‘আত্মমর্যাদার পরিবেশ, কুষ্ঠ কলঙ্কের হবে শেষ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে রবিবার বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে খুলনায় বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিচালক স্বাস্থ্য বলেন, সরকার দেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ মুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এই রোগ চিকিৎসাযোগ্য, সমাজে প্রচার-প্রচারণার মধ্যমে সকলের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে। সরকারি এবং বেসরকারিভাবে সকল হাসপাতালে কুষ্ঠরোগীর বিনামূল্যে চিকিৎসার সুব্যবস্থা রয়েছে। কুষ্ঠ রোগীর প্রতি কোন বৈষম্য রাখা যাবে না। কুষ্ঠরোগী শনাক্ত করে চিকিৎসা দিতে হবে। কুষ্ঠ হলে নিয়মিত ঔষধ সেবন করলে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কুষ্ঠরোগীকে সকলের সহযোগিতা করতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে কাজ করলে কুষ্ঠরোগ নির্মূল করা সম্ভব। খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুষ্ঠ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আনোয়ারুল আজাদ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পিনোনে’র প্রজেক্ট অ্যান্ড মেডিকেল ডিরেক্টর ডাঃ রবের্তা, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ কাজী আবু রাশেদ, ডিভেশনাল টিভি বিশেষজ্ঞ ডাঃ শাহ মেহেদী বিন জোহুর, সিএসএস আভা সেন্টারের পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান পান্তসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা বক্তৃতা করেন। খুলনা সিভিল সার্জন অফিস ও জিও-এনজিও নেটওয়ার্ক কমিটি যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উল্লেখ্য, কুষ্ঠরোগের প্রাথমিক লক্ষণ চামড়ায় হালকা বাদামি বা ফ্যাকাশে অথবা লালচে অবশ দাগ, দানা বা গুটি কিংবা চামড়া মোটা হয়ে যাওয়া। বিশে^ গত বছর ১৭ লাখ মানুষ কুষ্ঠরোগী সনাক্ত হয়েছে। এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে খুলনা সিভিল সার্জন চত্ত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালিতে চিকিৎসক, নার্স, বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধি ও বিভিন্ন পেশাজীবিরা অংশগ্রহণ করেন।-তথ্য বিবরণী