বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১১:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুন্দরবনে বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর দেবহাটা বিএনপির সদস্য নবায়ন উদ্বোধনী আয়োজনে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলারোয়ায যুবদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ মুন্সীগঞ্জে তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শ্রীউলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ভাড়াশিমলায় ২৫০ প্রান্তিক কৃষানের মধ্যে সবজির বীজ বিতরণ খুলনার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর গ্রেফতার বসন্তপুর ফকিরপাড়া জামে মসজিদে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল

ত্রানবাহী ট্রাক আটক করেছে ইসরাইল

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪

দষ্টিপাত ডেস্ক॥ গাজায় দখলদার ইসরাইল বাহিনীর বিমানহামলার মধ্যেই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। লাখ লাখ ফিলিি স্তনি প্রতিনিয়ত মৃত্যুমুখে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে নিয়মিত। এরইমধ্যে ফিলিস্তিনির জন্য পবিত্র রোজা কালো রোজা হিসেবে আসছে। চলতি সপ্তাহ ব্যাপী দখলদার ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বিরতির আলোচনা এবং সম্ভাব নারবিষয়ীট বারবার উচ্চারিত হলেও দৃশ্যতঃ আলোচনার নামে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী অব্যাহতগতিতে গাজারসর্বত্র বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর অন্যতম মিত্র ও অত্র ও অর্থ সহায়তাকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্ব বাসিকে এইবলে আশ্বস্থ করেছিলেন যে রোজার আগেই গাজায় যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলেছে ইসরাইলকে। কিন্তু রোজার আগে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হলোনা। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছে হামাসের কাছে বস্যতাস্বীকার করে কোন অবস্থাতেই যুদ্ধবিরতি করবে না। বিষয়টি এমন ফিলিস্তিনিদের বাঁচিয়ে রাখতে বা তাদেরকে হত্যা করার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ইসরাইল। সমগ্র বিশ্ব একদিকে এবং দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ভিন্ন দিকে তাদের লক্ষ্য এবং একামাত্র লক্ষ ফিলিস্তিনিদের নির্মূল ও নিশ্চিহৃ করন। এদিকে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছে যুদ্ধ বিরতির সম্ভাবনা এখনও শেষ হইনি। হামাস এর মর্থ মেনে নিলে যুদ্ধ বিরতি সম্ভব। দখলদার বাহিনীর পক্ষ হতে বলা হচ্ছে গাজার হামাস সন্ত্রাসীদেরকে নির্মূল করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো গাজায় হামাস সদা সর্বদা সক্রীয়। দখলদা ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের কে হামাস গাজার মাটিতে প্রতিনিয়ত প্রতিরোধ হমলার মধ্যমে তাদেরকে নাস্তানাবুদ সহ হতাহতের ঘটনা ঘটাচ্ছে। হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে দখলদার বাহিনী পুরো গাজা বাসি অর্থাৎ ত্রিশলাখ ফিলিস্তিনিকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে গ্রহন করেছে। আর এ কারনে তারা কেবল মাত্র ফিলিস্তিনিদেরকেই হত্যা করছে। গতকাল কাতার ভিত্তিকক আল জাজিরা টেলিভিশণ জানিয়েছে ইসরাইল কবাহিনীর হামাস নির্মুলের বিষয়ে হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে গাজায় হামাসের স্থাপনাও সুড়ঙ্গ অরক্ষিত। তাদের সামর্থ ও সক্ষমতা দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর জন্য চরম অস্বস্থিকর পরিস্থিতির মুখে। দখলদার বাহিনী গত পাচ মাসের অধিকসময় যাবৎ গাজার প্রতিটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ও ইসরাইলের পন বন্দী দেরকে উদ্ধার করতে পারেনি। আজ রোজার প্রথম দিন,গাজাবাসি ইতিহাসের এক অন্ধকারাচ্ছন্ন রমজান পাচ্ছে। পতি মুহুর্তে বিমান হামলা ও হত্যা নীতি অন্যদিকে না খেয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ার উপক্রম। তবুও গাজাবাসির রোজা পালন প্রস্তুতি থেমে নেই। গতকাল ধ্বংস স্তুপময় গাজার হাটবাজার ও মােির্কট গুলোতে রোজা সামগ্রী ক্রয় বিক্রয় হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে মধ্যগাজার যে সকল এলাকায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় চলমান নেই সেই সকল এলাকাগুলোতে হাটবাজারে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। আল জাজিরা টেলিভিশন বাজার স্বাস্থ মন্ত্রণালয়েল উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে গতকাল পর্যন্ত একুত্রিশ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং নিহতের মধ্যে অন্তত পনের হাজারের অধিক নারী ও শিশু। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের মূল লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদের কে নির্মূল করা আরতাদের নিমুলের লক্ষ হলো আগামী দিনের ফিলিস্তিনি নামক জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব যেন না থাকে। ফিলিস্তিনিদের জন্য সর্বাপেক্ষা বেদনাদায়ক এবং আশ্রয়হীনতার ঘটনা। দখলদার বর্বর ইসরাইলি বাহিনরি সদস্যরা গাজার অন্তত সত্তরভাগ বসতবাড়ী ধ্বংস করেছে। গাজার হাজার ফিলিস্তিনি আশ্রয়হীন। রোজার আগের দিনেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামরা সমগ্র গাজায় ছড়িয়েছে। উত্তর গাজার ও খান ইউনিসের অন্ততদশটি আবাসি স্থাপনায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বমিান হামরা চালিয়েছে। খান ইউনিসের বিখ্যাত হাসপাতাল আল আকাসাতে গতকালও বিমান হামলা চালিয়েছে। এদিকে রাফা শহরের অন্ত তিনটি আশ্রয় শিবিরে বিমান হামলার মাধ্যমে আশ্রয় প্রাথী নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করেছে। গাজারসর্বত্র ক্ষুধা আর ক্ষুধা গাজার ইতিহাসে ফিলিস্তিনিরা এমন কাদ্যের অভাব ওসংকট চোখে দেখেনি। সকলেি অভূক্ত, এরি মাঝে যদি কোন ত্রানবাহী যানবাহন গাজামুখি প্রবেশ করতে যা তাহলে উক্ত খাদ্যবাহী জাহাজ আটক করছে দখলদার বাহিনী। ইতিমধ্যে তুরস্ক রোজার মাসে ফিলিস্তিনিদেরকে নিরবিচ্ছিন্ন খাদ্য সরবরাহ করা প্রতিশ্র“তি পূর্ণব্যক্তকরে বলেছে গাজা বাসি তথা ফিলিস্তিনিরা কোন অবস্থাতেই না খেয়ে মৃত্যু বরন করবে না। উল্লেখ্য ইতিমধ্যে শতাধীক ফিলিস্তিনি নাগরিক অভূক্ত অবস্থায় মুত্যু বরন করেছে। লোহিত সাগরে আবারও হুতি যোদ্ধারা ইসরাইলি সংশ্লিস্ট জাহাজে হামলা চালিয়েছে। গতকাল ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে সাধারন ইসরাইলিরা ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। বিক্ষোভ কারীরা ইসরাইলি পনবন্দীদের অবিলম্বে মুক্ত এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবী করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com