মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া সিরিয়ায় পুনরায় কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মন্তব্য, ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেফতার সৌদি আরবে অবৈধদের ধরতে অভিযান, গ্রেফতার ১৫ হাজার হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে ভবনে আগুন, শিশুসহ নিহত ১৭ যে কারণে ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ভারতের জন্য আকাশসীমা আরও এক মাস বন্ধ রাখবে পাকিস্তান: রিপোর্ট ইরানে শিয়া মাজারে হামলার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ—মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোয় ২৭ জনের প্রাণহানি যে কারণে পেনাল্টি নেননি হালান্ড

শীতে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

কেশবপুর ব্যুরো ॥ যশোরের কেশবপুরে শীতকালীন খাদ্য তালিকায় প্রথমেই আসে খেজুরের রস (খেজুরের রস হচ্ছে খেজুরের গাছ থেকে আহুত মুখোরোচক পানীয়)। কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালটা যেন খেজুরের রস ছাড়া জমেই না। শীত ও খেজুরের রস যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। সকাল বেলার ঠাণ্ডা, মিষ্টি খেজুরের রস যেনও অমৃত। এ ছাড়াও খেজুরের রসে রয়েছে প্রচুর খনিজ ও পুষ্টিগুণ। আর রসের তৈরী গুড় অনিদ্রা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এই রস নিয়ে শুধু মানুষই না, পক্ষীকূলও অপার আনন্দে মেতে উঠে। শীতের সকালে সূর্য উঠার আগেই গাছিরা গাছ থেকে রসের হাড়ি নামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কুয়াশা ঘেরা সকালে গাছিদের কাঁধে করে হাড়ি ভরা রস নিয়ে যাওয়ার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য গ্রামীণ বাংলাদেশ ছাড়া আর পৃথিবীর কোথাও দেখা যায় না। এ ছবি মনে করিয়ে দেয় রং তুলিতে আঁকা শিল্পীর এক মনোরম চিত্রকর্মের কথা। খেজুরের রসের পাটালি গুড়েরও বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে বাংলার ঘরে ঘরে। এই গুড় দিয়ে নানা রকম পিঠা তৈরি করা হয় গ্রামে। ভাপা, সিদ্ধপুলি, রসের চিতই এর মতো হরেক রকমের পিঠা। আর এই পিঠা বানানোকে ঘিরে শিশু-বৃদ্ধার বসে থাকার দৃশ্য বাংলার এক পুরনো সংস্কৃতিরই অংশ। মনে হয় শীত যতো বেশি, তাদের পিঠা খাওয়ার তৃপ্তি, আনন্দ ততো বেশি। এরূপ দৃশ্যকে কবি সুফিয়া কামাল চিত্রায়িত করে বলেন -‘পৌষ পবনে পিঠে খেতে বসে খুশিতে বিষম খেয়ে। বড় উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি খেয়ে।’ গত কয়েক বছরে থেকে অনেক খেজুর গাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে সব অঞ্চলে কম বেশি খেজুর গাছ থাকলেও গাছির অভাবে মিলছে না রস। নগরায়ন এর ফলে হারিয়ে যাচ্ছে গাছিরা। যারা আছে তারা রস ও গুড় বিক্রি করে তাদের সংসার চালাতে পারছে না। তাই এ কাজের প্রতিও তাদের তেমন কোন আগ্রহ নেই। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অনেক অঞ্চল থেকে গাছি আর রস দুটিই বিলুপ্ত হয়েছে। এখনো খেজুরের রসের চাহিদা থাকলেও আগের সেই আগ্রহ যেনও হারিয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com