এফএনএস: প্রধানমন্ত্রীর কৌশলের কারণে দেশ জঙ্গি ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুলাহ আল মামুন। তিনি বলেন, দেশকে জঙ্গিমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও দিকনির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একযোগে কাজ শুরু করে। হলি আর্টিজান হামলার মূল পরিকল্পনাকারীর বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রীঘোষিত নীতি ও কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ জঙ্গি ঝুঁকিমুক্ত। প্রধানমন্ত্রীঘোষিত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ জঙ্গি দমনে রোল মডেল। গতকাল সোমবার সকালে কুর্মিটোলায় র্যাব সদরদপ্তরের শহীদ লে. কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে র্যাবের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। র্যাব ডিজি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব চরমপন্থী, জঙ্গিবাদ, জলদস্যু ও সন্ত্রাস দমন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার এবং চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের আসামি গ্রেপ্তারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঈর্ষণীয় ভ‚মিকা রাখছে। র্যাব জল, স্থল ও আকাশে অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা সম্পন্ন একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রক্তাক্ত করেছিল চরমপন্থীরা। র্যাব সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চরমপন্থীদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশে একটি গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় জঙ্গিবাদের বীজ বপণ করা হয়েছিল। তারা এ দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চেয়েছিল। ২১ আগস্ট ওই একই গোষ্ঠীর মদদে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। র্যাব হামলা বাস্তবায়নকারীদের গ্রেনেডসহ গ্রেপ্তার করেছে। চৌধুরী আবদুলাহ আল মামুন বলেন, আমরা সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করেছি। ওই অঞ্চলের মানুষ আজ শান্তিতে বাস করছে। সুন্দরবন অঞ্চলে পর্যটনশিল্প বিকশিত হচ্ছে। আত্মসমর্পণ করা ৩২৮ জন জলদস্যু পুনর্বাসিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে দেশকে মাদকমুক্ত করে মাদকাসক্তদের আলোর মুখ দেখাতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন ও বাংলাদেশের পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।