দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ চলছেই। এমন কোন দিন নেই, এমন কোন সময় নেই যে দিনে বা সময়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযানের মাধ্যমে নিরীহ ও নিরস্ত্রফিলিস্তিনিদের কে হত্যা করছে না। তাদের হত্যা আর তান্ডবের সীমা এতটুকু অতিক্রম করেছে যে বিশ্বের মানব সভ্যতায় এমন বর্বর, জঘন্য এবং পৈশাষিক ঘটনার অবতরনা ঘটেনি। বিশ্ব মানবতা দৃশ্যতঃ ইসরাইল নামক কসাই রাষ্ট্রটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। জাতিসংঘ বারবার দখলদার ও হত্যাকারী ইসরাইলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলে চলেছে যে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা পরিচালনা করে দৃশ্যতঃ মানবতার চরম অপরাধ করে বলেছে। দেশটির গণহত্যার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে কলম্বিয়া ইসরাইলের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আর সম্পর্কহীনতার কারন হেতু দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নিজেকে অধিকতর শুন্যতায় নিয়েছে। কলম্বিয়ার সরকারের পক্ষ হতে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষনার একদিন পর তুরস্ক ঘোষনা দিল যে তারা ইসরাইলের সাথে সব ধরনের বানিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করলো। উল্লেখ্য ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বের যে কয়টি দেশ ব্যাপক ভাবে সোচ্চার তার মধ্যে তুরস্ক অন্যতম। ইতিমধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়েফ এরদোগান ইসরাইলকে মানবতাবিরোধী রাষ্ট্র ও তার প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের কসাই হিসেবে অবহিত করে বলেছে ইসরাইল নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যা করার করুন পরিনতি অবশ্যই ভোগ করবেই করবে। তুরস্কের ইসরাইলের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষনার পর ইসরাইলের পক্ষ হতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে তুরস্ককে বলা হয়েছে তুরস্ক ইসরাইলের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার মাধ্যমে দৃশ্যতঃ দেশটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন ও বাণিজ্য চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এদিকে হামাস ইসরাইলের মধ্যকার কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া যুদ্ধ বিরতির আলোচনায় পরোক্ষ ভাবে যোগ দিতে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া মিশর সফর করতে যাচ্ছে। দুই এক দিনের মধ্যে ইসমাইল হানিয়া মিশর পৌছেবেন বলে জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইসরাইলকে সমর্থন ও সহযোগিতার বিরুদ্ধে ও এই ছাত্র বিক্ষোভ। আল জাজিরা টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে গতকাল পর্যন্ত দুই সহস্রাধীক বিক্ষোভকারী ছাত্রকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিয়েছে মার্কিন পুলিশ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছে বিক্ষোভ দেখাতে পারে কিন্তু সহিংসতা করার অধিকার নেই। গতকালও গাজার পথে পথে দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর সদস্যদের সাথে হামাস যোদ্ধাদের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ইসরাইলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনির আর সিফা হাসপাতালের অন্যতম পরিচালক এক ডাক্তারের নিহত হওয়ার ঘটনায় পুরো ফিলিস্তিন জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। গাজার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে অভূক্ত ফিলিস্তিনির সংখ্যা। ত্রানের গাড়ী দেখলেই না খেয়ে থাকা ফিলিস্তিনিরা ছুটছে। গতকালও হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও হুযি যোদ্ধাদের দখলদার বাহিনীর ভূ-খন্ড ও সাগরে চলাচল করা জাহাজে হামলা পরিচালনা করেছে।