শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নূরনগরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী প্রতিযোগিতা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান শ্যামনগরে পানি সংরক্ষনের জন্য ড্রাম বিতরণ শ্যামনগরে সুপেয় পানির আরও প্লান্ট উদ্বোধন করলেন ইউএনও রনী খাতুন জলাভূমির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে দেওয়া যাবে না কর্মশালায় অতিরিক্ত সচিব মোঃ আক্তারুজ্জামান শিবপুর ও কুশখালীর জলাবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শনে সদর ইউএনও আশাশুনিতে তথ্য অধিকার বুথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত আশাশুনিতে শাক—সবজী বীজ বিতরণ ও চাষী প্রশিক্ষন কয়রায় শিশুদের আনন্দদানে ও মেধা বিকাশে শিশু মেলা নতুন নির্বাচনী সামগ্রীতে এয়োদশ সংসদ নির্বাচন ## প্রয়োজনের অতিরিক্ত মালামাল কেনায় নিরুৎসাহিত এবং ব্যয় সংকোচনের পরামর্শ কমিশনের ## তিন লাখ ভোট কক্ষের জন্য ৭০ ধরণের সামগ্রী, সময় লাগবে ৬—৭ মাস ## দ্বাদশ সংসদের বেশির ভাগ মালামাল ব্যবহারে অনুপযোগী জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আর্থিক অনুদান প্রদান আজ

রেনু বাগদার অস্বাভাবিক মূল্য: বহু সংখ্যক ঘের রেনু শুন্য

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ী উৎপাদনের মৌসুম শুরু হলে রেনু বাগদার অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ঘটায় ঘের ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক ভাবে চিংড়ী ঘেরে রেনু পোনা অবমুক্ত করতে পারছে না। গত কয়েক বছর যাবৎ চিংড়ীতে ভাইরাস, হারি মূল্য, শ্রমিক মূল্য সহ ঘের ব্যস্থাপনা খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় আশানুরুপ চিংড়ী উৎপাদন যেমন হইনি অনুরুপ ভাবে ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন। দেশের সর্বাধিক চিংড়ী উৎপাদন হয় সাতক্ষীরা জেলাতেই, যে কারনে এইজেলা বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের ক্ষেত্রে কাঙ্খিত অবস্থানে অবস্থান করছে। ডিসেম্বরের মধ্যে জেলার চিংড়ী ঘেরগুলো ধরা সারা শেষ হয় এবং ঐ মাস এবং জানুয়ারী মাস দৃশ্যতঃ ঘের প্রস্তুত সহ রেনু পোনা অবমুক্ত হয়। জানুয়ারীতে কক্সবাজার এলাকায় হ্যাচারীতে উৎপাদিত রেনু বাগদা পোনা সাতক্ষীরায় আসা শুরু করে। প্রথম থেকে অর্থাৎ মৌসুম শুরুতেই হাজার প্রতি রেনু পোনা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অথচ বিগত বছর গুলোতে মৌসুম শুরুতে ডিসেম্বর জানুয়ারী মাসে রেনু পোনা হাজার প্রতি ২০০ টাকা হতে ৩০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো। পুরো ফেব্র“য়ারী মাস রেনু পোনার মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে, হাজার প্রতি রেনু পোনার মূল্য ৮০০ টাকা হতে ৯০০ টাকা এবং সে অপেক্ষা বেশী চলমান থাকে। শুরুতে মূল্য বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে,সাতক্ষীরার স্থানীয় পর্যায়ে এজেন্টরা ক্রেতা সাধারন ঘের ব্যবসায়ীদের এই বলে আশ্বস্থ করতে থাকে যে কয়েকদিনের মাঝেই রেনুর মূল্য কমে যাবে কিন্তু বাস্তবতা হলো রেনু বাগদা মুল্য হ্যাস পাচ্ছে না। রেনু পোনা ব্যবসায়ী হ্যাচারী ব্যবসায়ী সহ ঘের ব্যবসায়ী সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাগেছে কক্সবাজার এলাকার হ্যাচারী ব্যবসায়ীরা অর্থাৎ রেনু পোনা উৎপাদনকারীরা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতির অগ্রসর হচ্ছে অর্থাৎ উৎপাদন চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে করছে যেন রেনুমূল্য বৃদ্ধি থাকে। ঘের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রেনু পোনা উৎপাদনকারী অলিখিত সিন্ডিকেট বিস্তৃত করছে এবং যার খেসারাত দিতে হচ্ছেসাধারন ব্যবসায়ীদের। বিগত বছর গুলোতে রেনুহাজার প্রতি ২০০ টাকা হতে ৩০০ টাকা পাওয়া গেলেও এ মৌসুমে কয়েকজন বেশী হাজার প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা তাহলে বিগত বছর গুলোতে রেনু উৎপাদনকারীরা কি লোকসান সাথে ছিল না কি এ মৌসুমে অধিক পরিমান লাভ করতেই রেনুর মূল্য বৃদ্ধির অশুভ তৎপরতায় নেমেছে। কক্সবাজার হ্যাচারী মালিক সহ সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে রেনু উৎপাদনের প্রধানতম মাধ্যম মা বাগদার সংকট এবং সংগৃহীত মা বাগদা হতে কাঙ্খিত ও যথাযথ রেনু উৎপাদন না পাওয়ায় উৎপাদন খরচ এরসাথে রেনু উৎপাদনের সমন্বয় ঘটছে না বিধায় বিগত বছরগুলোর ন্যায় বর্তমান সময়ে রেনুর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গভীর সাগরে হতে জাহাজে গমন পরবর্তি মা বাগদা সংগ্রহ করা হয়। বর্তমান সংগৃহীত মা বাগদার দুষ্পাপ্যতার পাশাপাশি আরোহিত মা বাগদায় কাঙ্খিত রেনু মিলছে না। খুলনা সহ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে হ্যাচারী গুলো ইতিমধ্যে কয়েকটি উৎপাদনে গেছে। ঘের ব্যবসায়ীরা জানান স্থানীয় হ্যাচারী গুলোতে উৎপাদিত রেনুর মান কোন ভাবেই খারাপ নয়। স্থানীয় হ্যাচারী গুলোতে যথাযথ রেনু উৎপাদন হলে কক্সবাজার কেন্দ্রীক রেনু নির্ভরতা হতে বেরিয়ে আনা সম্ভব। কক্সবাজারের রেনু পোনার মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘের ব্যবসায়ীরা যেমন চাহিদা মোতাবেক রেনু ছাড়তে পারছেনা অনুরপ ভাবে অস্বাভাবিক ভাবে মুল্য বৃদ্ধির প্রতিকার চাইছে। রেনু বাগদার বাজার নিয়ন্ত্রন এবং পর্যবেক্ষনে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগী হওয়ার সময় এসেছে। সাতক্ষীরা শহরস্থ রেনু পোনা এজেন্ট মেহজাবিন ফিসের স্বত্ত্বাধিকাারী আজমল হোসেন এর কাছে রেনু পোনার বাজার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান কোম্পানী হতে আমরা নির্দিষ্ট কমিশন পাই। বিভিন্ন ব্যান্ডের রেনুর মূল্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানী নির্ধারন করেদেন। মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি রেনু মীরের ক্ষেত্রে অনৈতিকতাকে সঙ্গীর অভিযোগ করছেন রেনু ক্রেতারা। সাতক্ষীরার চিংড়ী শিল্প তথা দেশের এই শিল্পকে রক্ষায় রেনু বাজার স্থিতিশীল করার বিকল্প নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com