দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ বিশ্বের অন্যন্য অসাধারন সৌন্দর্য এবং সম্পদের লীলাভূমি সুন্দরবন কে কেন্দ্রকরে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনার দুয়ার সষ্টি হেেছ। অসধারণ নৈসঙ্গিকতায় পুর্ণ এই বন দেখতেদেশেরসীমানা পেরিয়ে বিশ্ববাসি দৃষ্টি পড়েছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতা সড়ক পথে সুন্দরবন ভ্রমনের ইচ্ছা এবং আগ্রহ যে কোন পর্যটককে নিতে পারে সুন্দরবন। প্রকৃতি যেন নিজ ইচ্ছার অপার সম্ভাবনার এই ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করেছে। আমাদের দেশ বরাবরই সবুজে ঘেরা এই সবুজ দেশটিতে নয়ানভিরাম অনন্য জাগরন অতিসহজেই পর্যটকদের কে আকর্ষন করে তাকে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নদ নদী, জীব বৈচিত্র, মায়াবী হরিন, কুমির,বানর, বন্য শুকোর সহ নানান ধরনের পাখি পর্যটকদেরকে বিমোহীত করে। বন অভ্যন্তরের ছোট বড় নদ নদীতে ভ্রমন করে পর্যটকরা বিশেষ সুধা নিবারন করে। সুন্দরবনের গহীন অরন্য ভ্রমন পিপাসুদের হৃদয় কম্পন সৃষ্টির পাশাপাশি বিমোহীত করে।জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটনের অবদান বৃদ্ধিতে সুন্দরবনের ভূমিকা দিনে দিনে উচ্চতায় পৌছেছে। সুন্দরবনের এতোদিনে নৌপথই একমাত্র অবলম্বন হিসেবে পর্যটকদের মাঝে বিশেষধারনা থাকলেও সামপ্রতিক বছর গুলোতে সড়ক পথে সুন্দরবনে যাওয়ার এবং ভ্রমন করার বহুবিধ ক্ষেত্র সৃষ্টিহয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীন রাজস্ব উপার্জন পর্যটন খাত অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যমই দিন যাচেছ ততোই এঘাত হতেরাজস্ব উপার্জন হচ্ছে। সুন্দরবনের পাশাপাশি ভ্রমন পিপাসুদেরজন্য প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত,সরকার প্রতি ভছর কক্সবাজার হতেবিপুল পরিমান অথ উপার্জন করেথাকে। কক্সবাজারের পাশাপাশি তিন পার্বত্র জেলা রাঙামাটি,বান্দরবন ও খাগড়াছড়ির অপরুপ সৌন্দর্য ও পর্যটন স্পট গুলোতে প্রতিনিয়ত শত সহস্র দেশী বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমন করছে। সিলেটের কথা অবশ্যই বলতে হবে,শাহজালাল, শাহ পরানের মাজার জিয়ারতমমাজার এলাকা ভ্রমন সহ চা বাগানদশনে ভ্রমন পিপাসুদের তৃষ্ণা মেটাচ্ছে। এই অঞ্চল হতেও প্রচুর পুিরমান অথ উপাজিতহচ্ছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ বর্তমান সময়ে পর্যটকদের বিশেষ লোভনীয়। এক সময়ে ট্রলার যোগে সন্টমার্টিন দ্বীপ ভম্রন করা হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কক্সবাজার হতেসরাসরি জাহাজে যোগে পর্যটকরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমন করছে। সেন্টমার্টিন এর প্রবাল দ্বীপে পর্যটকরা অবারিত সৌন্দর্য হৃদয়ঙ্গম করেন। সাগর কন্যৗা খ্যাত কুয়াকাটা ভ্রমনে অগনিকত পর্যটকরা ইতিমধ্রে তাদের ভ্রমন ক্ষুধা মেটাচ্ছে। দেশের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পকে যতবেশী এগিয়ে নেওয়া যাবে ততোবেশী অভ্যন্তরীন রাজস্ব উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। সব পর্যটন স্থান কে টপকিয়ে সুন্দরবনই অনন্য। সুন্দরবন পযটকদের জন্য অন্তত সাতটি পরিবেশ বান্ধব আকর্ষনীয় স্পট বিদ্যমান পর্যটন স্পট গুলোর মধ্যে করমজল, কলাগাছিয়া, কটকা, হারবাড়িয়া, কচিখালী,দুবলার চর, নীল কমল অন্যতম। প্রতিটি স্পটে অবস্থান এবং সৌন্দর্য উপভোগ করা যে কোন দেশী বিদেশী পযটকদের জন্য বিস্ময় আর উপভোগ্রেল। প্রতিবছর এই সকল পর্যটন স্পটে দুই লক্ষাধীক পর্যটক ভ্রমনে আসে। সাম্প্রতিক বছর গুলোতে বন বিভাগ আরও চারটি আকর্ষনীয় পর্যটক স্পট সৃষ্টি করেছে যার মধ্যে অন্যতম শেখেরটেক, মালী বান্দা, কালাবগি ও কৈলাশগঞ্জ বন বিভাগ পূর্বের পর্যটন স্পটগুলোকে সংস্কার ও আধুনিকীকরন করেছে। স্পট গুলোতে পর্যটকদের পরিপুর্ণ নিরাপত্তা এবং বন কেন্দ্রীক বিনোদন উপভোগ ও সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করার দুর্বার সুযোগ সষ্টি করেছে। যারমধ্যে অন্যতম স্পট গুলোতে পর্যটকদের জন্য ওয়াচ টাওয়ার,ঝুলন্তব্রিজ, হাটাহাটির জন্য ফুট ট্রেইল, বসার জন্য গোল ঘর ও নৌযান থেকে ওঠানামার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, সুন্দরবনে রয়েলবেঙ্গল টাইগার,হরিন, বানর সহ তিনশত পচাত্তর প্রজাতির বন্য প্রাণী দুইশত একানব্বুই প্রজাতির মৎস্য,গহীন বনম, নদী নালা প্রতিনিয়ত পর্যটকদেরডাকছে প্রিয় সুন্দরবন, প্রথম জুন থেকে একুত্রিশ আগস্ট পর্যন্তসুন্দরবনে পর্যটক সহ বনজীবিদের প্রবেশ স্থগিত করা হয়। বন রক্ষায় সত্যিকার অর্থে এই উদ্যোগ অতি কার্যকর ও প্রশংসনীয় কিন্তু বাস্তবতা হলো এই দিবসের যথাযথ প্রয়োগ জরুরী। আমাদের প্রিয় সুন্দরবন কেবল অথ উপার্জনের মাধ্যমনয়, এই পরিবেশরক্ষা সহ বাংলাদেশকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এক শ্রেনির বনখেকো ও অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের কল্যানে সুন্দরবন যেন রক্ষা পায় এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।