্চলের বন সংরক্ষন এ এস এম জহির উদ্দিন আকন গতকাল সকাল ৯ টায় সাতক্ষীরা সামাজিক বন বিভাগে উদ্ধারকৃত পাখিগুলি অবমুক্ত কালে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথাগুলো বলেন।সাতক্ষীরা সমাজিক বন বিভাগ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ বিল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, বন্যপ্রাণী-পাখি মানুষের পরম বন্ধু। তবে পাখির শরীরে অনেক রোগ জীবাণু রয়েছে। সকল পাখির সংস্পর্শে না আসা উচিত। পাখি প্রাকৃতির নৈসর্গীয় সৃষ্টি যা দেখলে হৃদয় জড়িয়ে যায়। পাখি শিকারিরা পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে হত্যাকারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা বলেন, বন অধিদপ্তর বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও যশোর সার্কেলের সহযোগিতায় তিনি সহ অপরাধ দমন ইউনিট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরায় জেলার রতনপুর, বাগমারি বিল, ফুলতলা মোড়, সাকরা, পারুলিয়া অভিযান চালিয়ে সকল বন্য পাখি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত বিলুপ্ত প্রায় পাখি হলো পানকৌড়ি, গ্রেট ইগরেট, ধুপনিবক, কালিম, সরালি, ময়না, টিয়া। একই সাথে জব্দ করা হয় পাখি শিকারের ব্যবহৃত ফাঁদ, জাল ও বিভিন্ন পণ্য। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এফজি রেজাউল করিম, ফরেস্ট মোঃ আইয়ুব আলী, জান্নাতুল ফেরদৌস, মোঃ রাহুল হোসেন। এর পূর্বে শুক্রবার বন বিভাগের রোপিত বিভিন্ন তালের চারা পরিদর্শন করেন।