কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ কয়রায় হাতিয়ার ডাঙ্গা বিলের নালা (খাল) খনন সম্পন্ন হলে এলাকায় কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে আসবে কৃষকদের মাঝে। রবি মৌসুমে তরমুজ চাষে ঘুঁচবে পানির অভাব। ফলবে ভাল ফসল। বিশেষ করে রবি মৌসুমে এর ফলে জমিতে সেচকাজ পরিচালনা সহজলভ্য হবে এমনটি আশা করছেন এলাকার কৃষকরা। বুধবার(১৪ই ফেব্রুয়ারি) ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় স্বল্প পানির চাহিদা সম্পন্ন ফসল আবাদে এ নালা খনন শুরু হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) বিএম তারিক-উজ-জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে নালা খনন কাজের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ। উদ্বোধন পরবর্তী আলোচনায় উপসহকারি মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খুলনা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ কমলেস কুমার সানা, ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের উপসহকারি সাংবাদিক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্থানীয় কৃষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এলাকায় কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। খাল ভরা পানি থাকলে মাঠ ভরা ফসল থাকবে। কৃষকেরা মনের আনন্দে ফসল ফলাবে। কাজের বিরতির সময় খাল পাড়ে বসে বিশ্রাম নেবে। এদিকে এই প্রকল্পে এলাকার কৃষকেরাও বেজায় খুশি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে যথা সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারবেন এবং এসব জমিতে বছরে দুই-তিনটি ফসল উৎপাদন করতে পারবেন বলে কৃষকরা প্রকাশ করছেন। হাতিয়ারডাঙ্গা বিলের এই নালা ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য , ২৫ ফুট চওড়া ও ১০ ফুট গভীরতা করা হবে। এতে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনে ও শুষ্ক মৌসুমে মিষ্ঠি পানি দিয়ে সেচের মাধ্যমে পাঁচ শতাধিক কৃষক উপকৃত হবেন এবং ঐ এলাকার ১৫০০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে।