দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ অপ্রতিরোধ্য গতিতে বেড়েই চলেছে তাপদাহ। সর্বত্র বিরক্তকর পরিস্থিতি। কোথাও শান্তি আর স্বস্তিনেই। শহরের পিচঢালা কোলাহল ময় সড়ক বিমর্ষ রুপ ধারন করে প্রাণহীন হয়ে পড়েছে। কেবল শহরের জীবন যাত্রায় ছন্দ পতন ঘটেছে তা নয় গ্রামীন জনপদ ও অস্বস্তিতে ভরা। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় তাপদাহ দেশের যে কোন এলাকাহতে কম নয়। গতকালও সাতক্ষীরার তাপমাত্রা বিয়াল্লিশ ডিগ্রী সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। প্রচন্ড তাপদাহ, খরতাপ, প্রখর সূর্য কিরণ, ভ্যাপসা গরম মানব দেহ বিপর্যস্থ করে তুলেছে। তাপদাহ কেন্দ্রীক রোগ বালাইতে আক্রান্ত হচ্ছে জনসাধারন। সড়কে পিচ গলে যাচ্ছে, লু-হাওয়া মানব দেহ ধারন করতে পারছে না। তাপদাহ শরীরকে কাবু করে তুলছে অতি তাপের কল্যানে হিটস্টোকে আক্রান্ত হচ্ছে। সর্বাপেক্ষা অসহনীয় পরিস্থিতি তে পর্যবসিত বৃদ্ধ ও শিশুরা। সাতক্ষীরার সদর হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে ডায়রিয়া, হিটস্ট্রোক, রৌদ্রতা সর্য্য করতে না পারা মাথা ব্যাথা, বমি নিউমনিয়াম, এ্যাজমা, সর্দি সহ নানান ধরনের তাপবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। গতকাল সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সরেজমিন পরিদর্শনে এই প্রতিনিধি প্রত্যক্ষ করেছে তাপবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। প্রচন্ড রোদে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে জেলার সর্বত্র গরম জনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গরমজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত তের জন শিশু চিকিৎসাধীন আছে এবং ছয় জন বয়স্কও দশহন মহিলা ডায়রিয়ায় আক্রান্তহয়ে ভর্তি হয়েছে। সদরহাসপাতালে গতকাল সব মিলে তেইশজন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে জেলার উপজেলা ভিত্তিক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতেও ডায়রিয়া সহ নানান ধরনের তাপবাহিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। নিউমোনিয়ার রোগীর সংখ্যা ও কম নয়, তাপ বাহিত রোগে আক্রান্তরা বিশেষকরে মাথা যন্ত্রনা, চোখ মুখে অন্ধকার দেখা, ছর্দি, হাঁচি, এ্যালার্জি, শ্বাসকষ্ট মাথা যন্ত্রনা সহ বিভন্ন ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত লোকজন ফার্মেন্সী ব্যবসায়ীদের থেকে ওষুধ ক্রয় করে সেবন করছেন। এ ক্ষেত্রে বিপদের সম্ভাবনার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায়না যে কোন ধরনের ঔষধ সেবনের জন্য অবশ্যই রেজিষ্ট্রাট চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন প্রখর রৌদ্রে কোন অবস্থাতেই ঘরের বাইরে বেরনা হতে এবং নিতান্তই প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতাকে সঙ্গী করতে হবে। সুতির এবং অপেক্ষাকৃত ঢিলে ঢালা পোষাক পরিধান করতে হবে। দিনের বেলায় ঘরের দরজা জানালা কোন অবস্থাতেই খোলা রাখা যাবে না, দুপুরের রৌদ্রে তাপ ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলে ঘরকে তাপদাহ পরিনত করবে। তাপদাহের সময়গুলোতে ভারী খাদ্য বিশেষকরে পোলাও বিরানী সহ মসলা যুক্ত খাবার গ্রহন হতে বিরত থাকতে হবে। তাপদাহ, প্রখর রৌদ্র হতে শরীর কে আগে রক্ষা করতে হবে কারন মানব দেহে অতি তাপ সর্য্য ক্ষমতা রাখেনা বর্তমান সময়গুলোতে তাই সতর্কতার বিকল্পনেই।