এম এম নুর আলম ॥ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আশাশুনিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার লক্ষে চারজন মনোনয়ন দাখিল করার মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। চারজন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি, জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মেহেরুন্নেসা, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা পারভীন ও সদ্য সাবেক আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য মারুফা খাতুন। আগামী ২১ মে সারাদেশের দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনে আশাশুনি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার (২১ এপ্রিল) মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন থাকলেও চারজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান একদিন সময় হাতে রেখে ২০ এপ্রিল শনিবার তাদের মনোনয়ন অনলাইনের মাধ্যমে দাখিল করেছেন। ভোটের মাঠে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে এই চারজন ব্যতিত আর কোন প্রার্থীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ ২৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রার্থীতা যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হবে ও আগামী ২ মে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ করা হবে। এদিকে, এসব প্রার্থীদের অধিকাংশই প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, নির্বাচনী সভা করে চলেছেন। ওয়াজ মাহফিল, জানাজা নামাজ, পূজা-পার্বন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ অনুরুপ বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহনের মাধ্যমে ভোটারদের আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টা করছেন। উপজেলার বিভিন্ন চায়ের স্টল, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় আর রাজনীতি সচেতন মানুষের মুখে মুখেও চলছে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলাপ আলোচনা। কখনো কখনো আবার চায়ের আড্ডায় বা রাজনৈতিক পরিচয় এর সূত্র ধরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভালো-মন্দ দিক, জনসেবা, যোগ্যতার মাপকাঠি নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। অন্যদিকে, চার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি কলস প্রতীক, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা পারভীন হাঁস প্রতিক চেয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। অন্য দুই জন প্রার্থী জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মেহেরুন্নেসা ও সদ্য সাবেক আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য মারুফা খাতুন বল প্রতিক চেয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। সে হিসাবে চারজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা হলে মেহেরুন্নেসা ও মারুফা খাতুনের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দের ক্ষেত্রে লটারি পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। মেহেরুন্নেসা ও মারুফা খাতুন উভয়ে বল প্রতিক নিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন বলে জানাগেছে।