রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

উপার্জিত হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশ রপ্তানী বাণিজ্যে দিনে দিনে অনেক উচ্চতায় পৌছেছে। একদা বিশ্ব ব্যবস্থায় আমাদের দেশ আমদানী নির্ভর দেশ হিসেবে পরিচিতি পেলেও সময়ের ব্যবধানে আর বাস্তবতার নিরিখে বর্তমানে আমরা রপ্তানী কারক দেশের তালিকা নাম লিখিয়েছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশ অভ্যন্তরীন ভাবে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর রপ্তানী পরবর্তি প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রার উপার্জন করে চলেছে এবং উপার্জিত উক্ত বৈদেশিক মূদ্রা দেশের জাতীয় অর্থনীতিকে সুসংহত করে চলেছে। বাংলাদেশের রপ্তানী পরবর্তি উপার্জিত বৈদেশিক মূদ্রার কল্যানে দেশের সামগ্রীক অবকাঠামো গত উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্বময় তথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অবহিত হতে পেরেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা। বাংলাদেশ বরাবরই কৃষি প্রধান দেশ আর কৃষির কল্যানে দেশের অভ্যন্তরীন চাহিদা পুরন পরবর্তি উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী রপ্তানী পরবর্তি বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে চলেছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের ক্ষেত্রে নানান ধরনের শাকসবজি, খাদ্যশস্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আমাদের দেশের উৎপাদিত নানান ধরনের শাক, আলু, তরকারি বিশ্ব বাজারে যেমন শোভা পাচ্ছে অনুরুপ তার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে পান এবং সুপারি বিশ্ববাজারে রপ্তানী হচ্ছে। পান সুপারী হতে দেশ প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকে। আমাদের দেশের উৎপাদিত আম দেশের ভৌগলিক পেরিয়ে বিশ্ব বাজারকে স্পর্শ করেছে। এক সময় আম দেশের চাহিদা মিটিয়ে অভ্যন্তরীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে বিস্তৃত করলেও বর্তমানে আম বিশ্ব বাজারে রপ্তানী হচ্ছে। আম রপ্তানীর মাধ্যমে দেশ প্রতি বছর প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে সুসংহত করার পাশাপাশি দেশীয় অর্থনীতির চাকাকে উচ্চতায় পৌছে দিচ্ছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন ও রপ্তানী বাণিজ্যে পাটের নাম বারবার আলোচিত এবং অতি সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে গত কয়েক দশক যাবৎ পাট দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে। একদা সোনালী আশ হিসেবে খ্যাত পাট বিশ্ব ব্যবস্থায় তথা আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশকে বিশেষভাবে পরিচিত ও আলোকিত করেছিলো। আধুনিক প্রযুক্তির আগমনে পাটের বাজার কিছুটা হ্রাস পেলেও বর্তমানে আবারও পাট তার পূর্বের অবস্থানে পৌছেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ পাট ও পাটজাত দ্রব্য বিশ্ববাজারে রপ্তানী করে প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে চলেছে। পাটের তৈরী বিভিন্ন প্রকারে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বেল্ট দেশীয় বাজারকে সৌন্দর্য ভরপুর করছে তা নয় বিশ্ব বাজারে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিশেষ স্থান দখল করেছে। এবং বিশ্ব ক্রেতারা আমাদের পাট, পাটজাত দ্রব্য কুটির শিল্প ক্রয় করছে। এছাড়া নানান ধরনের তৈজসপাত্র, আলপনা, চীনা মাটি সহ কড়ি, কাসা পাতিল, বিশ্ব বাজারে বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম চিংড়ী শিল্প। এই চিংড়ী শিল্প রপ্তানী করে প্রতি বছর দেশ প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকে। আমাদের দেশের অর্থনীতিতেও কাঙ্খিত ও যথাযথ ভূমিকা পালন করে এই শিল্প। গত তিন/চার দশকের অধিক সময় যাবৎ বিশ্ব বাজারে আমাদের দেশে উৎপাদিত চিংড়ীশিল্প গুনগত মানের ও আগ্রহের বিবেচনায় সর্বেসর্বা। উক্ত চিংড়ী শিল্প সাতক্ষীরা জেলায় সিংহভাগ উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে বিশেষভাবে পরিচিত করেছে চিংড়ী শিল্প। আমাদের দেশের অন্যতম রপ্তানী পণ্য চামড়া, দেশে প্রতি বছর প্রচুর পরিমানে গরু মহিষ ও ছাগলের চামড়া আরোহন হয়। উক্ত চামড়া বিদেশে রপ্তানীর মাধ্যমে দেশ প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে। চামড়ার পাশাপাশি চামড়া জাত সামগ্রী ও রপ্তানী করে দেশ চামড়ার ব্যাগ, জুতা বেল্ট, গৃহ সামগ্রী, হস্তশিল্প সহ বহুবিধ চামড়া তৈরী সামগ্রী বিশ্ববাজারে রপ্তানীর মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বাড়ছে। উল্লেখিত সামগ্রী গুলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশস্বয়ং সম্পূর্ণ কোন ধরনের কাঁচামাল বিদেশ হতে আমদানী করা হয় না অর্থাৎ রপ্তানী সামগ্রী রপ্তানী পরবর্তি বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয় না। দেশীয় পণ্য অধিকতর রপ্তানী সামগ্রীতে পরিনত করতে হবে। আর এ জন্য উৎপাদনকারীদেরকে বিশেষ সহায়তা সহ প্রনোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন সম্পদ রপ্তানীতে উচ্চতায় পৌছেছে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com