রতনপুর প্রতিনিধি ॥ কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নে আড়ংগাছা গ্রামে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ মোকছেদুর রহমানের পুত্র মোঃ গোলাম রসুলের সরিষা চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বছর ভাল দাম পেলে নিজ সংসারের প্রয়োজন মিটিয়ে রপ্তানি করে অধিক মুনাফা লাভের আশা তার। স্বরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে ৫বিঘা জমিতে সরিয়া চাষ করেছেন তিনি। তিনি ১৯৭৮ খ্রিঃ সালে ২১ আক্টোম্বর সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। উদ্ভিদ বিজ্ঞানে অনার্স মাষ্টাস শেষ করে ২০০৪ সালে ২৩ শে সেপ্টেম্বর সুরত আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করে বি.এড ডিগ্রী অর্জন করেন।একপুত্র ও এক কন্যার জনক হয়ে সুখি পরিবার তার। কর্মচঞ্চল এ শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর হয়েও এক টুকু সময় নষ্ট করেন না তিনি। শিক্ষকতার সাথে সাথে কৃষি কাজে ব্যস্ত সময় কাটান। পিতা থেকে ৭ বিঘা জমি প্রাপ্ত হয়ে এর মধ্যে দেড়বিঘা সম্পত্তি ভিঠা বাড়ি। বিগত ৭ বছর ৫ বিঘা বিলান জমিতে সরিষা চাষ করে আসছেন তিনি। এ প্রতিবেদককে জানান প্রতি বিঘা সরিষা চাষে খরচ হয়েছে তিন হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ৪-৫ মণ সরিষা উৎপাদনে বিক্রি হয় বারো হাজার টাকা। খরচ বাদে প্রতি বিঘা ৯-১০ হাজার টাকা লাভ হয়। সরিষা চাষের পাশাপাশি বিলান জমিতে ব্রি-১২,ব্রি-৫১,ব্রি-১০ জাতের ধান চাষ করেন। ভিটাতে রয়েছে একটি পুকুর। পুকুরটিতে তিনি রুই,কাতলা,মৃর্গেল,গলদা চাষ করেন। পুকুরটির পাশে বাগান। বাগানটিতে হিম সাগর,গোবিন্দ ভোগ, ন্যাংড়া,হাড়িভাঙ্গা,চন্দ্র মল্লিকা,লিচু,কামরাঙ্গা,আমড়া,ভিন্ন জাতের কুল,কলা,লেবুর পাশাপাশি বাড়িতে, ড্রাগন চাষ করেন। তিনি সর্ব ফসটিতে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে অবশিষ্ট বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করে সংসারের অবকাঠামো উন্নয়ন সহ সন্তানদের ভরণ পোষন ও লেখাপড়ায় খরচ করেন তিনি। প্রতিবেদকে আরও জানান তার মতো আমরা সবাই কর্মমুখি হলে ভেজাল মুক্ত খাদ্যভ্যাসে একদিকে নিজে পরিবার হবে যেমন উন্নত অপরদিকে আমাদের রক্ত দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশ হবে দ্রুত সোনার বাংলাদেশ।