ডায়রিয়ায় মৃত্যু বলে লাশ দাফনের চেষ্টা ॥ পুলিশী হস্তক্ষেপে সম্ভব হয়নি ॥ পারুলিয়ায় মানববন্ধন ॥ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী
দেবহাটা অফিস ॥ দেবহাটার পারুলিয়ায় কুরআনে হাফেজা গৃহবধু সাইমা খাতুন ১৮ কে গলা চেপে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে তাই স্বামী তানজিম আহমদ। ঘাতক তানজিম আহমদি পারুলিয়ার দিঘির পাড় এলাকার মুফতি আঃ সবুরের পুত্র। কয়েক বছর পূর্বে মুফতি আঃ সবুর পারুলিয়া এলাকায় আসে তার আদি বাড়ী খূলনার কয়রা উপজেলায়। বর্তমান একটি মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন। নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের শিকার সাইমা খাতুন উক্ত মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত ছিলেন। দেশসেরা হাফেজার মধ্যে বত্রিশনম্বর এবং খুলনা বিভাগের হাফেজা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করা এই হাফেজা কে পুত্র বধু করার প্রস্তাব দিলে প্রাথুিুমক পর্যায়ে হত্যাকান্ডের শিকার হাফেজার পিতা কালিগঞ্জের মৌখালী গ্রামের আঃ রশিদ সহ তার পরিবারের সদস্যরা রাজি হইনি, পরবর্তিতে মুফতি আঃ সবুর বিভিন্ন ভাবে দেনদরবার কন্যা পক্ষের মতামত গ্রহন করে। মাত্র আট মাসে হাফেজা হওয়া সাইমা খাতুনের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তানজিম। ঘাতক তানজিম এবং তার বড় ভাই তাছলিম উভয়ই মাদ্রাসার ছাত্র। বড়পুত্র তাছলিমকে বিবাহ না দিয়ে ছোট পুত্র ঘাতক তানজিমকে বিবাহ করানোর বিষয়টি রহস্য জনক। শুক্রবার কোন এক সময় এই নির্মম হত্যাকান্ডটি ঘটে এবং রাতে মুফতি আঃ সবুর হাফেজা সাইমা খাতুনের চাচা শাহিনুরের কাছে ফোনে জানান সাইমা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তিনি আরও জানান আমি তখন সাতক্ষীরায় তাবলিক জামাতে অবস্থান করছিলাম খবর জানার পরপরই পারুলিয়ায় এসে দেখি আমার ভাইজি মৃত। এবং তার গলায় বড় বড় দাগ, এ সময় মুফতি আঃ সবুর বলেন ডায়রিয়ায় মৃত্যু বরন করেছে। এর পরের ঘটনা আরও প্রহসনের, মৃত্যুর কারন গোপন করে হত্যাকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে প্রচার করে লাশ দাফনের তোড়জোড় শুরু করতে থাকে। ইতিমধ্যে ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ উপস্থিত হয়। দেবহাটা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ জব্দ করে এবং ঘাতক তানজিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। থানায় পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং বলে গলা টিপে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। নিহতেরমা রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় মামলা দায়ের করেছে মামলা নং-৩। রাতেই ঘটনা জানাজানি হলে এলাকা বাসি ক্ষোভে ফেটে পড়ে। গতকাল বিকালে পারুলিয়া বাজারে হত্যা বিচার চেয়ে, হত্যাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রচার করার চেষ্টার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে মানববন্ধন হয়েছে। বক্তারা মুফতি আঃ সবুরের অপকর্মের বিচার এবং মাদ্রাসা হতে অবিলম্বে অপসারনের দাবী জানান। বক্তারা বলেন মাদ্রাসা পরিচালনা আর ব্যয় সহ সামগ্রীক বিষয়টি একক ভাবে নিয়ন্ত্রন এর মাধ্যমে অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্থ এবং একটি বিশেষ বলয় সৃষ্টি করে অধিপত্য বিস্তর করে চলেছে। মানববন্ধনে দেবহাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ সহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার লোক জন অংশ নেন।