কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বসতভিটা জবর দখল ও গাছ গাছালি কেটে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করায় বসতবাড়ি ভাংচুরসহ একই পরিবারের ৫ জনকে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা আদলতে একটি মামলার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি সিরাজুল ইসলাম। যার মামলা নং দেং ২৯/২৪ মামলার বিবরণে জানা যায়, তারা ঝিকরা মৌজায় বিএস ৬১১ নং খতিয়ানে বিএস ৮১৪১ নং দাগে ২৫০৬ একর জমিতে বসত ভিটা নির্মাণ পূর্বক দীর্ঘদিন যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আছি। সম্প্রতি প্রতিবেশী ইব্রাহিম গাজী, মোসলেম গাজী, রহমান গাজী, মোশারফ গাজী, পিন্টু গাজী, সাইদ বাবু, নাহিদ বাবু, ফারজানা খাতুন ও রাফি হোসেন সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের ওই জমির কিছু অংশ জবর দখল করিবে বলে নানাভাবে হয়রানি, মিথ্যা মামলা, জমির গাছ গাছালি কর্তনসহ, বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে। এ ঘটনায় তারা কলারোয়া থানায় তাৎক্ষনিক অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। পরে তারা সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে ওই জমিতে ১৪৫ জারি করি। এরপর তারা ১৪৫ ধারাকে অমান্য করে বিগত ১১ মার্চ সকল আনুমানিক ৮টার দিকে জোরপূর্বক আবারও ওই জমির গাছ গাছালি কর্তন করে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে তাদের নিকট বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে ১৬ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাতে সাড়া না দেওয়ায় গত ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আবারও হামলা চালিয়ে তাদের বাড়ীঘর ভাংচুর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা দ্যা, লাঠি দিয়ে তাকেসহ তার স্ত্রী মাছুরা খাতুন, ভাই সাইফুদ্দীন, ভাই বউ জাহানারা বেগম ও বড় বোন মাজেদা খাতুনকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে আহত করে। যার প্রমান স্বরুপ এসব তান্ডবের অডিও/ভিডিও আছে। এ ঘটনায়ও সাতক্ষীরা আদালতে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ-১ এ একটি মামলা দায়ের করি। যার দেং ২৯/২৪। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। আদালতে মামলা করায় তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে বিভিন্ন সময় হুমকী ধামকি ও হত্যার হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তারা গোটা পরিবার আতংকসহ মনবেতর জীবন-যাপন করছেন। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি সিরাজুল ইসলামসহ তার পরিবার। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম গাজি ও মোসলেম গাজি যথাক্রমে বলেন, পৈত্রিক সুত্রে ওই দাগের ৫ শতক জমির মালিক আমরা। তাই আমরা জমিতে গিয়েছি এবং জমির গাছ মেরে বিক্রি করে দিয়েছি। এক প্রশ্নেন জবাবে তারা আর বলেন আমরা তাদের কোন মারপিট করি নাই বরং তারা আমাদের মারপিট করেছে। এমনকি আহত অবস্থায় আমাদের লোকজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীর রয়েছে বলেও তারা জানান।