শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন

খান ইউনুস লন্ডভন্ড করেছে দখলদার বাহিনী

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ হামাস ইসরাইল চুক্তির কাছাকাছি কাতারের মধ্যস্থতায় করা চুক্তিটি ইতিমধ্যে ইসরাইর অনুমোদন করেছে এবং হামাস উক্ত চুক্তিকে প্রাথমিক ভাবে সম্মতি দিয়েছে এমনটি কাতার ও মিশরের ঘোষনায় জানা গেলেও গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা থামছে না, হামলা চলছে তো চলছেই এবং উক্ত হামলায় নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর মিছিল থামছে না। চলছে তো চলছেই। একদিকে চুক্তির কাছাকাছি অন্যদিকে হামলা এবং হত্যাকান্ড সব মিলে গাজাকে নিশ্চিহৃ করনের চেষ্টার শেষ নেই। গতকালও ইসরাইলের বিমান বাহিনীর বিমানগুলো গাজার একাধিক স্থানে হামলা চালিয়েছে। হামাস যোদ্ধাদের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর জন্য ছিল মরন ফাঁদ। অন্তত একমাস যাবৎ ইসরাইলি বাহিনী খান ইউনিসের নিয়ন্ত্রন নিতে মরনপন যুদ্ধ চালিয়েছে, অন্তত লক্ষাধীক সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছিল খান ইউনিসে। সর্বশেস খবরে জানাগেছে ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়েছে এবং তাদের অন্যতম লক্ষবস্তু খান ইউনিস। অবশ্য খান ইউনিসের যুদ্ধে দখলদার বাহিনীকেও চরম মুল্য দিতে হয়েছে অন্তত শতাধিক ইসরাইল সেনা ও শতাধিক মিডিয়া ও কাতার ভিত্তিক আল জাজিজরা টেলিভিশন জানিয়েছে খান ইউনিসের এমন কোন স্থান নেই যে স্থানে দখলদার বাহিনীর হামলার চিহৃ নেই। শত শত ফিলিস্তিনির মৃত্যুর ঘটনা খান ইউনিসের জন্য অভিশাপে পরিনত হয়েছে। সমৃদ্ধশালী এবং ঐতিহ্যবাহী খান ইউনিস শশ্মানে পরিনত হয়েছে। শহরটিতে এমন ভয়াবহ জঘন্যতম হামলা চালিয়েছে যে খান ইউনিসের প্রতিটি বাড়ী ধ্বংস স্তুপে পরিনত হয়েছে। অন্ধকারের অমাবস্যা ভর করেছে খান ইউনিসে। উপত্যকাটিতে অভিযান শেষে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এবার অগ্রসর হচ্ছে রাফা শহরে অভিযান পরিচালনায়। খান ইউনিসের ন্যায় রাফাতেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনী চরম প্রতিরোধের মুখে, হাজার হাজার সেনা বহর রাফা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে অন্যদিকে হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। গাজার সর্বত্র খাদ্য অভাব এতটুকু প্রকট হয়েছে যে গাজার অধিবাসিরা ঘাস খাচ্ছে। তারা পশু খাদ্য খেতেও দ্বিধা করছে না, অপ্রাপ্ত বয়স্ক পশু জবাই দিয়ে তার মাংস খেয়ে ক্ষুধা নিবারন করছে। যে কোন একটি ত্রানবাহি যানবাহন দেখলে সেই যানবাহনকে ঘিরে শত সহস্র ফিলিস্তিনি উক্ত গাড়ীতে থাকা খাবার সংগ্রহের প্রাণন্তরক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলের সেনা ও উগ্রপন্থীরা খাদ্য সরবরাহ গাড়ী আটকাচ্ছে। ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় মার্কিন হামলা হামাস ও ইসরাইলের যুদ্ধের নতুন গতিপথের দিকে ধাবিত করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। গাজার অন্তত সত্তর ভাগ ফিলিস্তিনি আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। দলে দলে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিতে ছুটছে এ সকল হতভাগ্য বাস্তচ্যুত মানুষ গুলো। এদিকে আন্তর্জাতিক বিশ্ব ইতিমধ্যে ইসরাইলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং এই অবস্থান নেওয়ার একমাত্র কারন নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা। তুরস্ক সরকার তার দেশের অভ্যন্তরে ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে সাত মোসাদ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বলে তুরস্কের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে। এদিকে গাজার বিভিন্ন এলাকাতে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় একশত বারজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে আল জাজিরা টেলিভিশনের পক্ষ হতে প্রচার করা হয়েছে। গত চারমাসের মধ্যে এমন কোন দিন নেই যে দিনে ফিলিস্তিনিরা হত্যাকান্ডের শিকার হইনি, দখলদার বাহিনীর অভিযানে নারী ও শিশুরাও মৃত্যু বরনের পাশাপাশি অন্ততঃ সতের হাজার শিশু এতিম হযে পড়েছে। এক কথায় এই সতের হাজার শিশু সঙ্গীহীন হয়ে পগেড়ছে। এদিকে ইসরাইল এবং হামাস নেতাদের মধ্যকার যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব কে কেন্দ্র করে দৃশ্যতঃ দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে হামাস নেতারা, হামাস প্রধান ইসরাইল হানিয়া সহ গাজায় অবস্থানরত হামাস নেতারা দুই মাসের জন্য যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে একমত হলেও প্রবাসি হমাসা নেতারা ফিলিস্তিনি তথা হামাসের জন্য আরও ছাড় চাইছে। সর্বাপেক্ষা বড় কথা হামাসের সিংহভাগ নেতা দখলদার ইসরাইলিকে বিশ্বাস করতে চাইছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com