এফএনএস: নির্বাচনকে ঘিরে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে এবং যারা হুকুমদাতা, তাদের সাজা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের কোনো ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি, নেব। গতকাল রোববার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা চত্বরে কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) আবার আন্দোলন করে গণতন্ত্রের জন্য। যারা গণতন্ত্রের ‘গ’-ও বোঝে না। তাদের আন্দোলন মানুষ পুড়িয়ে মারা, গণতন্ত্রের ‘গ’ কেন গণতন্ত্র বানানও করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা জানে জ¦ালাও-পোড়াও। জীবন্ত মানুষগুলিকে আগুনে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারা, বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন, লঞ্চে আগুন, রেলে আগুনৃ ২০১৩ সালে যা করেছে, ১৪ সালে করেছে, ১৫ সালে করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, এখন আবার এই নির্বাচন (২০২৪) ঠেকাও আন্দোলন করতে যেয়ে ট্রেনে আগুন দিয়ে মা সন্তানকে বুকে নিয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে, এ দৃশ্য কোনো মানুষ সহ্য করতে পারে না। যে কারণে তারা যতই চিৎকার করুক, চেঁচামেচি করুক তাদের কথায় কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করেছে, কোনো ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি, নেব। যারা এই ধরনের কাজগুলো করেছে, তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, যারা হুকুমদাতা এবং জ¦ালাও-পোড়াও করার জন্য হুকুম দিয়েছে, তাদের আমরা গ্রেপ্তার করছি। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব আর যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে মানুষ পুড়িয়ে মারার মতো জঘন্য কাজ করতে না পারে। মানুষের কল্যাণে প্রকল্প নেওয়ার নির্দেশ: শুধু টাকা খরচের কথা চিন্তা না করে মানুষের উপকারে আসবে কি না সেটা বিবেচনা করে প্রকল্প নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজের বাস ভবনের স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু টাকা খরচের জন্য নয়, প্রকল্প ফলপ্রসূ ও মানুষের উপকারে আসে কি না তা বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেন, যে কোনো প্রকল্প যখন আপনারা গ্রহণ করবেন তখন মাথায় রাখবেন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ফলাফল কী আসবে। সেখান থেকে মানুষ কতটুকু লাভবান হবে বা দেশ কতটুকু লাভবান হবে। শেখ হাসিনা বলেন, কিছু মানুষ সরকারের উন্নয়নের সমালোচনা করেই যাচ্ছে। তবে সরকার তাদের কথায় কর্ণপাত না করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবে। তিনি আরও বলেন, আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। অনেক দেশই ভাবতে পারেনি ১৫ বছরে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন হবে। উন্নয়ন দেখে অনেকের মধ্যে পরশ্রীকাতরতা আছে। তবে সেদিকে খেয়াল না করে দেশ ও মানুষের উন্নয়নের কাজ করে যেতে হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার, জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন, সিভিল সার্জন মো. জিল্লুর রহমান, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল আহসান, এলজিউডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজাহারুল ইসলাম।