দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলের সাথে এবার পুরোপুরি কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলো কলম্বিয়া। আর এ ঘটনায় বিশ্বের শত শত কোটি মানুষ উচ্ছ্বাসিত, আনন্দিত। গত সাত অক্টোবর দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যা পরিচালনা করার পর থেকে কলম্বিয়া গণহত্যা ও হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান গ্রহন করে। আন্তর্জাতিক আদালতে আফ্রিকা ইসরাইলের মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য যে মামলা দায়ের করে উক্তমামলায় আফ্রিকার সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে কলম্বিয়া। কলম্বিয়া সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে ঘোষনা দিয়ে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিক ভাবে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষনা নিশ্চিত করে বলেছে ইসরাইল নামক দেশটি নিরীহও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যা এবং তাদের বসতবাড়ীতে হামলা ও ধ্বংস করার ঘটনা কেবল নিন্দনীয় নয় অমানবিক এবং মানবতা বিরোধী যে কারনে কলম্বিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে এই অমানবিক দেশটির সাথে কোন ধরনের কুটনৈতিক সম্পর্ক রাখবে না। এদিকে ইসরাইলি বাহিনী খান ইউনিস ও রাফায় পুনরায় অভিযান ও গণহত্যা পরিচালনা করায় হামাসের পক্ষ হতে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলা হয়েছে অবশ্যই রাফা ও খান ইউনিসে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে কুপোকাত করা হবে। হামাস যোদ্ধারা কোন অবস্থাতেই নিজের ভূমিতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে সর্য্যকরবে না। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছে কাতারের ও মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সাথে চলমান শান্তি আলোচনার অন্যতম প্রধান অন্তরায় পুনরায় নতুন ভাবে খান ইউনিস রাফা শহরে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বিমান ও স্থল হামলা পরিচালনা অব্যাহত রাখলে যে কোন সময়ে হামাস যুদ্ধ বিরতি ও বন্দী বিনিময় আলোচনা হতে নিজেদেরকে গুটিয়ে নিতে বাথ্য হবে। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ, হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ক্লাস পরিত্যাগ করে রাস্তায় নেমে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন পরবর্তি বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে এ হাজারের বেশী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ইহুদী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অবশ্য ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। পশ্চিমা মিডিয়ার বিশ্লেষন ধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইসরাইলি বিরোধী বিক্ষোভ দৃশ্যতঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিরোধী বিক্ষোভের অংশে পরিনত হয়েছে। এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খোমেনী বলেছেন অবশ্যই দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে গাজা হতে বিতাড়িত হবে এবং গাজাকে গাজার প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দিতে হবে। গতকাল আল জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে গাজার সড়কে সড়কে ক্ষুধার্থ ও আহত ফিলিস্তিনিদের মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গাজায় গণ কবরের ব্যাখ্যা চেয়েছে ইসরাইলের কাছে। রাফা অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। হামাসের এক ঘোষনায় বলা হয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে অবহিত হওয়া প্রয়োজন যে হামাস তারপর পূর্ণ শক্তি, সক্ষমতা ও ক্ষমতা নিয়ে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। হিজবুল্লাহ আবারও ইসরাইলে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সাগরে মার্কিন জোট ও হুতি যোদ্ধাদের মাঝে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে, গাজার অভূক্ত ফিলিস্তিনিদের কে পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দেওয়া জরুরী।