মীর আবু বকর ॥ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরা পবিত্র শবেবরাত পালিত হয়েছে। শবেবরাত উপলক্ষে গত রবিবার মাগরিবের পর থেকে সারা রাত ব্যাপী মসজিদে আলোচনা সভা, নাতে রাসুল, জিকির সহ বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে হিজরি সনের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে পবিত্র শবেবরাত বা লাইলাতুল বরাত বলা হয়। অনেকে এই রাতকে মুক্তির রজনী বলা হয়ে থাকে। ধর্মপ্রান মুসলমান রা এ রাতে পাপ মোচন ও তাদের দাবি দাওয়া মহান আল্লাহ কাছে পেশ করেন। মসজিদে অন্য দিনের তুলনায় শবেবরাত উপলক্ষে মুসল্লিদের সংখ্যা দিন অনেক বেশি। ইশার নামাজ আদায়ের পর নফল নামাজ আদায় করেন। ইমাম পবিত্র কুরআন হাদীসের আলোকে পবিত্র শবেবরাতের গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরে মুসল্লিরা পৃথক পরে নফল নামাজ, কোরআন তেলোয়াত, তসবিহ তাহলিল করতে থাকেন। সকলের মনের ইচ্ছা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। কারন ইসলামের দৃষ্টিতে অনেকে বলেন এই রাতে মহান আল্লাহ তার বান্দাদের পরবর্তি ১ বছরের ভাল মন্দ হায়াত, রিজিক সব কিছু ঠিক করেন। অনেকে এই রাতে কবরস্থানে গিয়ে মৃত স্বজনের স্মরনে কবর জিয়ারত করেন। সাতক্ষীরা সহ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মসজিদেও পবিত্র শবেবরাত পালিত হয়। রবিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরের মেহেদীবাগ মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্স পবিত্র কুরআন হাদীসের আলোকে শবেবরাতের ফজিলাত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড় বাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাও: আব্দুল খালেক। পরে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কমনায় বিশেষমোনাজাত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি জিএম নূর ইসলাম, সাধারন সম্পাদকা মো: আব্দুর রশিদ, উপদেষ্টা তৈয়েব হাসান বাবু, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল করিম, সদস্য শফিকুল মোল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, শাহাদাৎ হোসেন, আনিছুর রহমান, গোলাম হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক,আবু জাফর, কাজীমিলন,আব্দুল গনি, মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাহমুদুররহমান মুয়াজ্জিন আব্দুস সবুর সহ এলাকার ধর্মপ্রান মুসল্লিরা।