দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ঃ সাতক্ষীরার চিকিৎসা ব্যবসায় রোগী, রোগীর স্বজন, চিকিৎসক, কোম্পানীর প্রতিনিধি,দালাল চক্র সহ নানান ধরনের অচলাবস্থা একে অপরকে অস্বস্থিকর পরিস্থিতির মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, সদর হাসপাতাল সহ উপজেলা ভিত্তিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে রোগীদের উপস্থিতি এবং চিকিৎসা ব্যবস্থায় গতি ফিরলেও এক ধরনের দালাল চক্র রোগী সাধারনকে বিভিন্ন ভাবে প্রতারনা করে চলেছে। সরকারি চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদেরকে বেসরকারি ক্লিনিক এবং হাসপাতাললে নিতে তৎপর। অভিযোগ উঠেছে দালাল চক্রকে চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্টদের সমর্থন এবং সহযোগিতা করার। সরকারি হাসপাতালগুলোর উদ্দেশ্যে জেলার প্রত্যন্ত এলাকা হতে আসা রোগী মেডিকেল কলেজ এবং খুলনা রোডে নামলে এক ধরনের ইজিবাইক ভ্যান চালক শ্রেণির দালালরা রোগী ভাগিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যাচ্ছে। তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে রোগী ও রোগীর স্বজনদের সদর হাসপাতালের কথাবলে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিচ্ছে। অভিযোগের তরি এক শ্রেনির চিকিৎসকদের দিকেও টিকিট কেটে নির্দিষ্ট চিকিৎসককে দেখানোর পর শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে দুই পারে যাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করে। রোগীদের অভিযোগ এক শ্রেনির চিকিৎসকরা অধিক পরিমান প্যাথলজি টেস্ট দিয়ে থাকে এবং নির্র্দিষ্ট ল্যাবে পরীক্ষা করানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে। বর্তমান সময় গুলোতে রোগীর ব্যবস্থাপনের পূবর্শত হিসেবে পরীক্ষা নিরিক্ষা যেন চিকিৎসার অন্যতম বাহন। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষার বিকল্প নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো কোনকোন চিকিৎসক পাঁচ ছয়টি বা তারও বেশী প্যাথলজি পারীক্ষার নির্দেশনা দিলেও বিষয় ভিত্তিক রোগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ যেমন নয় অনুরুপ অধিকাংশ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট রোগের সাথে সংশ্লিষ্ট না। সাতক্ষীরার প্যাথলজি পরীক্ষাতে তুখলকি কান্ড বিরাজ করছে পরীক্ষারমুল্য যেমন ভিন্নি ভিন্ন অনুরুপ একই পরীক্ষা ফলাফলও কোনকোন সময় ভিন্নতায় পৌছায়। শহরের স্বনাম ধণ্য চিকিৎসকদের চেম্বারের বাইরে অপেক্ষামান ঔষদ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। কোন রোগী ব্যবস্থা প্রত নিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে বাইরে আসলেই ব্যবস্থাপত্র দেখতে এবং ছবি তুলতে প্রতিযোগিতার শেষ থাকে না। হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার বিজ্ঞানের শিক্ষাথীরাই দৃশ্যতঃ ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি হিসেবে কাজকরে তাদের পেশাকে অবস্থাবা অবহেলার পরিবর্তে সম্মান রেখেই সচেতন মহল মনে করেন তারা তাদের চাকুরী দায়িত্ব পালন করছে। চিকিৎসকরা ঔষধ কোম্পানী গুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। কোন কোন চিকিৎসক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কোম্পানীর ঔষধ লিখে থাকে,যেন কেউ অখুমি না হয় বা চুক্তি, যোগাযোগ অক্ষুন্ন থাকে। রোগী সাধারন সহ তাদের সাথে সংশ্লিষ্টদের হতাশার কথা এম নই কোনকোন চিকিৎসক রোগী অপেক্ষা ঔষধ কোম্পানী গুলোকেই প্রধান্য দিচ্ছেন। জাতির মেধ্যাবী এবং শ্রেষ্ঠ সন্তান চিকিৎসকদের মধ্য থেকে কেউ কেউ এমন অসঙ্গতি এবং অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সাথে জড়িত। চালাও ভাবে সকল চিকিৎসক জড়িত নয়। সাতক্ষীরা শহরের বেসরকারী হাসপাতাল ওক্লিনিক গুলোতে একই চিকিৎসকের নাম অনেকের কাছে বিস্ময়ের কারন একজন চিকিৎসক একই দিনে ৫/৬ ঘন্টায় কত ক্লিনিকে রোগী দেখবেন। প্রতি শুক্রবারে সাতক্ষীরায় ডাক্তারদের হাটবাস বলে এক ধরনের প্রবাদ প্রচলিত, বাস্তবেই তাই রাজধানী ঢাকা ও খুলনায় অনুশীলনরাও চিকিৎসকরা সাতক্ষীরার বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখে না। রোগীদের থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপকরা অর্থাৎ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যে ক্লিনিকে রোগী দেখেন সেই ক্লিনিকে কর্তৃপক্ষ ইচ্ছামত কিমনির্ধারন ও গ্রহন করেন একই সাথে প্যাথলজি পরীক্ষা তো আছেই। চিকিৎসকের কিম নির্ধারন এবং চিকিৎসকের রোগী প্রতি অর্থ প্রদানের চিত্র সুখকর নয় এমন তথ্য উঠে এসেছে। কোন কোন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগী হতে রিভিউএর মাধ্যমে যে পরিমান অর্থ আদায় করে তার সামান্য অংশ ডাক্তারকে প্রদান করে এখানেই শেষ নয় যে ডাক্তার অধিক পরিমান প্যাথলজি টেস্ট দেয় না সে ডাক্তার ক্লিনিক মালিকের সুনজরে থাকেনা, কোন কোন বেসরকারি হাসপাতাল তথা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসকরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে সাতক্ষীরা কর্মরত এবং রাজধানী ঢাকা সহ খুলনা হতে আগত উভয় চিকিৎসকরা। সাতক্ষীরার চিকিৎসা ব্যবস্থায় অসঙ্গতি, অচলাবস্থা এবং প্রতারনা দুরীকরনের বিকল্প নেই। জেলার বিভিন্ন এলাকার অনুমোদন বিহীন ক্লিনিক ও ল্যাবের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে অভিমান পরিচালিত হলেও বর্তমান সময়ে চলমান নেই যেমন সত্য অনুরুপ ভাবে অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতালও ক্লিনিকগুলো অনুমোদন শর্ত পুরনে কতটুকু যথাযথ বা অনুমোদন প্রাপ্তদের কর্মযজ্ঞ যাচাই করা করা জরুরী।