শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা সরকার বদল হলেও নিত্যপণ্যের বাজারে কমেনি চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট তৎপরতা শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়, স্বীকারোক্তি পলকের শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের সংশ্লিষ্টতার তদন্তকে স্বাগত যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে পশ্চিমাঞ্চল রেলের হাজার হাজার বিঘা জমি বেহাত পিলখানা হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে রাজধানীতে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন দিনাজপুরে ঘর থেকে মা—মেয়ের লাশ উদ্ধার খুলনায় রংমিস্ত্রিকে গুলি করে হত্যা

ইফতারেও হামলা চালালো ইসরাইল

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৪

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশহলেও এখনও পর্যন্ত গাজায় চলছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলাও হত্যা, এমন কোন দিন নেই, এমন কোন সময়নেই যে দিনে বা সময়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজায় হত্যাকান্ড পরিচালনা করছে না। দৃশ্যতঃ ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটি জাতিসংঘের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব না মেনে যেমন অপ্রতিরোধ্য অমানবিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে অনুরুপ ভাবে পুরো বিশ্ব ব্যবস্থার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। মানবতা বিরোধী ইসরাইল এবং তার দোসরা দীর্ঘদিন যাবৎ ফিলিস্তিনি নামক জনগোষ্ঠীদেরকে নির্মূল কাজ করছে যে কারনে দখলদার বাহিনী কেবল গত ছয় মাস যাবৎ নয় বছরের পর বছর যাবৎ তারা ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা সহ গণহত্যা কায়েম করে চলেছে। গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে মিশরের রাজধানী কায়রোতে গত দুই দিন ব্যাপী চলছে যুদ্ধ বিরতি আলোচনা, দীর্ঘ ছয় মাস যাবৎ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজার নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর যে ভাবে বর্বরতায় বিমান হামলা এবং স্থল অভিযানের মাধ্যমে ইতিমধ্যে তেত্রিশ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অন্তত পনের হাজারের অধিক নারী ও শিশু। দখলদার ইসরাইল দৃশ্যতঃ ফিলিস্তিনিদেরকে নির্মূল এবং নিশ্চিহৃ করতে চাইছে কারন বিশ্ব দরবারে, বিশ্ব ব্যবস্থায় যেন ফিলিস্তিনি জাতি গোষ্ঠী না থাকে এবং তাদের অন্যতম লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য গাজা উপত্যকাকে ধ্বংস করা বিশ্বর মানচিত্র হতে নিশ্চিহৃ করা। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ইতিমধ্যে চৌত্রিশ হাজারের মত ফিলিস্তিনি হত্যাকন্ডের শিকার হয়েছে। গতকাল পশ্চিমা গণমাধ্যম এএফপি ও রয়টার্স জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে বারবার বলা হয়েছে এবং বলা হচ্ছে যে গাজায় যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকেগাজায় বেসামরিক লোকদের হত্যার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করতে হবে। এখানেই শেষ নয় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর যুদ্ধ বিরতিতে আসতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইতিমধ্যে গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাশ করেছে। দৃশ্যতঃ জাতি সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধ বিরতিতে সমর্থন প্রদান ও ভেটো প্রদান না করায় দৃশ্যতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাতে ইসরাইলের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। গতকাল দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজার সর্বত্র বিমান ও স্থল হামলা পরিচালনা করেছে। তাদের হামলার লক্ষ্য বস্তু কেবল খান ইউনিস বা উত্তর, দক্ষিন গাজা ছিল না, দীর্ঘদিন হামলা মুক্ত মধ্য গাজা,রামাল্লা ও জেরুজালেমে হামরা পরিচালনা করে। উল্লেখ্য গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রীত পুলিশ ওনিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরকে নিয়ে বসতবাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের সম্পদ রক্ষায় নিয়োজিত তাদের উপর ও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। রোজার শেষ দিন গুলোতে ও দখলদার ইসরাইলের হামলা, আক্রমন ও নির্যাতন থেমেনেই, ইফতারি আয়োজনেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হামলা পরিচালনা করছে। ইতিপূর্বে রোজাদার ফিলিস্তিনিদের মাঝে ইফতারি বিতরনের সময়ে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়ে রোজাদার ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হয় যে কারনে রোজাদার ফিলিস্তিনিদের মাঝে ইফতারি বিতরনের সময়ে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়ে রোজাদার ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হয় যে কারনে রোজাদার ফিলিস্তিনিদের মাঝে মৃত্যু আতঙ্ক বিরাজ করছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পুরো রোজার দিন গুলোতে একটি স্থানে কেবল অস্ত্র ব্যর্থ হয়েছে তা হলো আলআকসা মসজিদে নামাজ আদায় করতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের গতিরোধ করতে ব্যর্থ হওয়া, রোজার সময় গুলোতে দিন রাতে সর্ব সময় আল আকসা মসজিদে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিরা উপস্থিত হচ্ছে। গতকাল দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা খান ইউনিস ও রাফার বিভিন্ন এলাকাতে ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা ও হত্যার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে দখলদার বাহিনী। এদিকে হামাস যোদ্ধাদের অভিযোগ ইসরাইলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের উপর ব্যাপক ভিত্তিক নির্যাতন ও নিপিড়ন চালাচ্ছে দখলদার বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা টেলিভিশন বলেছে ইসরাইলি প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে মিশরের রাজধানী কায়রোতে পৌছেছেন। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বলেছে গাজায় হামাসের সুড়ঙ্গ গুলোকে নির্মূল করা হয়েছে। কিন্তু হামাসের পক্ষ হতে ইসরাইলের উক্ত দাবীকে নাকচ করে বলেছে গাজা ভু-খন্ডে হামাস আছে থাকবে এবং হামাস প্রতিনিয়ত দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে প্রতিহত করে চলেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আবারও হিজবুল্লার বড় ধরনের ক্ষেপনাস্ত্র হামলার মুখে পড়েছে। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসিরুল্লাহ বলেছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবে। হুতি যোদ্ধারাও সাগরে তাদের যুদ্ধতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com