শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন শ্যামনগরের সাবেক ফুটবলার মনজুর আলী নূরনগর রামচন্দ্রপুর জামে মসজিদে তালা কেটে দুর্ধর্ষ চুরি সাতক্ষীরায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের ছেলে মেয়েদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন সাতক্ষীরায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের আলোচনা সভা ও কম্বল বিতরণ সাতক্ষীরার লাবসা মসজিদের পুনঃনির্মাণ কাজের ছাদ ঢালাই উদ্বোধন হরিণ শিকার রোধ কল্পে সচেতনা বিষয়ক আলোচনা সভা বাবুলিয়া স্কুলমাঠে তারুন্যের উৎসব উদ্বোধন আশাশুনি পারিবারিক মডেল পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ বুধহাটায় সার ডিলারদের বিক্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন আশাশুনি মোবাইল কোর্টে সার ব্যবসায়ীর জরিমানা

আশাশুনি চাকলা মাদ্রাসায় নিয়োগ স্থগিত সহ সুপারের অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আশাশুনি চাকলা দারুস সুন্নাত আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসা চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ স্থগিত ও সুপারের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসার সদস্য,অভিভাবক ও এলাকাবাসী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা দারুস সুন্নাত আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী এস এম নূর মোহাম্মদ সাম্প্রতিক অবসরে গেছেন। ওই পদে নতুন নিয়োগের জন্য মাদ্রাসা সুপার মাওঃ জামাল উদ্দিন ম্যানেজিং কমিটির ২/১জন সদস্যদের সহায়তায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ২৪ সভার মাধ্যমে ভুয়া রেজুলেশনের তৈরি করেন। কমিটির সভাপতি ঢাকা এবনেসিনা হাসপাতালের কর্মকর্তা মোঃ মাগফুর রহমান ওই সময়ে তার কর্মস্থলে ছিলেন। অথচ রেজুলেশনে সভাপতির উপস্থিত দেখিয়ে ভুয়া স্বাক্ষর করা হয়েছে। এই মর্মে গত ৩ মার্চ ২৪ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসাটি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় সেখানে কোন সংবাদপত্র আসে না। যে কারণে অনেকেই বিজ্ঞাপনের বিষয় জানতো না। ফলে যোগ্যতা সম্পন্ন থাকা সত্ত্বেও তারা আবেদন করতে পারেনি। এরই মধ্যে গত ১৮ মার্চ ২৪ প্রার্থীদের চূড়ান্ত বাছাইয়ের সভা দেখানো হয়েছে। সভায় কমিটির সভাপতি, শিক্ষক প্রতিনিধি, সহ অনেকে অনুপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সুপার পূর্বের ন্যায় আবারো অনিয়মের মাধ্যমে সভাপতি সহ অন্যান্যদের স্বাক্ষর দেখিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্তের জন্য অগ্রসর হন। সুপার আবেদন কারীদের মধ্যে ১ জনের সহিত নিয়োগে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গোপনে মোট অংকের টাকা নিয়েছে। নিয়োগের কোরাম পূরণের জন্য বাকি প্রার্থীদের সাহায্যকারী হিসেবে আবেদন করেছেন। শুধু তাই নয়। সুপার ইতিপূর্বে অফিস সহকারী নিয়োগ দিয়ে নিজে ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কর্মস্থলে না থেকেও শিক্ষিকা মিতা রানীর অবৈধ ভাবে নিয়ে উত্তোলন করছেন। তার থেকে একটি অংশ সুপার ভাগ করে নিচ্ছে। মাদ্রাসার সুপার শিক্ষকদের প্রাপ্য টিউশন ফিস, ফরম ফিলাপের অতিঃ টাকা ও সরকার কর্তৃক প্রদত্ত টাকা কাউকে না দিয়ে একা আত্মসাৎ করছে। তার ভাইয়ের কোন শিক্ষক কথা বলতে সাহস হয় না। এলাকাবাসী সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে পুনঃ নিয়োগ সহ সুপারের বিভিন্ন অনিয়ম তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে সুপার মাওঃ জামাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সভাপতি সভায় উপস্থিত না থাকলেও তার সভাপতি অনুমতি ক্রমে সভা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সকল বিষয়ে সভাপতি অবগত আছেন। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানে সভাপতি মোঃ মাগফুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঐ সভায় উপস্থিত ছিলাম না। পরে স্বাক্ষর করে দিয়েছি। এই নিয়োগে পর্যাপ্ত আবেদন না পড়ায় পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। তবে এলাকার কিছু মানুষ আমার সুনাম নষ্টের চেষ্টা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com