কেশবপুর ব্যুরো ॥ কেশবপুরে শহরে হরমোন যুক্ত বিষাক্ত অপরিপক্ক কুলবোরই বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সহজ সরল কুলবোরই প্রেমিকরা এই বিষাক্ত হরমোন যুক্ত কুলবোরই কিনে প্রতারিত হচ্ছে এগুলো দেখার নেই। শীতের শেষে সকলের প্রীয় সুস্বাদু একটি ফলের নাম কুলবোরই। যা শীতের শেষে পাওয়া যায়। কেশবপুর পৌর শহরে সর্ণপট্টিতে বিভিন্ন প্রকার ফল বিক্রেতা বলেন আমাদের অঞ্চলে সাধারণত পরিপক্ক কুলবোরই খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ ভাগে। কেশবপুর অঞ্চলে বিভিন্ন জাতের কুলবোরই পাওয়া যায়। উপজেলার ঘের ভেড়ির মালিকরা ঘেরের পাড়ে বানিজ্যিক ভাবে বিভিন্ন জাতের কুলবোরই চাষ করে থাকে। তাছাড়া উপজেলার সর্বত্তোই কুলবোরই চাষ করে থাকে। বিলখুকশিয়া বিলে হাজার হাজার বিঘার জমির ঘেরের পাড়ে বানিজ্যিক ভাবে কুলবোরই চাষ করে থাকে। এবছর কুলবোরই ভালো ফলন হয়েছে। এর মধ্যে নারকেল কুল ও আপেল কুল সকলের প্রীয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা ঘেরের পাড়ে জমির মালিকদের নিকট হতে পাইকারি দরে আগাম কুলবোরই এর বাগান ক্রয় করে থাকে। অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় ঐ সকল অসাধু ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ক কুল বাগানে বিষযুক্ত হরমোন স্প্রে করে কুলবোরই কে আকর্ষিয় করে তুলে তা অধিক মূল্যে বাজারজাত করে চলেছে। কুলবোরই প্রেমিক ক্রেতাসাধারণ শহরে আকর্ষনীয় কুলবোরই খাওয়ার উপযুক্ত মনে করে তা ক্রয় করে রীতিমত প্রতারিত হচ্ছে। কেশবপুর পৌর শহরে ফলবিক্রেতা নাম বলতে অইচ্ছুক দৈনিক দৃষ্টিপাতেকে বলেন এই সকল কুলবোরই খাওয়ার উপযুক্ত সময় এখনো হয়নি। অসাধু পাইকারি ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় বিষাক্ত হরমোন স্প্রে করা কুলবোরই খুচরা ব্যাবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে থাকে। এক কেজি নারকেল কুল ও আপেল কুল তারা বিক্রি করছে ১২০ টাকা। আমাদের দেশে বাজার নিয়োন্ত্রক না থাকার কারণে হরহামেশাই এই গুলো বিক্রি করা হচ্ছে। সচেতন ক্রেতা সাধারণ অপরিপক্ক কুলবোরই বাজারে বিক্রি বন্ধের দাবী জানান।