স্টাফ রিপোর্টার ঃ ভোমরা স্থল বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে এবং আমদানী কারকদের দৈনন্দিন কর্মকান্ড স্বাভাবিক গতিতে চলমান থাকলেও পাথর আমদানীতে আমাবস্যা ভর করেছে আর এই আমাবস্যার ঘন কালো অন্ধকার ভোমরা বন্দর মুখি ব্যবসায়ীদেরকে চরম বিড়ম্বনা এবং বিব্রতকর পরিস্থিতির মাঝে পড়তে হচ্ছে, আর ঘটনার ধারাবাহিকতা এখানেই শেষ নয় গ্রাহকদের অগ্নীমূল্যে পাথর ক্রয় করতে হচ্ছে। নির্মান শিল্পে খরচ কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোমরা বন্দরে পাথর আমদানী কারক সহ পাথর ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাগেছে আমাদের দেশের আমদানী কারকরা সব ধরনের বিধি বিধান মেনে পাথর আনছে কিন্তু সীমান্তের বিপরীত মুখে পাথর বোঝাই ট্রাক অতি কচ্ছপ গতিতে চলছে। কোন কোন পাথর ভর্তি ট্রাকের বহর থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কৃত্রিম যানজটও তৈরী করা হচ্ছে, আর এ সব গুলো চলছে ঘোজাডাঙ্গা কেন্দ্রিক একটি চক্রের ইন্ধনে ও আয়োজনে। দৃশ্যতঃ প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির কবলে বাংলাদেশ মুখি আমদানী করা ট্রাকের বহর। কোন কোন সূত্রে চাঁদাবাজির পাশাপাশি কোন কোন রপ্তানী কারকের অনৈতিক ও অসম বানিজ্য সুবিধা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের বিষয়েও ইঙ্গিত করেছেন। ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ীদের ভাষ্য ঘোজাডাঙ্গায় চাঁদাবাজির কারনে ট্রাক গতিরোধ হলে তার দায়িত্ব রপ্তানী কারক এবং রপ্তানীর সাথে সংশ্লিস্টদের বিধায় রপ্তানী কারকরা দায় এড়াতে পারে না। সাতক্ষীরার অপার সম্ভাবনাময় ভোমরা বন্দরকে অকার্যকর করার কোন ধরনের হীন চক্রান্ত কিনা এমনটিও আলোচনা হচ্ছে। দেশের ব্যবসায়ীরা এবং পাথর ব্যবহার কারীরা পাথর সংকটে অতিরিক্ত মূল্যে কেবল পাথর ক্রয় করছে তা নয়, পাথর ব্যবসায়ীদের অনেকে ভোমরা বন্দর বিমুখ হচ্ছে, অন্য বন্দরে ব্যবসার প্রস্তুতি নিচ্ছে বা ব্যবসা করছে যা ভোমরা বন্দরের জন্য ক্ষতির কারন, যার নেতিবাচক প্রভাব ভোমরা বন্দরে পড়বে এমন আশঙ্কা বন্দর ব্যবহার কারীদের পাথর আমদানীর শ্লথগতি, ট্রাক বহর যথাসময়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারার বিষয়ে সিএন্ডএফ সভাপতি এজাজ আহমদ স্বপন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি দৃষ্টিপাতকে বলেন গত ১২ই মার্চ আমরা সভা করে ঘোজাডাঙ্গা কর্তৃপক্ষের কাছে পত্র প্রেরন করি তা মানার এবং যথাসময় ট্রাক প্রবেশ করবে বলে আশ্বাস দেয় কিন্তু তারা বাস্তবায়ন করছে না। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে ভোমরা বন্দর ব্যবহার কারীদের কল্যানে কাজ করছি, আশা করছি পাথর আমদানীর সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।