আবু ইদ্রিস শ্যামনগর থেকে ॥ হাজারো মানুষের অশ্রুসিক্ত নয়ন, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জেহের আলী সরদার। কথায় আছে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। ঠিক তাই যেন এ মরহুমের জীবনের শেষ যাত্রাটাই রঙিন হয়ে উঠলো । গত রবিবার জোহর নামাজ বাদ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন কার্য সম্পন্ন হয়। ১৯৫২ সালে শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নে জন্ম নেওয়া মধ্যবিত্ত এক পরিবারের সন্তান তিনি। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন নম্র , ভদ্র, শান্তশিষ্ট স্বভাবের। যার কারণে তিনি আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশীদের কাছে ছিলেন স্নেহ, ভালোবাসার পাত্র। প্রাণবন্ত এই শিশুটি শৈশব কৈশর পার করে এক মসজিদে ইমামতির মধ্য দিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। পারিবারিক জীবনে এক পুত্র, দুই কন্যা সন্তানের জনক তিনি। কর্মজীবনে তিনি মুদি ও মৎস্য ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মময় জীবনে তার সুনামের ঘাটতি ছিল না।সর্বজনের কাছে তিনি যে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন তা তার জানাযায় অংশ নেওয়া মুসল্লিদের উপস্থিতি, আত্মীয়-স্বজনসহ আলেম-ওলামাদের মুখ নিঃসৃত বাক্য থেকে সহজে অনুমান করা যায়। মরহুমের জানাজায় গুণীজন, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সর্বসাধারণ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে রামচন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ঈদগা মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার সম্পদ ও প্রকাশ জিএম নুর ইসলাম, সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন, দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আবু তালেব মোল্লা,বার্তা সম্পাদক আদম শফিউল্লাহ,শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সাইদুজ্জামান সাঈদ, কেন্দ্রীয় তরুণ লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম আদম শফিউল্লাহ, সাংবাদিক কাজী নাসির উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল ওয়াহেদ ও আব্দুল হামিদ, রামচন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মজিদ সহ সাধারণ মুসল্লী। জানাজার নামাজ পড়ান আলেমে দ্বীন মাওলানা আবুল কাশেম।